নুসরাত হত্যা: অভিযোগপত্র গ্রহণের বিষয়ে শুনানি আজ
১০ জুন ২০১৯ ১১:১৯
ফেনী: ফেনীর সোনাগাজীর মাদরাসা ছাত্রী নুসরাত জাহান রাফি হত্যা মামলার অভিযোগপত্র গ্রহণ করা হবে কি না সে বিষয়ে শুনানি হবে আজ। সোমবার (১০ জুন) বেলা সাড়ে ১১টায় ফেনীর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে এই শুনানি হওয়ার কথা রয়েছে।
বাদি পক্ষের আইনজীবী শাহজাহান সাজু জানিয়েছেন, অভিযোগপত্র নিয়ে বাদির আপত্তি না থাকলে আলোচিত এ হত্যা মামলার কার্যক্রম চলবে। এর আগে, গত ১০ এপ্রিল রাত সাড়ে ৯ টায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায় নুসরাত। আলোচিত এ মামলায় এজহারভুক্ত ৮ আসামিসহ ১৬ জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেছেন পিবিআইয়ের তদন্তকারী কর্মকর্তা মো.শাহ আলম। ফেনীর সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট জাকির হোসাইন মামলাটি পরবর্তী কার্যক্রমের জন্য নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে স্থানান্তর করেন।
আইনজীবী শাহজাহান সাজু জানান, আজ সোমবার ২১ আসামিকে আদালতে তোলা হবে। মামলার বাদি যদি পিবিআইয়ের চার্জশিটে আপত্তি না দেনে তাহলে মামলাটি গ্রহণ করবেন আদালত। এতে মামলায় গ্রেফতার পাঁচজনের মামলা থেকে নিষ্পত্তি পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। কারণ এখন পর্যন্ত গ্রেপ্তার করা হয়েছে ২১ জনকে আর পিবিআই চার্জশিট দিয়েছে ১৬ জনের নামে। যে পাঁচজনের নাম অভিযোগপত্রে নেই তারা হলেন-নূর হোসেন হোনা মিয়া, আলা উদ্দিন, কেফায়েত উল্যাহ জনি, সাইদুল ইসলাম ও আরিফুল ইসলাম।
যাদের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দেওয়া হয়েছে তারা হলেন, প্রধান অভিযুক্ত এস.এম. সিরাজ উদদৌলা, আফসার উদ্দিন, জোবায়ের আহম্মেদ, মাকসুদ আলম কাউন্সিলর, জাবেদ হোসেন, নূর উদ্দিন, শাহাদাত হোসেন শামীম, হাফেজ আবদুল কাদের, উম্মে সুলতানা পপি, মো. শামীম, কামরুন নাহার মনি, আবদুর রহীম শরিফ, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি রহুল আমিন, এমরান হোসেন মামুন, ইফতেখার উদ্দিন রানা ও মহিউদ্দিন শাকিল।
পিবিআই এই মামলাটি গত ১০ এপ্রিল থেকে শুরু করে মোট ৫০ দিনে ৩৩ কার্যদিবসের মধ্যে তদন্ত কার্য সমাপ্ত করে চার্জশিট দেয়। মামলায় সর্বমোট ৯২ জন সাক্ষী মামলাটি প্রমাণ করবেন। এর মধ্যে কার্যবিধির ১৬১ ধারায় ৬৯ জন সাক্ষ্য দিয়েছেন। অন্যান্ হলেন বিশেষজ্ঞ, বাদি, মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও সিজার লিস্টের সাক্ষী।
মামলায় ৭ জন সাক্ষী কার্যবিধির ১৬৪ ধারায় সাক্ষ্য দিয়েছেন। ১২ আসামি নিজেদের দোষ স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি দিয়েছেন।
প্রসঙ্গত, চলতি বছরের ২৭ মার্চ সোনাগাজী ইসলামিয়া ফাজিল মাদরাসার আলিম পরীক্ষার্থী নুসরাত জাহান রাফিকে যৌন নিপীড়ের দায়ে ওই মাদরাসার অধ্যক্ষ সিরাজ উদ দৌলাকে আটক করে পুলিশ। পরে ৬ এপ্রিল ওই মাদরাসা কেন্দ্রের সাইক্লোন শেল্টারের ছাদে নিয়ে অধ্যক্ষের সহযোগীরা তার শরীরে আগুন ধরিয়ে দেয়। টানা ৫ দিন মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ে মারা যায় নুসরাত জাহান রাফি।
সারাবাংলা/এসএমএন
নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল নুসরাত হত্যা নুসরাত হত্যা মামলার চার্জশিট পিবিআই