পুরোটা না হলেও ৭০ ভাগ খুশি: বিজিএমইএ সভাপতি
১৩ জুন ২০১৯ ২২:৪৫
ঢাকা: ২০১৯-২০ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে শতভাগ খুশি না হলেও ৭০ ভাগ সন্তুষ্ট বলে মন্তব্য করেছেন তৈরি পোশাক রফতানিকারকদের সংগঠন বিজিএমইএর সভাপতি রুবানা হক। তিনি বলেন, ‘বাজেটকে সাধুবাদ জানাই। আমরা নিঃসন্দেহে মনি করি এটি একটি জনকল্যাণমুখী বাজেট। তবে শিল্পের দিক থেকে যদি বলতে বলা হয় তাহলে এইটুকু বলতে পারি শতভাগ খুশি না হলেও আমরা ৭০ ভাগ খুশি।’
বৃহস্পতিবার (১৩ মে) বিকেলে তাৎক্ষণিক বাজেট প্রতিক্রিয়ায় তিনি এসব কথা বলেন।
এদিকে, ২০১৯-২০ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে তৈরি পোশাক রফতানির সবক্ষেত্রে নগদ প্রণোদনা এক শতাংশ বাড়ানোর প্রস্তাব করা হয়েছে। বাজেটে তৈরি পোশাকখাতে অতিরিক্ত ২ হাজার ৮২৫ কোটি টাকা প্রণোদনার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। কিন্তু সংগঠনটি বারবারই পাঁচ শতাংশ প্রণোদনা দাবি করে আসছিল।
রুবানা হক বলেন, ‘আমাদের জন্য কিছু ভালো সংবাদ আছে এবং কিছু দুঃসংবাদও আছে। পোশাক রফতানিতে এক শতাংশ হারে প্রণোদনার ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। আমরা শতকরা পাঁচ ভাগ চেয়েছিলাম। পাঁচ হলে হয় ১৪ হাজার কোটি টাকা, সেটা এখন ২ হাজার ৮২৫ কোটি টাকা বাড়িয়েছে। পোশাক খাতের জন্য একটি একটি ক্রান্তিকাল। আমরা মনে করি ২৮২৫ কোটি টাকা যেটি অন্যান্য বছরের চেয়ে বেশি, গত ১০ বছরের মধ্যে সবচেয়ে বেশি প্রণোদনা দেওয়া হয়েছে। তবে এটিও সত্যি, পোশাক খাত এমন একটি চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হচ্ছে—যেখানে এই প্রণোদনাকে আমরা যৎসামান্য বলে মনে করি। অন্তত যদি ৩ ভাগ দেওয়া হতো তাহলে আমাদের লাভ হতো। এটি অত্যন্ত ছোট একটি ফিগার আমাদের জন্য হয়ে গেছে।’
নতুন উদ্যোক্তাদের জন্য ১০০ কোটি টাকা বরাদ্দের প্রস্তাবকে খুবই আশাব্যঞ্জক বলেও মন্তব্য করেন রুবানা হক। এছাড়া সামাজিক সুরক্ষা খাতে পোশাক শ্রমিককে অন্তর্ভুক্ত করার কথা জানিয়ে বাজেটের আগেই অর্থমন্ত্রীকে চিঠি দেওয়ার কথা উল্লেখ করেন রুবানা হক। তিনি বলেন, ‘প্রস্তাবিত বাজেটে পোশাক শ্রমিককে একহাতে অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি। যেহেতু সামাজিক সুরক্ষা খাতে বরাদ্দ বেশি দেওয়া হয়েছে তাই এখনো সুযোগ আছে পোশাক শ্রমিককে সামাজিক সুরক্ষা খাতের আওতায় নিয়ে আসার।’
সারাবাংলা/ইএইচটি/এমআই