ঠাকুরগাঁও: ঠাকুরগাঁও-বালিয়াডাঙ্গী মহাসড়কে দুর্ঘটনায় মৃত কিশোরের মরদেহ লুকানোর চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে।
রোববার (৯ জুন) ভোরে গোপন সংবাদের ভিত্ততে হাসপাতালের সামনে পার্ক করে রাখা একটি প্রাইভেট অ্যাম্বুলেন্স থেকে মরতেহটি উদ্ধার করেছে পুলিশ।
মৃত হৃদয় (১৭) ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলা আকচা ইউনিয়নের বানিয়া মন্দিরপাড়া গ্রামের সত্যেনের ছেলে।
পুলিশ জানায়, শনিবার দিনগত গভীর রাতে ঠাকুরগাঁও-বালিয়াডাঙ্গী সড়কের নেংড়ীহাটে মাইক্রোবাস ও পাওয়ার টিলারের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে মাইক্রোবাসের হেলপার হৃদয় ঘটনাস্থলেই মারা যায়। পুলিশ দুর্ঘটনার খবর শুনে ঘটনাস্থলে গেলে মাইক্রোবাস ও পাওয়ার টিলারটি পরে থাকতে দেখে। এ সময় হতাহতের কাউকে পায়নি তারা। দুর্ঘটনায় হতাহতদের খুঁজতে পুলিশ ঠাকুরগাঁও আধুনিক সদর হাসপাতালের গেলেও কারো খোঁজ পায়নি। পরে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে পুলিশ হাসপাতালের বাইরে পার্ক করে রাখা প্রাইভেট অ্যাম্বুলেন্সগুলোতে অভিযান চালায়। এ সময় সুরভী নামে এক অ্যাম্বুলেন্স থেকে হৃদয়ের মরদেহ উদ্ধার করে মর্গে পাঠানো হয়। দুর্ঘটনার বিষয়টি ধামাচাপা দেওয়ার জন্য একটি প্রভাবশালী মহল মরদেহ লুকানোর চেষ্টা করেছিল বলে স্বীকার করেছেন সুরভী অ্যাম্বুলেন্সের চালক তারেক হাসান।
ঠাকুরগাঁও সদর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) ভূষণ চন্দ্র বর্মন জানান, দুর্ঘটনা ও মরদেহ লুকানোর কারণ খুঁজতে পুলিশ কাজ শুরু করেছে।
সারাবাংলা/এমএইচ