সংসদ ভবন থেকে: গৃহায়ন ও গণপূর্তমন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম বলেছেন, প্রত্যেক নাগরিকের বাসস্থান নিশ্চিত করতে সরকার বদ্ধপরিকর। এ লক্ষ্যে স্বল্প ও মধ্যম আয়ের জনগোষ্ঠীর আবাসনের লক্ষ্যে সমন্বিত বেশ কিছু প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে।
সংসদের বাজেট অধিবেশনে মঙ্গলবার (১১ জুন) সংসদ সদস্য মমতাজ বেগমের এক মৌখিক প্রশ্নের জবাবে সংসদে গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রী এ তথ্য জানান। জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরিন শারমীন চৌধুরীর সভাপতিত্বে বিকেলে এ অধিবেশন শুরু হয়।
প্রশ্নোত্তর পর্বে আরও জানানো হয়, কাজটি বাস্তবায়নের জন্য গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের অধীন জাতীয় গৃহায়ন কর্তৃপক্ষ, রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ, চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ, খুলনা উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ ও রাজশাহী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষগুলো সম্পৃক্ত রয়েছে।
শ ম রেজাউল করিম বলেন, ‘প্রত্যেক নাগরিকের বাসস্থান নিশ্চিতে জাতীয় গৃহায়ন কর্তৃপক্ষ ঢাকা, গোপালগঞ্জ, ফরিদপুর, শরীয়তপুর, মাদারীপুর সদর, শীবচর, টাঙ্গাইল, ময়মনসিংহ, বরিশাল, পটুয়াখালী, খুলনা, মাগুরা, কুষ্টিয়া, যশোর, নড়াইল, পাবনা, বগুড়া, দিনাজপুর, রংপুর, ঈশ্বরদী, নাটোর, চাঁপাইনবাবগঞ্জ, সৈয়দপুর, শান্তাহার, জয়পুরহাট, চট্টগ্রাম, নোয়াখালী, চাঁদপুর, কুমিল্লা, মৌলভীবাজার, সুনামগঞ্জ ও হবিগঞ্জ জেলায় স্বল্প আয়ের মানুষের জন্য আবাসিক প্লট উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়িত হয়েছে এবং বরাদ্দ প্রাপ্তদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।’
মন্ত্রী আরও বলেন, ‘দেশের বিভিন্ন জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে বর্তমানে ১৬টি প্লট উন্নয়ন প্রকল্প এবং ১৫টি ফ্ল্যাট নির্মাণ প্রকল্প চলমান রয়েছে। এসব প্রকল্পে মোট ২ হাজার ৪৭২টি আবাসিক প্লট ও ৭ হাজার ২৯৫টি আবাসিক ফ্ল্যাট নির্মিত হবে। এছাড়া পাঁচটি প্লট উন্নয়ন প্রকল্প এবং ১০টি ফ্ল্যাট নির্মাণ প্রকল্প অনুমোদনের জন্য প্রক্রিয়াধীন আছে।’
গৃহায়ন ও গণপূর্তমন্ত্রী বলেন, ‘স্বল্প ও মধ্যম আয়ের লোকদের জন্য ঢাকাস্থ ১৮ নং সেক্টরে অ্যাপার্টমেন্ট নির্মাণ প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে। এই প্রকল্পের ‘এ’ ব্লকে ৭৯টি ১৬ তলা ভবনে ১ হাজার ৬৫৪ বর্গফুট আয়তনের ৬ হাজার ৬৩৬টি অ্যাপার্টমেন্টের নির্মাণ কাজ সম্পন্ন হয়েছে। তাছাড়া ‘বি’ ও ‘সি’ ব্লকে ৫২টি করে ১৬ তলা বিশিষ্ট ভবন নির্মিত হবে; যেখানে দুইটি ব্লকেই ৪ হাজার ৩৬৮টি করে ফ্ল্যাটের সংস্থান হবে।’
তিনি বলেন, ‘চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ দেশের প্রথম কর্মজীবী নারীদের জন্য সল্টগোলায় ডরমেটরি নির্মাণসহ আন্যান্য প্রকল্প সম্পন্ন করেছে। এছাড়া উপশহর, ফতোয়াবাদ নিউ টাউনশিপ, সিলিমপুর আবাসিক প্রকল্প ও বে-ভিউ স্মাট সিটি প্রকল্পসমূহ প্রক্রিয়াধিন আছে।’
তিনি আরও জানান, খুলনাতে নয়টি আবাসিক প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হয়েছে। সেখানে স্বল্প আয়ের মানুষ ও মধ্যবিত্তরা প্লট বরাদ্দ পেয়েছে। ওই এলাকায় স্বল্প আয়ের মানুষের জন্য তিনটি আবাসিক এলাকা তৈরি করে প্লট বরাদ্দ প্রদান করা হয়েছে। আর রাজশাহীতে দেশের স্বল্প আয়ের মানুষ ও মধ্যবিত্তদের আবাসনের সমস্যা সমাধানের লক্ষ্যে ধারাবাহিকভাবে আবাসিক এলাকা উন্নয়ন কার্যক্রম অব্যাহত রেখেছে। প্রকৃত ব্যয়ের ভিত্তিতে মূল্য নির্ধারণ করে ক্যাটাগরি অনুসরণ করে আবাসিক প্লট বরাদ্দ প্রদান করা হয়। সংশ্লিষ্ট এলাকায় স্বল্প ও মধ্যম আয়ের জনগোষ্ঠীর আবাসনের লক্ষ্যে নিজ অর্থায়নে সাতটি আবাসিক-বাণিজ্যিক উন্নয়ন প্রকল্পে মোট ১৭১টি প্লট বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। বিশেষ করে স্বল্প আয়ের মানুষ ও মধ্যবিত্তেদের জন্য ছায়ানীড় আবাসিক এলাকায় ২২৬টি প্লট বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। নিজ অর্থায়নে বর্তমানে বারনই আবাসিক এলাকা উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়নাধীন রয়েছে সেখানে ২০৫টি প্লটের সংস্থান থাকবে।
সারাবাংলা/এএইচএইচ/এমআই