পাটকল আধুনিকায়নে চীন সরকারের কাছে প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে
১২ জুন ২০১৯ ১৯:২৯
ঢাকা: দেশের পাটকলগুলোর আধুনিকায়নে চীন সরকারের কাছে প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী। বুধবার (১২ জুন) জাতীয় সংসদে এক সম্পূরক প্রশ্নের জবাবে তিনি একথা বলেন।
সুনামগঞ্জ-১ আসনের সংসদ সদস্য মোয়াজ্জেম হোসেন রতনের অপর এক প্রশ্নের জবাবে গোলাম দস্তগীর গাজী বলেন, দেশে পাটজাত পণ্যের ব্যবহার নিশ্চিত করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। পণ্যে পাটজাত মোড়কের বাধ্যতামূলক ব্যবহার আইন-২০১০ প্রনয়ণ করা হয়েছে। এই আইনের আওতায় ১৯টি পণ্যের মোড়কিকরণে পাটের ব্যবহার বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। এ আইন বাস্তবায়নে প্রচার-প্রচারণাসহ নিয়মিত বাজার পরিদর্শন ও ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করা হচ্ছে।
সংসদ সদস্য বেগম লুৎফুন্নেসা খানের তারকাচিহ্নিত প্রশ্ন ৬২‘র জবাবে বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী সংসদকে জানান, রাষ্ট্রায়ত্ত পাটকলগুলোতে গ্রাচুইটি ও প্রভিডেন্ট ফান্ড বাবদ মোট বকেয়ার পরিমাণ ৬২৭ দশমিক ৯৫ কোটি টাকা। পর্যাপ্ত অর্থ না থাকায় এসব বকেয়া পরিশাধ করা সম্ভব হচ্ছে না। অর্থের সংস্থান হওয়া সাপেক্ষে এসব শ্রমিকেদের গ্রাচুইটি এবং প্রভিডেন্ট ফান্ড পরিশোধ করা হবে।
বস্ত্র ও পাটমন্ত্রীবলেন, ‘সুদানে ৬৫০ কোটি টাকা আটকে আছে, এই টাকাটা পাওয়া গেলে শ্রমিকদের বকেয়া পাওনা পরিশোধ করতে পারবো।’
এছাড়া শ্রমিকদের বকেয়া পাওনা পরিশোধের জন্য অর্থ মন্ত্রণালয়ে চিঠি দেওয়া হয়েছে বলেও জানান মন্ত্রী।
ঢাকা-৭ আসনের সংসদ সদস্য হাজী মো. সেলিমের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, সরকার পরিচালিত পাটকলগুলোতে অবিক্রিত পাটজাত পণ্যের পরিমান ৭৭ হাজার ৭১৩ মেট্রিকটন। যার বর্তমান বাজারমূল্য আনুমানিক ৬২১ দশমিক ৬৯ কোটি টাকা।
‘সুদান সরকারের চাহিদা মোতাবেক বিশেষ আকারে যে পাটের বস্তা তৈরি করা হয়েছিল তারা সেগুলো এখনো গ্রহণ করেনি। এছাড়া মিলগুলোর অবিক্রিত পাটজাত পণ্য বিক্রির লক্ষ্যে সরকার বেশকিছু পদক্ষেপ নিয়েছে। সেগুলো হলো: সংশ্লিষ্ট স্টেক হোল্ডারদের সঙ্গে যোগাযোগ অব্যাহত রাখা, বিজেএমসি, জেবিসিসি এবং ইপিবির যৌথ উদ্যোগে দেশে বিদেশে বিভিন্ন মেলায় অংশ নেওয়ার মাধ্যমে পাটপণ্যের ব্যবহার ও বাজার সম্প্রসারণের প্রচেষ্টা চালানো। এর ফলশ্রুতিতে সাম্প্রতিক সময়ে চীন, রাশিয়া, জাপান, দক্ষিণ কোরিয়া, যুক্তরাজ্য, জার্মানি ও ফিনল্যান্ডে বাজার সম্প্রসারণ কার্যক্রমের প্রতিনিধি দল পাঠানো হয়েছে। খাদ্য মন্ত্রণালয়, শিল্প মন্ত্রণালয়, কৃষি মন্ত্রণালয় ও বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সাথে এমওইউ (মেমোরেন্ডাম অব আন্ডারস্ট্যান্ডিং) সাক্ষরিত কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।’ যোগ করেন মন্ত্রী।
সারাবাংলা/এএইচএইচ/এসএমএন