তেলের ট্যাংকারে হামলা: ইরানকে দায়ী করল সৌদি আরবও
১৬ জুন ২০১৯ ১০:৩৬
সাম্প্রতিক সময়ে ওমান উপসাগরে বেশ কয়েকটি তেলের ট্যাংকারে হামলার ঘটনায় শুরু থেকেই ইরানকে দায়ী করছে যুক্তরাষ্ট্র। এবার সেই কাতারে যুক্ত হলো সৌদি আরবের নাম। দেশটির যুবরাজ মুহাম্মদ বিন সালমান বলেছেন, জাপানের প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবে যখন ইরান ও পশ্চিমাদের সঙ্কট দূর করতে তেহরানে গিয়েছেন তখনই জাপানের মালিকানাধীন ট্যাংকারে হামলা চালিয়েছে ইরান।
লন্ডন ভিত্তিক আরবি পত্রিকা আশরাক আল-আশওয়াতে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি একথা বলেন জানিয়ে রোববার (১৬ জুন) খবর প্রকাশ করে বিবিসি।
মধ্যপ্রাচ্যে ক্রমবর্ধমান উত্তেজনা মোকাবিলায় সৌদি আরব কোনো পদক্ষেপ নিতে দ্বিধা করবে না বলে মন্তব্য করেন সালমান। তবে তিনি বলেন, আমরা এই অঞ্চলে যুদ্ধ চাইনা। তবে আমাদের জনগণ, সার্বভৌমত্ব, আঞ্চলিক স্থিতিশীলতা ও স্বার্থ রক্ষায় হুমকি হলে আমরা পদক্ষেপ নিতে দ্বিধা করব না।
সালমান আরও বলেন, ইরান সেদেশে জাপানের প্রধানমন্ত্রীর সফরকে শ্রদ্ধা জানায়নি। তার সফরের মধ্যেই দুটি জাহাজে হামলার ঘটনা ঘটলো যার একটি জাপানি।
এর আগে বৃহস্পতিবার জাপানের মালিকানাধীন কোকুকা কোরাজিওয়াস ও নরওয়ের ফ্রন্ট আলতায়ারে হামলার অভিযোগ আনা হয়। মধ্যপ্রাচ্যের গুরুত্বপূর্ণ নৌপথ হরমুজ প্রণালীর কাছে ওমান উপসাগরে এই ঘটনা ঘটে। দুই জাহাজ থেকে উদ্ধার করা হয় ৪৪ নাবিককে। যুক্তরাষ্ট্র ও ইরান উভয় দেশই দাবি করে তারা উদ্ধার তৎপরতায় অংশ নিয়েছে। তবে যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে একটি ভিডিও প্রকাশ করে বলা হয়, ইরানের রেভ্যুলশনারি গার্ডের সদস্যরা জাহাজ থেকে অবিস্ফোরিত বিস্ফোরক সরিয়ে নিচ্ছে। ইরান সে দাবি অস্বীকার করে।
এই হামলার পরই বিশ্ববাজারে তেলের দাম শতকরা ৪ ভাগ বেড়েছে। বিশ্বের বৃহত্তম কিছু শিপিং করপোরেশন জানিয়েছে তারা তাদের জাহাজগুলোকে ওমান উপসাগর ও হরমুজ প্রণালী এড়িয়ে চলার নির্দেশ দিয়েছে।
প্রসঙ্গত, বিশ্বজুড়ে ব্যবহৃত তেলের এক-পঞ্চমাংশ ওই সাগর পথে পরিবহন করা হয়। পারমাণবিক চুক্তি নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র-ইরানের সম্পর্কের অবনতি হওয়ায় ইরান হুমকি দিয়েছিল তারা হরমুজ প্রণালী বন্ধ করে দেবে।
এছাড়া গত ১২ মে একই অঞ্চলে ফুজাইরাহ বন্দরের নিকটে অন্য ৪টি তেলবাহী ট্যাংকারে হামলা চালিয়ে ক্ষতি করা হয় বলে দাবি করে সৌদি আরব ও আরব আমিরাত। হামলার শিকার হওয়া দুটি জাহাজ সৌদি মালিকানাধীন। অন্যদুটি নরওয়ের ও আর-আমিরাতের। কে বা কারা এই হামলা চালিয়েছে তা নিশ্চিত হওয়া না গেলেও ওই হামলার ঘটনায় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ইরানকে দায়ী করেছিল। সেবারও ইরান জানায় হামলার বিষয়ে তারা কিছু জানেনা।
সারাবাংলা/ এনএইচ