মেসবাহ শিমুল, সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট
ঢাকা: অভিন্ন প্রশ্নপত্রে সারাদেশে আজ থেকে শুরু হচ্ছে ২০১৮ সালের এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা। মোট ১০টি শিক্ষা বোর্ডের অধীনে এবারের পরীক্ষায় অংশ নিচ্ছে ২০ লাখ ৩১ হাজার ৮৯৯ জন পরীক্ষার্থী। বুধবার সচিবালয়ে সংবাদ সম্মেলনে একথা জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ।
এবার মোট শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা ২৮ হাজার ৫৫১ টি। পরীক্ষার কেন্দ্র ৩ হাজার ৪১২টি। গেল বছরের তুলনায় এবার শিক্ষার্থী সংখ্যা বেড়েছে ২ লাখ ৪৫ হাজার ২৮৬ জন। পরীক্ষার্থীদের মধ্যে ছেলে ১০ লাখ ২৩ হাজার ২শ ১২ জন এবং ১০ লাখ ৮ হাজার ৬শ ৮৭ জন ছাত্রী।
সাম্প্রতিক বছরগুলোয় প্রশ্ন ফাঁস নিয়ে ব্যাপক সমালোচনার মুখে রয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। এবারের এসএসসি পরীক্ষায় প্রশ্নফাঁস ঠেকাতে সরকারের প্রস্তুতি বিষয়ে শিক্ষা মন্ত্রী জানান, প্রশ্নফাঁস ঠেকাতে ইতোমধ্যে বাইরের প্রস্তুতি শেষ করা হয়েছে। এছাড়া সকাল ১০টায় পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হলেও এর অন্তত ৩০ মিনিট পূর্বে শিক্ষার্থীদের পরীক্ষা কেন্দ্রে আসতে হবে।
কোচিং সেন্টারগুলো বন্ধে ইতোমধ্যে পুলিশকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে জানিয়ে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ভবিষ্যতে স্থায়ীভাবে কোচিং সেন্টার বন্ধ করা যায় কি না তা নিয়েও আলোচনা চলছে। আমরা আইন করে কোচিং বন্ধ করবো।
শিক্ষা মন্ত্রণালয় জানায়, পহেলা ফেব্রুয়ারি শনিবার থেকে ২৪ দিনের মধ্যে ১৭ দিনে শেষ হবে তত্ত্বীয় বিষয়গুলোর পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। সকাল ১০টা থেকে ১টা এবং ২টা থেকে ৫টা এই দুই দফায় পরীক্ষা গ্রহণ করা হবে।
এদিকে যে কোনো পাবলিক পরীক্ষায় ফেসবুকসহ বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রশ্নপত্র ফাঁসের অভিযোগ অনেকটা নিয়তি হয়ে দাঁড়িয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের। তাই এবার পরীক্ষার বেশ ক’দিন আগে থেকেই ফেসবুক বন্ধের কথা বলেন শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ। যদিও শেষ মুহুর্তে এসে তার সে সুর নরম হয়েছে। বুধবারের সংবাদ সম্মেলনে তিনি জানান, ফেসবুক বন্ধের এখতিয়ার শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নেই। তবে এ নিয়ে ইতোমধ্যে বাংলাদেশ টেলিকমিউনিকেশন রেগুলেটরি কমিশন-বিটিআরসির সঙ্গে আলোচনা হয়েছে। বিটিআরসি আশ্বাস দিয়েছে ফেসবুকে প্রশ্ন ফাঁস হচ্ছে এমন কোনো তথ্য পেলেই তৎক্ষণাৎ ব্যবস্থা নেবে তারা।
সারাবাংলা/এমএস