Sunday 24 Nov 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

‘আওয়ামী লীগ এখন ন্যাচারাল পার্টি অব গভর্নমেন্ট’


১৫ জুন ২০১৯ ২০:৫৪

ঢাকা: আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ‘আওয়ামী লীগ এখন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ন্যাচারাল পার্টি অব গভর্নমেন্ট।’

শনিবার(১৫ জুন) দুপুরে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে ঢাকা বিভাগের বিশেষ সাংগঠনিক সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন। সভায় ঢাকা বিভাগের অন্তর্গত জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকরা উপস্থিত ছিলেন।

বিজ্ঞাপন

ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘আমাদের জাতীয় সম্মেলন করতে হবে। ২০১৬ সালের ২৩ অক্টোবর নতুন কমিটি হয়েছে। এ বছরের ২৩ অক্টোবর তিনবছর পূর্তি হবে। আমাদের নেত্রী এবং আমার নিজেরও ইচ্ছা যথা সময়ে সম্মেলনের কাজ শেষ করা। আওয়ামী লীগের সম্মেলন খুব বিশেষ পরিস্থিতি ছাড়া কখনও নির্দিষ্ট সময় অতিক্রম করেনি। আমরা জাতীয় সম্মেলনের দিকে এগিয়ে যাচ্ছি।’

১৯৮১ সালে আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা দেশে ফিরে দলকে কঠোর পরিশ্রম ও সংগ্রামের মধ্যদিয়ে শক্তিশালী ভিত্তির ওপর দাঁড় করিয়েছেন উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের মনে রাখতে হবে, আওয়ামী লীগ এখন শেখ হাসিনার নেতৃত্বে এক ন্যাচারাল পার্টি অব গভর্নমেন্ট। এক সময় বঙ্গবন্ধু কন্যা একটা হতাশ ও দ্বিধাগ্রস্থ দলের নেতৃত্ব নিয়ে বঙ্গবন্ধুর রক্তভেজা মাটিতে এসেছিলেন। সেদিন আমাদের লক্ষ্য ঠিক ছিল না, দলের মধ্যে বিভেদ ছিল, নেতৃত্বের সমন্বয় ছিল না। সেই হতাশাগ্রস্থ দলকে ঐক্যের প্রতীক হিসেবে ঐক্যবদ্ধ করেছেন। ’

ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘শেখ হাসিনা নেতৃত্ব নেওয়ার পর আওয়ামী লীগ সম্পর্কে অনেকেই মন্তব্য করেছিল যে, এই পার্টি মুসলিম লীগে পরিণত হবে; এই পার্টির আর কোনো ভবিষ্যৎ নেই। শেখ হাসিনার সবচেয়ে বড় কৃতিত্ব তিনি সেই আওয়ামী লীগকে আজ একটা ‘ন্যাচারাল পার্টি অব গর্ভনমেন্ট’ পর্যায়ে নিয়ে এসেছেন। এটার কৃতিত্ব বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনাকে দিতেই হবে। ’

বিজ্ঞাপন

তিনি আরও বলেন ‘আওয়ামী লীগ একটি পরিবার। আমি অসুস্থ হয়ে জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে যখন ছিলাম তখন সারা দেশের নেতকার্মীরা পরিবারের সদস্যের মত সহানুভূতি, সমবেদনা ও ভালোবাসা নিয়ে পাশে দাঁড়িয়েছিল। পার্টির সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মমতাময়ী মায়ের মত আমার সেই জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে পাশে এসে দাঁড়িয়েছিলেন। একজন মা’ এ রকম সংকটে সন্তানের জন্য যা করেন, বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনাও আমার জন্য তাই করেছেন। আমার ঋণের বোঝা তাঁর কাছে আরও অনেক বেড়ে গেছে। নেত্রীর নির্দেশ এবং পরিবারের সদস্য হিসেবে আপনারা যা করেছেন, সারা জীবন আমার মনে থাকবে।’

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘আমি ছিলাম না, কিন্তু আওয়ামী লীগ ছিল। কর্মকাণ্ড ছিল। নেত্রীর নির্দেশনায় আমার সহকর্মীরা টিমে বিভক্ত হয়ে দলীয় কর্মকাণ্ড পরিচালনা করেছেন। কোনো শূন্যতা সৃষ্টি হয়নি। ’

২০১৯-২০ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেট নিয়ে নিয়ে সমালোচনাকারীদের জবাব দেওয়ারও আহ্বান জানান তিনি।

‘আগামী ২৩ জুন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ৭০তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে প্রত্যেক জেলার দুইজন প্রবীণ ত্যাগী নেতাকে সম্মাননা দেওয়া হবে’- বিষয়টি তুলে ধরে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘আমরা আপনাদের কাছে নাম চেয়েছি। নামগুলো পাঠিয়ে দেবেন। আমরা একটা স্মরণিকা প্রকাশ করতে যাচ্ছি। আপনারাও যদি কোনো লেখা পাঠাতে আগ্রহী হন তাহলে দলের দফতরে লেখা পাঠাতে পারবেন।’

আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক ডা. দীপু মনির সভাপতিত্বে বর্ধিত সভায় কেন্দ্রীয় নেতাদের মধ্যে দফতর সম্পাদক আবদুস সোবহান গোলাপ, মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট মৃণাল কান্তি দাস, কৃষি ও সমবায় সম্পাদক ফরিদুন্নাহার লাইলী, মহিলাবিষয়ক সম্পাদক ফজিলাতুন নেসা ইন্দিরা, বন ও পরিবেশ সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন, কার্যনির্বাহী সদস্য এবিএম রিয়াজুল কবির কাওছার, আনোয়ার হোসেন, গোলাম কবীর রাব্বানী চিনু, মারুফা আক্তার পপি, রেমন্ড আরেংসহ অন্যান্যরা উপস্থিত ছিলেন। সভা পরিচালনা করেন সাংগঠনিক সম্পাদক ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল।

সারাবাংলা/এনআর/পিটিএম

আওয়ামী লীগ ওবায়দুল কাদের ন্যাচারাল পার্টি অব গভর্নমেন্ট

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর