ব্যবসায়ীরা খুশি মনে ভ্যাট আইন বাস্তবায়ন করবে, আশা প্রধানমন্ত্রীর
১৪ জুন ২০১৯ ১৬:২০
ঢাকা: সাত বছর আগের প্রস্তাবিত ভ্যাট আইন শেষ পর্যন্ত ২০১৯-২০ অর্থবছরের বাজেটে এসে পাস হতে যাচ্ছে। দীর্ঘ জল্পনা-কল্পনার পর মূল্য সংযোজন করের (ভ্যাট) ছয়টি স্তর রেখে পাস হতে যাওয়া এই আই ব্যবসায়ীরা খুশি মনেই বাস্তবায়ন করতে সহায়তা করবেন বলে আশাবাদ জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
শুক্রবার (১৪ জুন) বিকেলে রজধানীর আগারগাঁও বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্র থেকে বাজেট পরবর্তী সংবাদ সম্মেলন থেকে এ আশাবাদ জানান তিনি।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ভ্যাট আইনটি এমনভাবে তৈরি করা হয়েছে, যেন জিনিসপত্রের দাম না বাড়ে। অর্থাৎ এর ফলে সাধারণ মানুষের জীবনে নেতিবাচক প্রভাব না পড়ে।
আরও পড়ুন- বার্ষিক টার্নওভার ৫০ লাখ হলে ভ্যাট লাগবে না
এর আগে, ২০১২ সালে প্রথম ভ্যাট আইনটি প্রস্তাব করা হয়। কিন্তু ব্যবসায়ীদের বাধার মুখে আইনটি পাস করা যায়নি। পরে একাধিকবার আইনটি পাসের উদ্যোগ নিয়েও সফল হয়নি সরকার। সর্বশেষ ২০১৭ সালে আইনটি পাসের জন্য আরও দুই বছর সময় চান ব্যবসায়ীরা। তারা আইনের কিছু পরিমার্জনও দাবি করেন।
ব্যবসায়ীদের দাবি মাথায় রেখে প্রস্তাবিত ভ্যাট আইনে কিছু পরিমার্জন এনে ছয় স্তরে ভ্যাট কাটার বিধি রেখে ভ্যাট আইনটি চূড়ান্ত করা হয়েছে। ২০১৯-২০ অর্থবছরের বাজেটে এই আইনটি বাস্তবায়নের প্রস্তাব করা হয়েছে। ফলে শেষ পর্যন্ত বাস্তবয়িত হতে যাচ্ছে এই আইনটি। আর ব্যবসায়ীদের দাবি যেহেতু যথেষ্টই মানা হয়েছে, এই আইন বাস্তবায়নেও তাই ব্যবসায়ীরা খুশি মনেই সহায়তা করবেন বলে আশা জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।
এদিকে, কাঙ্ক্ষিত রাজস্ব আদায় নিশ্চিত করতে অনলাইন সিস্টেম চালু করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) সঙ্গে সব ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের অনলাইন সংযোগ চালুর মাধ্যমে ইলেকট্রনিক ফিসক্যাল ডিভাইস (ইএফডি) স্থাপন বাধ্যতামূলক করা হচ্ছে। এর ফলে আর ভ্যাট ফাঁকি দেওয়ার সুযোগ থাকবে না।
বাজেট প্রস্তাবনা অনুযায়ী কিছু পণ্যে দাম বাড়বে। তবে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য নয়, বিশেষ বিশেষ পণ্যের মূল্য বাড়ানো হয়েছে বলে জানান প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, তামাক ও তামাকজাত পণ্যে বাড়তি কর আরোপের প্রস্তাব করা হয়েছে। এর মাধ্যমে মূলত এসব পণ্যের ব্যবহার হ্রাসের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এগুলোর দাম বাড়লে যদি ব্যবহার কমে, তাহলে একদিকে যেমন জনস্বাস্থ্য সুরক্ষা হবে, তেমনি বাড়তি করের কারণে রাজস্বও বাড়বে। তবে গ্রামীণ মানুষের কথা বিবেচনা করে বিড়ির দামের ওপর শুল্কহার সহনীয় পর্যায়ে রাখা হয়েছে।
সারাবাংলা/জেএএম/টিআর