আরব বসন্তের প্রতিবাদী সেই কিশোরের ফাঁসি দেবে সৌদি আরব!
৭ জুন ২০১৯ ১৯:৪৮
সৌদি আরবের বিরুদ্ধে মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ নতুন কিছু নয়। কঠোর রাজতন্ত্র ও শরিয়া আইনে পরিচালিত দেশটির ওপর এবার অভিযোগ উঠেছে ‘সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের’ অভিযোগে এক কিশোরকে মৃত্যুদণ্ড দিতে চেষ্টা করার।
সংবাদমাধ্যম সিএনএন-এর অনুসন্ধানে জানা যায়, অভিযুক্ত ওই কিশোরের নাম মুর্তাজা কুয়ারিশ। তার বাড়ি সৌদি আরবের পূর্বাঞ্চলে। সেখানের এক ভিডিও ফুটেজে দেখা মিলে, একদল শিশু সাইকেল র্যালিতে জড়ো হয়েছে। তাদের মধ্যে রয়েছে মুর্তাজা কুয়ারিশও। কুয়ারিশ চিৎকার করে বলছে, ‘সৌদিতে সবাই মানবাধিকার পরিস্থিতি সমুন্নত দেখতে চায়।’
ফুটেজটি ২০১১ সালে আরব বসন্তের সময় তোলা। সৌদি আরবের মানবাধিকার পরিস্থিতির সমালোচনা করতে শিশুদের সেখানে জমায়েত করেছিল মুর্তাজা কুয়ারিশ। হয়তো তার ইচ্ছা ছিলো আরব বসন্তের হাওয়া সৌদি আরবে লাগানোর। আর এটাই তার অপরাধ!
মুর্তাজা কুয়ারিশের দুঃসাহস সৌদি কর্তৃপক্ষের নজর এড়ায়নি। দেশটির কর্তৃপক্ষ অভিযোগ তোলে, মুর্তাজা কুয়ারিশ সন্ত্রাসী গ্রুপ নিয়ন্ত্রণ করছে। যে অপরাধের শাস্তি শিরশ্ছেদ বা ফাঁসির মাধ্যমে মৃত্যুদণ্ড।
সিএনএন’র প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, সৌদি রাজতন্ত্রের বিরুদ্ধে আন্দোলন করায় মুর্তাজা কুয়ারিশের বড় ভাই আলি কুয়ারিশকে ২০১২ সালে হত্যা করে সৌদি পুলিশ।
পরবর্তীতে মুর্তাজা কুয়ারিশকেও ২০১৪ সালে গ্রেফতার করা হয়। তখন মুর্তাজা মাত্র ১৩ বছরের কিশোর। গত ৫ বছর ধরে তাকে বন্দি করে রাখা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে আনা হয়েছে সন্ত্রাসী কাজের অভিযোগ। এদিকে, কুয়ারিশের বলছে সৌদি কর্তৃপক্ষ জোর করে তার কাছ থেকে অপরাধের স্বীকারোক্তি আদায় করে নিয়েছে।
এই ঘটনায় যদি সৌদি কর্তৃপক্ষ কুয়ারিশকে প্রাণদণ্ড দেয় তাহলে সে হবে ২০১৯ সালে সৌদিতে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া চতুর্থ কিশোর। এপ্রিলে বাকি তিন জনকে একই অভিযোগে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছিল।
সারাবাংলা/ এনএইচ