১১ মাসে রফতানি লক্ষ্যমাত্রার চেয়েও ৬.৬৪% বেশি
১০ জুন ২০১৯ ১৯:১৬
ঢাকা: চলতি অর্থবছরে দেশের পণ্য রফতানিতে বড় ধরনের প্রবৃদ্ধি হয়েছে। ২০১৮-১৯ অর্থবছরের ১১ মাসে (জুলাই-মে) ৩ হাজার ৭৭৫ কোটি ৬ লাখ মার্কিন ডলারের পণ্য রফতানি হয়েছে। এই আয় গত অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় ১১ দশমিক ৯২ শতাংশ এবং নির্দিষ্ট সময়ের লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ৬ দশমিকি ৬৪ শতাংশ বেশি।
সোমবার (১০ জুন) রফতানি উন্নয়ন ব্যুরো (ইপিবি) প্রকাশিত সর্বশেষ প্রতিবেদন থেকে এসব তথ্য জানা গেছে।
ইপিবির প্রতিবেদনে দেখা যায়, ২০১৮-১৯ অর্থবছরে সবধরনের পণ্য রফতানিতে বৈদেশিক মুদ্রার লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছিল তিন হাজার ৯০০ কোটি মার্কিন ডলার। এরমধ্যে ১১ মাসে রফতানি আয় এসেছে ৩ হাজার ৭৭৫ কোটি ৬ লাখ ডলার। বিগত অর্থবছরের তুলনায় এই সময়ে প্রবৃদ্ধি হয়েছে ১১ দশমিক ৯২ শতাংশ। যদিও এই ১১ মাসে লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৩ হাজার ৫৪০ কোটি ডলার। লক্ষ্যমাত্রার তুলনায় রফতানি আয়ে প্রবৃদ্ধি হয়েছে ৬ দশমিক ৬৪ শতাংশ।
প্রতিবেদনে দেখা যায়, একক মাস হিসেবে গত মে মাসে ৩৮১ কোটি ৩৩ লাখ ডলারের পণ্য রফতানি হয়েছে। সমপরিমাণ রফতানি আয় এই মাসের লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ৯ দশমিক ২৩ শতাংশ বেশি এবং গত অর্থবছরের তুলনায় মাসভিত্তিক রফতানি আয়ে প্রবৃদ্ধি ১৪ দশমিক ৭৮ শতাংশ।
প্রতিবদেন থেকে জানা গেছে, তৈরি পোশাক রফতানিতে ভালো প্রবৃদ্ধি হওয়ায় সামগ্রিক পণ্য রফতানিতে ইতিবাচক প্রভাব পড়েছে। চলতি অর্থবছরের প্রথম ১১ মাসে পোশাক রফতানি থেকে আয় এসেছে ৩ হাজার ১৭৩ কোটি ডলারের বেশি। এই আয় গত অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় ১২ দশমিক ৮২ শতাংশ এবং লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ৬ দশমিক ৯৫ শতাংশ বেশি।
ইপিবির প্রতিবেদনে দেখা যায়, ২০১৮-১৯ অর্থবছরের ১১ মাসে তৈরি পোশাকখাত থেকে পণ্য রফতানি হয়েছে ৩ হাজার ১৭৩ কোটি ডলারের বেশি; যা অর্থবছরের তুলনায় ১২ দশমিক ৮২ শতাংশ এবং লক্ষ্যমাত্রার তুলনায় ৬ দশমিক ৯৫ শতাংশ বেশি। এর মধ্যে নিটওয়্যারখাতের পণ্য রফতানিতে ১ হাজার ৫৬৮ কোটি ২৪ লাখ ডলার আয় হয়েছে, যা লক্ষ্যমাত্রার তুলনায় বেড়েছে ৬ দশমিক ৯৮ শতাংশ। গত অর্থবছরের তুলনায় ১১ মাসে নিটওয়্যারখাতে প্রবৃদ্ধি হয়েছে ১২ দশমিক ৫০ শতাংশ। অন্যদিকে ওভেন গার্মেন্টস পণ্য রফতানিতে ১ হাজার ৬০৫ কোটি ১৪ লাখ ডলার আয় হয়েছে, যা লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ৬ দশমিক ৯২ শতাংশ বেশি। প্রবৃদ্ধি হয়েছে ১৩ দশমিক ১৩ শতাংশ।
ইপিবির প্রতিবেদন অনুযায়ী, চলতি অর্থবছরের ১১ মাসে ৪০ শতাংশ প্রবৃদ্ধি অর্জিত হয়েছে কৃষিপণ্য রফতানিতে। এ খাত থেকে আয় এসেছে ৮৫ কোটি ডলার। লক্ষ্যমাত্রার তুলনায় এখাতে রফতানি আয় বেড়েছে ৩২ শতাংশ। চলতি অর্থবছরের ১১ মাসে প্লাস্টিক পণ্যে প্রবৃদ্ধি বেড়েছে ২৫ দশমিক ২৭ শতাংশ। এ সময়ে আয় হয়েছে ১১ কোটি ডলার, যা লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ২৪ দশমিক ২৬ শতাংশ বেশি। গত ১১ মাসে পাট ও পাটজাত পণ্যের রফতানি আয়ে প্রবৃদ্ধি কমেছে ১৯ শতাংশ। একই সঙ্গে অর্জিত হয়নি লক্ষ্যমাত্রা। ১১ মাসে এ খাত থেকে আয় এসেছে ৭৭ কোটি ৩৫ লাখ ডলার।
এছাড়া চামড়াজাত পণ্য রফতানিতে লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে আয় কমেছে ৭ দশমিক ৪৯ শতাংশ। প্রবৃদ্ধিও গত বছরের চেয়ে ৫ দশমিক ৫৩ শতাংশ কম হয়েছে। এ সময়ে আয় হয়েছে ৯৪ কোটি ৩৮ লাখ ডলার।
সারাবাংলা/ইএইচটি/পিটিএম