গৌড় মালহারে স্বাগত বর্ষা
১৫ জুন ২০১৯ ১৬:৫৭
ঢাকা: বাদল মেঘের দিন। আজ পহেলা আষাঢ়। নবধারা জলে স্নিগ্ধ হয়ে উঠবে প্রকৃতি ও প্রাণ। জ্যৈষ্ঠের খরতাপ যেন বর্ষাকে আরও বেশি প্রত্যাশিত, আকাঙ্ক্ষিত করে তুলেছিল।
প্রথম সকালে বর্ষা বরণের আয়োজন করা হয় বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণে। নজরুল মঞ্চে গৌড় মালহার রাগে সেতারে ওঠে ঝঙ্কার। আরোহীর সাত সুর মেলে ধরে নবঋতু বরণের ডালা। আর অবরোহীর কোমল নিষাদ বর্ষার স্নিগ্ধতা এনে দেয় ব্যস্ত শহুরে প্রাণে।
আরও পড়ুন: বাদল দিনের প্রথম কদম ফুল
এমন সময় নামে আষাঢ়ের প্রথম বৃষ্টি। প্রতিবছরের মতো এবারও শনিবার (১৫ জুন) উদীচী শিল্পী গোষ্ঠী ঢাকা মহানগর আয়োজন করে ‘বর্ষা উৎসব ১৪২৬’। সকাল ৭টায় শুরু হয় বর্ষা উৎসবের আনুষ্ঠানিকতা।
শুরুতেই গৌড় মালহার রাগে শিল্পী ইবাদুল হকের সেতারে ওঠে ঝঙ্কার। এরপর বর্ষার গানে দলীয় নৃত্যে মুগ্ধ হন উপস্থিত দর্শকশ্রোতা।
বৃষ্টি থামার পরে ফের শুরু হয় অনুষ্ঠান। ছড়া, কবিতা, লোকগীতি আর দলীয় নৃত্যের মাঝে মাঝে উপস্থাপন করা হয় বর্ষা কথন।
বর্ষা বরণে অতিথিরাও সেজেছিলেন বর্ণিল সাজে। শাড়ি, খোঁপায় গাজরা, পাঞ্জাবি উৎসবে যোগ করে নতুন মাত্রা। শিশুদের প্রাণোচ্ছল উপস্থিতি ছিল চোখে পড়ার মতো।
উদীচী কেন্দ্রীয় সংসদের সভাপতি অধ্যাপক ও গবেষক ড. সফিউদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘বর্ষাঋতু আমাদের প্রাণের শান্তির স্পর্শ দিয়ে যায়। আকাশ মেঘে ঢেকে যায়, উবে যায় তীব্র গরম। আমাদের সংস্কৃতি ও সঙ্গীতে বর্ষা চিরকালই নতুন জাগরণ ঘটায়।’
শিল্পী শংকর সাওজাল বলেন, ‘সৌন্দর্য্যমণ্ডিত বর্ষা আমাদের মাঝে প্রাণপ্রাচুর্য্যে মহীয়ান হয়ে উঠে। এ কারণেই আমরা প্রতিবার বর্ষাকে বরণ করি আনন্দ আর ভালোবাসা দিয়ে।’
উদীচীর কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক জামশেদ আনোয়ার তপন বলেন, ‘প্রতিবছর আমরা বর্ষাকে নানা আয়োজনে স্বাগত জানিয়ে থাকি। এবার বর্ষা আসার আগেই বর্ষার রূপ বাঙালি জাতিকে শান্তির পরশ বুলিয়ে দিচ্ছে।’
বর্ষার ছোঁয়ায় প্রকৃতির নতুন সাজে সকল প্রাণে আসবে নতুন জাগরণ- এই প্রত্যয় নিয়ে শেষ হয় বর্ষা উৎসব ১৪২৬।
সারাবাংলা/ওএম/এটি