ট্যাংকারে বিস্ফোরণের দায়িত্ব নিতে ইরানের অস্বীকৃতি
১৪ জুন ২০১৯ ১৩:০০
মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও বলেছেন, কোনো রকম উসকানি ছাড়াই ওমান উপসাগরে ক্ষতিগ্রস্ত দুটি তেলের ট্যাংকারে হামলা চালিয়েছেন ইরান। তবে ইরান যুক্তরাষ্ট্রের এই দাবিকে ভিত্তিহীন দাবি করে জানিয়েছে, জাহাজে বিস্ফোরণের সঙ্গে ইরানের কোনো সম্পর্ক নেই।
বৃহস্পতিবার (১৩ জুন) পম্পেও বলেন, হামলায় যে ধরনের বিস্ফোরক ব্যবহার করা হয়েছে সেসব পরীক্ষা-নিরীক্ষা চালিয়ে ও গোয়েন্দা তথ্যের ওপর ভিত্তি করে ইরানের সম্পৃক্ততা বিষয়ে নিশ্চিত হওয়া গেছে। তবে পম্পেও তার অভিযোগের ব্যাপারে কোনো প্রমাণ উত্থাপন করেননি। খবর বিবিসির।
এর আগে বৃহস্পতিবার জাপানের মালিকানাধীন কোকুকা কোরাজিওয়াস ও নরওয়ের ফ্রন্ট আলতায়ারে হামলার অভিযোগ আনা হয়। মধ্যপ্রাচ্যের গুরুত্বপূর্ণ নৌপথ হরমুজ প্রণালীর কাছে ওমান উপসাগরে এই ঘটনা ঘটে। দুই জাহাজ থেকে উদ্ধার করা হয় ৪৪ নাবিককে। যুক্তরাষ্ট্র ও ইরান উভয় দেশই দাবি করে তারা উদ্ধার তৎপরতায় অংশ নিয়েছে।
এই হামলার পরই বিশ্ববাজারে তেলের দাম শতকরা ৪ ভাগ বেড়েছে। প্রসঙ্গত, বিশ্বজুড়ে ব্যবহৃত তেলের এক-পঞ্চমাংশ ওই সাগর পথে পরিবহন করা হয়। যুক্তরাষ্ট্র-ইরানের সম্পর্কের অবনতি হওয়ায় ইরান হুমকি দিয়েছিল তারা হরমুজ প্রণালী বন্ধ করে দেবে।
প্রসঙ্গত, গত ১২ মে একই অঞ্চলে ফুজাইরাহ বন্দরের নিকটে অন্য ৪টি তেলবাহী ট্যাংকারে হামলা চালিয়ে ক্ষতি করা হয় বলে দাবি করে সৌদি আরব ও আরব আমিরাত। হামলার শিকার হওয়া দুটি জাহাজ সৌদি মালিকানাধীন। অন্যদুটি নরওয়ের ও আর-আমিরাতের। কে বা কারা এই হামলা চালিয়েছে তা নিশ্চিত হওয়া না গেলেও ওই হামলার ঘটনায় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ইরানকে দায়ী করেছিল। সে বারও ইরান জানায় হামলার বিষয়ে তারা কিছু জানেনা।
সারাবাংলা/এনএইচ
ওমান উপসাগর তেলের ট্যাংকারে হামলা যুক্তরাষ্ট্র-ইরান সম্পর্ক হরমুজ প্রণালী