বস্ত্র ও পাটে বরাদ্দ বাড়ল ৬২ কোটি টাকা
১৩ জুন ২০১৯ ১৮:৫৭
ঢাকা: ২০১৯-২০ অর্থবছরের বাজেটে বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের জন্য আটশ কোটি টাকা বরাদ্দের প্রস্তাব করেছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। গত অর্থবছরের বাজেটে এই মন্ত্রণালয়ের জন্য বরাদ্দ ছিল ৭৩৮ কোটি টাকা। সেই হিসাবে গত বাজেটের তুলনায় এ বাজেটে বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের জন্য বরাদ্দ বেড়েছে ৬২ কোটি টাকা।
বৃহস্পতিবার (১৩ জুন) বিকেলে ২০১৯-২০ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেট জাতীয় সংসদে উত্থাপন করেন অর্থমন্ত্রী। স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে বিকেল ৩টায় শুরু হয় অধিবেশন।
২০১৯-২০ অর্থবছরের জন্য ৫ লাখ ২৩ হাজার ১৯০ কোটি টাকার প্রস্তাবিত বাজেট উপস্থাপন করেন অর্থমন্ত্রী। টানা তৃতীয় মেয়াদে ক্ষমতায় আসার পর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগ সরকারের প্রথম বাজেট এটি। গত ১১ জুন একাদশ জাতীয় সংসদের তৃতীয় অধিবেশন (বাজেট অধিবেশন) শুরু হয়।
বাজেট বক্তৃতায় অর্থমন্ত্রী বলেন, পাট খাতের যেসব সমস্যা রয়েছে, সেগুলো চিহ্নিত করে নিরসনের জন্য পাট আইন, ২০১৭ ও জাতীয় পাটনীতি-২০১৮ প্রণয়ন করা হয়েছে। সরকারের সহযোগিতায় বিজ্ঞানীরা পাটের জন্ম রহস্য উন্মোচনসহ পলিথিনের বিকল্প সোনালি ব্যাগ উদ্ভাবন করেছে। পাটের তৈরি সোনালি ব্যাগের ব্যবহার বাড়ানোর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
অর্থমন্ত্রী জানান, চলতি ২০১৮-১৯ অর্থবছরে মোট ৩৫ ধরনের পণ্য রফতানির বিপরীতে রফতানি প্রণোদনা দেওয়া হচ্ছে। ২০০৮-০৯ অর্থবছরে রফতানি প্রণোদনার পরিমাণ ছিল ১৫শ কোটি টাকা, যা ২০১৭-১৮ অর্থবছরে এসে দাঁড়িয়েছে ৪ হাজার ৪৮১ কোটি টাকায়।
২০১৯-২০ অর্থবছরে বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ে ৮০০ কোটি টাকার প্রস্তাব করেন অর্থমন্ত্রী। চলতি অর্থবছরে সংশোধিত বাজেট এই মন্ত্রণালয়ের জন্য বরাদ্দ ছিল ১ হাজার ৬১৪ কোটি টাকা। তবে চলতি অর্থবছরে মূল বাজেট বরাদ্দ ছিল ৭৩৮ কোটি টাকা।
অর্থমন্ত্রী আরও বলেন, তৈরি পোশাক রফতানিতে পৃথিবীতে আমরা দ্বিতীয় স্থানে রয়েছি। বর্তমান বৈশ্বিক বাণিজ্যের প্রেক্ষাপটে এ খাতটিও একটি বিকাশমান ও সম্ভাবনাময় খাত। এ বিবেচনায় আমাদের সরকার এই খাতটির জন্য বিদ্যমান নগদ প্রণোদনাসহ সব ধরনের সুযোগ-সুবিধা অব্যাহত রেখেছে। বর্তমানে তৈরি পোশাক রফতানির চারটি খাতে সর্বোচ্চ ৪ শতাংশ হারে প্রণোদনা দেওয়া হচ্ছে। তৈরি পোশাক রফতানি বাড়ানোর লক্ষ্যে আগামী অর্থবছরে অবশিষ্ট সব খাতে তৈরি পোশাক রফতানিতে ১ শতাংশ হারে রফতানি প্রণোদনার প্রস্তাব করেন অর্থমন্ত্রী। এর জন্য বাজেটে অতিরিক্ত ২ হাজার ৮২৫ কোটি টাকা বরাদ্দের প্রস্তাব করেন তিনি।
সারাবাংলা/এনআর/টিআর