বিশ্ব শিশুশ্রম প্রতিরোধ দিবস আজ
১২ জুন ২০১৯ ০২:২২
ঢাকা: বিশ্ব শিশুশ্রম প্রতিরোধ দিবস আজ। আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থা (আইএলও) এবারের প্রতিপাদ্য নির্ধারণ করেছে ‘শিশুশ্রম নয়, শিশুর জীবন হোক স্বপ্নময়’। এ উপলক্ষে শ্রম মন্ত্রণালয়সহ সংশ্লিষ্ট বিভাগ ও কর্তৃপক্ষ দিনব্যাপী নানা কর্মসূচি পালন করবে।
২০০২ সাল থেকে আইএলও শিশুর অধিকার সুরক্ষা ও ঝুঁকিপূর্ণ শিশুশ্রম প্রতিরোধের লক্ষ্যে নানা কর্মসূচি গ্রহণের মধ্য দিয়ে দিবসটি পালন করে আসছে। প্রতিবছর বাংলাদেশসহ বিশ্বের ৮০টি দেশে দিবসটি পালিত হয়।
বর্তমানে দেশে প্রায় ১৬ লাখ ৯৮ হাজার ৮৯৪টি শিশু বিভিন্ন কর্মে নিয়োজিত। এর প্রায় ৭৫ দশমিক ৩৫ শতাংশ (১২ লাখ ৮০ হাজার ১৯৫টি শিশু) নিয়োজিত ঝুঁকিপূর্ণ শ্রমে। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) সর্বশেষ জরিপ ও অর্থ মন্ত্রণালয়ের প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে।
দিবসটির গুরুত্ব তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাণী দিয়েছেন। মন্ত্রণালয়, আইএলও ঢাকা অফিস, বিভিন্ন বেসরকারি সংস্থা, প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিক গণমাধ্যম আলোচনা অনুষ্ঠান, বিশেষ প্রকাশনা, পোস্টার, লিফলেট বিতরণসহ বিভিন্ন কর্মসূচি হাতে নিয়েছে।
শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলেছে, এসডিজি লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে সরকার শিশুশ্রম নিরসনে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। ইতোমধ্যে ৩৮টি কাজকে শিশুদের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে ঘোষণা করেছে সরকার। ঝুঁকিপূর্ণ শিশুশ্রম নিরসনে শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় ২৮৪ কোটি টাকা ব্যয়ে প্রকল্প হাতে নিয়েছে। এ প্রকল্পের চতুর্থ পর্যায়ে ঝুঁকিপূর্ণ কাজে নিযুক্ত একলাখ শিশুকে প্রত্যাহার করে বৃত্তিমূলক ও কারিগরি শিক্ষা দেওয়া হবে।
জানা গেছে, মালিক, শ্রমিক ও সুশীল সমাজের সঙ্গে আলোচনা করে মোট ৩৮টি কাজকে শিশুর জন্য ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করেছে এসব কমিটি। ঝুঁকিপূর্ণ কাজে নিয়োজিত শিশুদের জন্য ১৮ মাসব্যাপী উপানুষ্ঠানিক শিক্ষা ও ছয় মাস মেয়াদি দক্ষতা উন্নয়নমূলক প্রশিক্ষণ কার্যক্রম পরিচালনা করা হচ্ছে। এর মাধ্যমে ৯০ হাজার শিশু স্বাভাবিক জীবনে ফিরে এসেছে।
অর্থ মন্ত্রণালয়ের তথ্যমতে, সরকার ২০১৫-১৬ অর্থবছর শিশু বাজেট প্রণয়নের মাধ্যমে শিশু উন্নয়নকে জাতীয় উন্নয়ন পরিকল্পনা ও বাজেটের মূলধারায় নিয়ে এসেছে। শিশুদের জন্য বরাদ্দ প্রতি বছরই বাড়ছে। সরকারের লক্ষ্য ২০২০ সাল নাগাদ শিশুকেন্দ্রিক বাজেট বরাদ্দ মোট বাজেটের ২০ শতাংশে উন্নীত করা। চলতি অর্থবছরে বরাদ্দ ১৪ শতাংশ ছাড়িয়েছে। সরকারের সময়োপযোগী পদক্ষেপে শিশুশ্রম নিরসনে জনসচেতনতা বেড়েছে।
সারাবাংলা/কেকে/এমএইচ