কাতারে সৈন্যের সংখ্যা বাড়াচ্ছে তুরস্ক
১ ফেব্রুয়ারি ২০১৮ ১২:৩৭
সারাবাংলা ডেস্ক
কাতারের ভূখণ্ডের বিমান ও নৌবাহিনীর সেনা মোতায়েন করার পরিকল্পনা রয়েছে তুরস্ক। তুরস্কের একজন কূটনীতিক বলেছে, কাতারে ইতিমধ্যেই সেন ঘাঁটি বসিয়ে ফেলেছে তুরস্ক।
যদিও কাতারে অবস্থিত তুরস্কের রাষ্ট্রদূত ফিকরে ওজার সেনা ঘাঁটির সময়সীমার বিষয়ে কোনো মন্তব্য করেননি। এক সংবাদ সম্মেলনে বুধবার তিনি জানান, কাতার ও তুরস্কের মধ্যে ২০১৪ সালে একটি চুক্তি স্বাক্ষর হয়। সে অনুযায়ী কাতারের তুরস্ক স্থল, বিমান ও নৌবাহিনী স্থাপনের কথা রয়েছে।
কবে নাগাত এই সৈন্য মোতায়ন হবে এ বিষয়ে ওজার জানান আঙ্কারা ও দোহা আলোচনার মাধ্যমে ঠিক করবে ঠিক কবে নাগাত সৈন্যরা কাতার আসবে তবে এর আগে প্রয়োজনীয় অবকাঠামো তৈরিরও একটি সময় নির্ধারণ করা হবে।
২০১৫ সালে তুরস্কের সৈন্যদের একটি দল প্রথম দোহার তারিক বিন জিয়াদ সামরিক ঘাঁটিতে আসে। এ ঘাটিটি দোহার দক্ষিণে অবস্থিত। ৫ হাজার জন সৈন্য ঐ খাঁটিতে অবস্থান করতে পারেন। সেটিই ছিল মধ্যপ্রাচ্য তুরেস্কের প্রথম সেনা ঘাঁটি।
কাতারে এই মুহূর্তে কতজন সৈন্য আছে এই বিষয়ে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি রাষ্ট্রদূত ওজার। তিনি বলেন, ‘যদি কাতার চায় তবে তারা সৈন্যের সংখ্যা প্রকাশ করতে পারে। আমরা এখানে অতিথি।’
গত বছর ৬ জুন সৌদি আরব, বাহরাইন, সংযুক্ত আরব আমিরাত (সংযুক্ত আরব আমিরাত) ও মিশর কাতারের সঙ্গে কূটনৈতিক ও কাতারের সঙ্গে বাণিজ্যিক সম্পর্ক ছিন্ন করার পর থেকে তুরস্ক কাতারের পাশে আছে। কাতাদের বিরুদ্ধে আরবদের আঞ্চলিক প্রতিদ্বন্দ্বী ও সন্ত্রাসবাদের সহযোগী ইরানের সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রাখার অভিযোগ রয়েছে। কাতার এ সব অভিযোগ অস্বীকার করে আসছে।
আরব দেশগুলোর সঙ্গে কাতারের কূটনৈতিক সম্পর্কে ভাটা পড়ার পরে তুরস্ক সরকার কাতারের পাশে দাঁড়ায়, সৈন্য পাঠিয়ে কাতারের সৈন্যদের প্রশিক্ষণ দেয়া এই সহযোগিতারই অংশ। এমনকি আঙ্কারা দুই পক্ষের সম্পর্কে উদ্ধারের চেষ্টাও করছে।
সারাবাংলা/এমএ