প্রশাসনের আশ্বাসে মহাসড়ক অবরোধ স্থগিত জেলেদের
৯ জুন ২০১৯ ১২:০৬
চট্টগ্রাম ব্যুরো: প্রায় দেড় ঘণ্টা পর ঢাকা চট্টগ্রাম মহাসড়ক থেকে উঠে গেছেন চট্টগ্রামের ৩৮ পল্লীর জেলেরা। সীতাকুন্ডের সংসদ সদস্য দিদারুল আলম ও জেলা প্রশাসক মিল্টন রায় ঘটনাস্থলে এসে সমস্যা সমাধানের আশ্বাস দিলে আপাতত অবরোধ স্থগিত করেন জেলেরা।
রোববার (৯ জুন) মধ্যেই সমস্যার সমাধানের আশ্বাসের পরিপ্রেক্ষিতে উত্তর চট্টলা উপকূলীয় মৎস্যজীবী জলদাস সমবায় কল্যাণ ফেডারেশনের সভাপতি লিটন জলদাস বলেন, আজকের মধ্যে সমস্যার সমাধান না হলে পরশু দিন থেকে আবারো মহাসড়ক অবরোধ করে গণঅনশন শুরু করা হবে। ঘটনাস্থলে আসেন হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রানা দাশ গুপ্ত।
এর আগে, রোববার (৯ জুন) সকাল ১০টা থেকে সাগরে মাছ ধরার নিষেধাজ্ঞার প্রতিবাদে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক অবরোধ করেন চট্টগ্রামের ৩৮ জেলে পল্লীর বাসিন্দারা। ঢাকা চট্টগ্রাম মহাসড়কের সীতাকুন্ড উপজেলার বাংলাবাজার বাইপাস এলাকায় মহাসড়কে অবস্থান নিয়েন তারা। প্রচন্ড বৃষ্টির মধ্যে নারী শিশুসহ রাস্তায় অবস্থান নেন প্রায় হাজারের ওপর জেলে। এ ঘটনায় প্রায় দেড় ঘন্টা বন্ধ থাকে ঢাকা চট্টগ্রাম মহাসড়ক।
পূর্ব ঘোষিত আল্টিমেটাম অনুযায়ী চট্টগ্রাম নগরী থেকে সীতাকুন্ড উপজেলা পর্যন্ত ৩৮টি জেলে পল্লীর বাসিন্দারা রাস্তার একপাশে জড়ো হন। পরে পুলিশ এসে তাদের সরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করলে সাড়ে ১০টার দিকে তারা রাস্তার দুপাশেই অবস্থান নেন।
প্রতিবছর ২৩ মে থেকে ২৩ জুলাই মোট ৬৫ দিন সাগরে মাছ ধরার সরকারি নিষেধাজ্ঞা থাকে। অন্যান্য বছর এই সময়টায় ছোট কাঠের নৌকার জেলেরা মাছ ধরতে পারত। কিন্তু এ বছর এসব ছোট ছোট নৌকার ক্ষেত্রেও কঠোর নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে। ফলে, দীর্ঘ দুই মাস জীবনজীবিকার ওপর চরম প্রভাব পড়ার আশংকা রয়েছে।
এর প্রতিবাদে, গত ১ জুন সাগরে মাছ ধরার সরকারি নিষেধাজ্ঞার প্রতিবাদ চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবে উত্তর চট্টলা উপকূলীয় মৎস্যজীবী জলদাস সমবায় কল্যাণ ফেডারেশন এক সংবাদ সম্মেলন করে। সেখানে ফেডারেশনের সভাপতি লিটন জলদাস আল্টিমেটাম দিয়ে বলেন, ৭ দিনের মধ্যে এই সমস্যার সমাধান না হলে ৯ জুন থেকে মহাসড়ক অবরোধ করা হবে। তারই অংশ হিসেবে আজ রাস্তায় অবস্থান নিয়েছেন জেলেরা।
সারাবাংলা/আরডি/জেএএম