‘সাহসী বাজেট, দেশ এগিয়ে যাবে’
১৩ জুন ২০১৯ ২০:৩০
চট্টগ্রাম ব্যুরো: জাতীয় সংসদে প্রস্তাবিত ২০১৮-২০১৯ সালের বাজেটকে ‘ব্যবসাবান্ধব ও সাহসী’ হিসেবে উল্লেখ করেছেন চট্টগ্রামের ব্যবসায়ীদের দুটি শীর্ষ সংগঠন। এই বাজেট বাস্তবায়ন করা গেলে দেশ এগিয়ে যাবে বলেও মনে করছে ব্যবসায়ীদের প্রতিনিধিত্বশীল এই দুটি সংগঠন।
বাজেট ঘোষণার পর বৃহস্পতিবার (১৩ জুন) গণমাধ্যমে এই প্রতিক্রিয়া পাঠিয়েছে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজ এবং চট্টগ্রাম চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজ। মেট্রোপলিটন চেম্বারের পক্ষে সভাপতি খলিলুর রহমান এবং চট্টগ্রাম চেম্বারের পক্ষে সহসভাপতি সৈয়দ জামাল আহমেদ এই প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন।
দেশ এগিয়ে যাবে: মেট্রোপলিটন চেম্বার
প্রতিক্রিয়ায় খলিলুর রহমান বলেন, বাংলাদেশের প্রথম বাজেট ছিল মাত্র ৭৮৬ কোটি টাকা। ৪৯ বছর পর বর্তমানে জাতি পেয়েছে ৫ লাখ ২৩ হাজার কোটি টাকার বাজেট। দেশের অগ্রগতি যেভাবে হচ্ছে তাতে এই বাজেট বাস্তবায়ন অবশ্যই হবে। আর এই সাহসী বাজেট বাস্তবায়ন হলে দেশ এগিয়ে যাবে।
যোগাযোগ, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, জ্বালানি ও বন্দর উন্নয়ন খাতে আরও বরাদ্দ দিলে জিডিপি ৮ দশমিক ৫ শতাংশ ছাড়িয়ে যাবে বলে মনে করছেন তিনি। ব্যাংকঋণ ছাড়া বাজেট বাস্তবায়নের উপায়ও খুঁজতে বলেছেন দেশের শীর্ষস্থানীয় এই শিল্পপতি।
বেশি মানুষকে ভ্যাটের আওতায় এনে প্রাপ্ত ভ্যাট সরকারি কোষাগারে জমা হওয়া নিশ্চিতের কথাও বলেছেন তিনি। এছাড়া কাস্টম হাউসের অটোমেশনের জন্য বিশেষ বরাদ্দ চেয়েছেন তিনি।
দ্রব্যমূল্য বাড়ার সম্ভাবনা নেই: চট্টগ্রাম চেম্বার
প্রস্তাবিত বাজেটে চট্টগ্রাম-ঢাকা দ্রুতগতির ট্রেন ও বে-টার্মিনাল নির্মাণ পরিকল্পনাকে বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে দেখছেন চট্টগ্রাম চেম্বারের সহসভাপতি সৈয়দ জামাল আহমেদ। তিনি বলেন-এসএমই খাতের উন্নয়ন, নারী উদ্যোক্তা সৃষ্টি, দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণ ও রাজস্ব আহরণের আওতা বাড়াতে ভূমিকা রাখবে প্রস্তাবিত বাজেট।
প্রস্তাবিত বাজেটের কারণে বাজারে বেশিরভাগ দ্রব্যমূল্যের কোনো পরিবর্তন হবার সম্ভাবনা নেই বলেও মনে করছেন চেম্বার সহসভাপতি। তিনি বলেন, সাহসী এই বাজেট বাস্তবায়নের মধ্য দিয়ে ৮ দশমিক ২ শতাংশ জিডিপি অর্জন করা গেলে দেশের উন্নয়ন ত্বরান্বিত হবে।
‘সরকার ব্যবসা-বাণিজ্যের ক্ষেত্রে অব্যাহত সুযোগ সুবিধার পাশাপাশি কিছু নতুন সুযোগ সৃষ্টি করেছে। স্থানীয় সরকার, সড়ক ও রেল যোগাযোগ ব্যবস্থা এবং বিদ্যুৎখাতে সর্বোচ্চ বরাদ্দের ফলে অবকাঠামোগত উন্নয়ন ত্বরান্বিত হবে ও দেশি-বিদেশি বিনিয়োগ বৃদ্ধি পাবে।’
চট্টগ্রাম চেম্বারের পক্ষ থেকে ব্যক্তিগত করসীমা বাড়ানোর দাবি করা হয়েছে। এছাড়া ব্যক্তি মালিকানাধীন গাড়ীর ক্ষেত্রে ১০ শতাংশ সম্পূরক শুল্ক প্রত্যাহারেরও দাবি করা হয়েছে।
অগ্রিম কর প্রদানের ক্ষেত্রে সীমা ৪ লাখ থেকে ৬ লাখ টাকা এবং এসএমই খাতে টার্নওভার ৩৬ লক্ষ থেকে ৫০ লক্ষে উন্নীত করা, তৈরি পোশাক শিল্পে হ্রাসকৃত করহার সুবিধা অব্যাহত রাখা, সারচার্জের ক্ষেত্রে ২ কোটি ২৫ লাখ টাকার সীমা ৩ কোটি টাকা পর্যন্ত বৃদ্ধি করা, দেশীয় কৃষি যন্ত্রপাতি, আসবাবপত্র, চামড়াজাত পণ্য, গৃহস্থলী পণ্য কর অবকাশ সুবিধা প্রদানের প্রস্তাব, পুঁজিবাজারে ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীদের সুবিধার্থে ডিভিডেন্ড হতে আয়ের করমুক্ত সীমা ২৫ হাজার থেকে ৫০ হাজার টাকা পর্যন্ত বৃদ্ধি করাকে ইতিবাচক হিসেবে দেখছে চট্টগ্রাম চেম্বার।
সারাবাংলা/আরডি/এমআই
চট্টগ্রাম চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজ চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজ বাজেট