Friday 22 Nov 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

চীনকে বাংলাদেশে বিনোয়োগের আহ্বান স্পিকারের


১৬ জুন ২০১৯ ১৮:৫০

ঢাকা: বাংলাদেশের অবকাঠামো উন্নয়নে ১০০টি বিশেষায়িত অর্থনৈতিক অঞ্চল, বিদ্যুৎ, যোগাযোগ, হাই-টেক পার্ক ও তথ্যপ্রযুক্তি ক্ষেত্রে চীনকে বিনিয়োগের আহবান জানিয়েছেন জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী।

রোববার (১৬ জুন) স্পিকারের কার্যালয়ে ১৩তম ন্যাশনাল পিপলস কংগ্রেস অব চায়নার (এনপিসি) স্ট্যান্ডিং কমিটির ভাইস চেয়ারম্যান ও চাইনিজ অ্যাসোসিয়েশন ফর ইন্টারন্যাশনাল আন্ডারস্ট্যান্ডিংয়ের প্রেসিডেন্ট মি. জি বিংজুয়ান-এর নেতৃত্বে ১৬ সদস্যের প্রতিনিধিদল সৌজন্য সাক্ষাত করতে এলে তিনি এ আহ্বান জানান।

বিজ্ঞাপন

এ সময় চীনকে বাংলাদেশের অন্যতম উন্নয়ন অংশীদার হিসেবে উল্লেখ করে ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেন, ‘বাংলাদেশের জনসংখ্যার বড় অংশই হচ্ছে তরুণ। তাদের কর্মসংস্থান নিশ্চিতে বাংলাদেশে চীনের বিনিয়োগ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। ’

সাক্ষাতের সময় তাঁরা দ্বি-পাক্ষিক সম্পর্ক উন্নয়ন, বাংলাদেশের অবকাঠামোগত ও আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন, বাণিজ্য প্রসার, সিল্করোড কানেক্টিভিটি স্থাপন ও সংসদীয় মৈত্রী গ্রুপ বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেন।

অর্থনৈতিক ও সামাজিক সব সূচকে বাংলাদেশের অবস্থান এখন সুদৃঢ় উল্লেখ করে স্পিকার বলেন, ‘বাংলাদেশ শেখ হাসিনার নেতৃত্বে একটি স্বল্পোন্নত দেশের কাতার থেকে বেরিয়ে উন্নয়নশীল দেশের দিকে পা বাড়িয়েছে। ২০২১ সালে রূপকল্প বাস্তবায়নের মধ্যদিয়ে মধ্যম আয়ের দেশ হবে। এছাড়া ২০২৪ সালে উন্নয়নশীল দেশ এবং ২০৪১ সালের মধ্যে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের সোনার বাংলায় পরিণত হবে।’

শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেন, ‘বর্তমান সরকারের অন্যতম এজেন্ডা দারিদ্রের হার কমিয়ে আনা। সরকার গত ১০ বছরে সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনীর আওতায় কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়ায় দারিদ্রের হার ৪০ শতাংশ থেকে ২১ শতাংশে নেমে এসেছে।’

বিজ্ঞাপন

তিনি প্রতিনিধি দলকে জানান, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে কয়েক বছর ধরে ধারাবাহিক ৭ শতাংশ প্রবৃদ্ধি অর্জনের পাশাপাশি অর্থনৈতিক উন্নয়নে বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে। এ প্রবৃদ্ধি বর্তমানে ৮ শতাংশ।

চীনের প্রতিনিধি দলের প্রধান মি. জি বিংজুয়ান বলেন, ‘বাংলাদেশ সরকারের গত দুই মেয়াদের রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা উন্নয়নকে তরান্বিত করেছে- যা প্রশংসনীয়। বাংলাদেশ আমাদের গুরুত্বপূর্ণ বন্ধুপ্রতীম দেশ। তাই পারস্পরিক স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয়ে প্রতিবেশী দুই দেশের মধ্যে সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে। ’

তিনি আরও বলেন, ‘সিল্করোড কার্যকর হলে বাংলাদেশের সঙ্গে থাইল্যান্ড, সিঙ্গাপুর, ইন্দোনেশিয়া, হংকং এবং চীনের যোগাযোগ সহজ হবে। ফলে এ অঞ্চলের দেশগুলোর ব্যবসা-বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বৃদ্ধি পাবে। এক দেশের জনগণের সঙ্গে আরেক জনগণের সম্পর্ক আরও নিবিড় হবে। ’

এ সময় বাংলাদেশে নিযুক্ত চীনের রাষ্ট্রদূত ঝ্যাং ঝুও এবং সংসদ সচিবালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন। পরে প্রতিনিধিদল একাদশ জাতীয় সংসদের চলমান অধিবেশনের কার্যক্রম পর্যবেক্ষণ করেন।

সারাবাংলা/এএইচএইচ/পিটিএম

চীনের প্রতিনিধি দল ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী দারিদ্রের হার স্পিকার

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর