বাজেটে জনগণের প্রত্যাশা পূরণ হবে না: খসরু
১৩ জুন ২০১৯ ১৮:৫১
ঢাকা: একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে যেমন জনগণের প্রত্যাশা পূরণ হয়নি, তেমনি ২০১৯-২০ অর্থবছরের জন্য প্রস্তাবিত বাজেটেও জনগণের প্রত্যাশা পূরণ হবে না বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী।
বৃহস্পতিবার (১৩ জুন) জাতীয় সংসদে ২০১৯-২০ অর্থবছরের বাজেট উত্থাপনের পর তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন তিনি।
আমীর খসরু চৌধুরী বলেন, ‘দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে বাংলাদেশ সরকারই অনির্বাচিত। বাজেট দেওয়ার নৈতিক অধিকার নেই তাদের। কারণ, তারা জনগণের ভোটে নির্বাচিত নয়- তারা জনগণের কাছে দায়বদ্ধও নয়।’
‘দেশের অর্থনীতি কিছু সংখ্যক মানুষের কাছে জিম্মি হয়ে গেছে। তারা বাজেট প্রণয়ন করছে। তারা অর্থনীতি নিয়ন্ত্রণ করছে। আবার তারাই সরকার পরিচালনা করছে’— বলেন আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী।
তিনি বলেন, ‘সামষ্টিক অর্থনীতি নষ্ট হয়ে গেছে। এখন ঋণনির্ভর বাজেট দিতে হচ্ছে। বর্তমানে এক মিলিয়নের জায়গায় যে তিন মিলিয়ন বরাদ্দ দেওয়া হচ্ছে, সেই টাকা তো আপনার-আমার পকেট থেকেই নেওয়া হবে। করের মাধ্যমে, ভ্যাটের মাধ্যমে বা অন্য কোনো মাধ্যমে সরকার এই টাকা মানুষের পকেট কেটে নেবে।’
সুশাসনের অভাবে দেশের সামষ্টিক অর্থনীতি বাধাগ্রস্ত হচ্ছে অভিযোগ করে খসরু বলেন, ‘ব্যক্তিখাতের বিনিয়োগ বন্ধ, শেয়ার বাজারে অস্থিরতা, ব্যাংকে তারল্য সংকট। এমন পরিস্থিতিতে ঋণনির্ভর অর্থনীতির দিকে যাচ্ছে সরকার। রফতানির চেয়ে আমদানি বেশি হচ্ছে। যে প্রবৃদ্ধির কথা বলা হচ্ছে, তার সত্যতা নিয়ে প্রশ্ন আছে। কোনো সূচকের সঙ্গেই প্রবৃদ্ধির সূচক মেলানো যাচ্ছে না। বেকারত্ব বাড়ছে। দক্ষিণ এশিয়ার সবচেয়ে বেশি বেকার বাংলাদেশে।’
ধনী ও সুবিধাভোগী শ্রেণির কথা চিন্তা করেই প্রস্তাবিত বাজেট দেওয়া হয়েছে অভিযোগ করে সাবেক এই বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, ‘এতে সাধারণ মানুষের কোনো উপকার হবে না। প্রস্তাবিত বাজেটের মাধ্যমে সাধারণ মানুষের ওপর নতুন করে ঋণ ও করের বোঝা চাপিয়ে দেওয়া হয়েছে। এই বাজেটের ফলে দেশে অর্থনীতি পুরোপুরি ঋণনির্ভর হয়ে পড়বে। এই ঋণ শোধ করতে নাগরিকদের ভুগতে হবে চরমভাবে।’
সারাবাংলা/এজেড/পিটিএম