Friday 22 Nov 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

ই-কমার্সে ভ্যাট আরোপের সময় আসেনি: বেসিস


১৬ জুন ২০১৯ ২২:২০

ঢাকা: প্রস্তাবিত ২০১৯-২০ অর্থবছরের বাজেটে তথ্যপ্রযুক্তি খাতে বরাদ্দ বাড়ানো এবং নতুন উদ্যোক্তাদের জন্য ১০০ কোটি টাকা বরাদ্দ দেওয়া প্রশংসনীয় উদ্যোগ বলে মনে করছে বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব সফটওয়্যার অ্যান্ড ইনফরমেশন সার্ভিসেস (বেসিস)।

তবে সংগঠনটি মনে করছে, ভার্চ্যুয়াল বিজনেস বা ই-কমার্সে ভ্যাট আরোপের সময় এখনো আসেনি। এই খাতের বিকাশের জন্য আগামী কয়েক অর্থ বছরের জন্য ই-কমার্স ভ্যাটমুক্ত রাখারা দাবি জানানো হয় সংগঠনটির পক্ষ থেকে।

বিজ্ঞাপন

রোববার (১৬ জুন) রাজধানীর হোটেল প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁওয়ে বাজেট পরবর্তী প্রতিক্রিয়া জানায় তথ্যপ্রযুক্তি খাত সংশ্লিষ্ট সংগঠনগুলো।

সংবাদ সম্মেলন অংশ নেয় বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব সফটওয়্যার অ্যান্ড ইনফরমেশন সার্ভিসেস (বেসিস), বাংলাদেশ কম্পিউটার সমিতি (বিসিএস), ইন্টারনেট সার্ভিস প্রোভাইডার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (আইএসপিএবি) এবং বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব কলসেন্টার অ্যান্ড আউটসোর্সিং (বাক্য)।

বক্তারা বলেন, ২০১৯-২০ অর্থবছরের বাজেট প্রশংসনীয়। তবে কিছু এখনো অপূর্ণ থেকে গেছে। ভার্চ্যুয়াল বিজনেস তথা ডিজিটাল কমার্সের ওপর ভ্যাট ০ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে সাড়ে ৭ শতাংশ করা হয়েছে। যা এই খাতের বিকাশে অন্তরায় হয়ে দাঁড়াবে। এছাড়া অপটিক্যাল ফাইবারে ৫ শতাংশ রেগুলেটরি ডিউটি আরোপ করা হয়েছে, সেটিও তথ্যপ্রযুক্তি খাতের বিকাশে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করবে।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন বেসিসের সভাপতি সৈয়দ আলমাস কবীর, বিসিএস সভাপতি শাহীদ-উল-মুনির, আইএসপিএবি’র সভাপতি এম এ হাকিম, বাক্যে’র মহাসচিব তৌহিদ হোসেন।

বিজ্ঞাপন

আরও উপস্থিত ছিলেন বেসিসের জ্যেষ্ঠ সহ-সভাপতি ফারহানা এ রহমান, সহ-সভাপতি (অর্থ) মুশফিকুর রহমান, পরিচালক দিদারুল আলম, বিসিএস‘র সহ-সভাপতি ইউসুফ আলী শামীম, মহাসচিব মোশারফ হোসেন সুমন, কোষাধ্যক্ষ মো. জাবেদুর রহমান শাহীন, পরিচালক মো. আছাব উল্লাহ খান জুয়েল এবং আইএসপিএবি‘র মহাসচিব ইমদাদুল হক।

আলমাস কবীর বলেন, আইসিটি খাতে নেওয়া উন্নয়ন প্রকল্পের জন্য বাজেটে বরাদ্দ করা অর্থের পরিমাণ সর্বশেষ অর্থবছরের চেয়ে ২ হাজার ১৭৬ কোটি টাকা বেড়েছে। আর গতবছরের সংশোধিত বাজেটের তুলনায় তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের বরাদ্দ এ বছর বেড়েছে ১৯৩ কোটি টাকা। নতুন উদ্যোক্তাদের (স্টার্ট আপ) জন্য সরকার ১শ’ কোটি টাকা থোক বরাদ্দ দিয়েছে, যা নিঃসন্দেহে প্রশংসনীয়। কিন্তু ভার্চ্যুয়াল বিজনেস তথা ডিজিটাল কমার্সের ওপর ভ্যাট ০ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে সাড়ে ৭ শতাংশ করা হয়েছে, যা বিকাশমান এই খাতের অগ্রগতিতে অন্তরায় হয়ে দাঁড়াবে। আমরা তাই আগামী কয়েক অর্থবছরের জন্য ফের ভ্যাট অব্যাহতির দাবি জানাচ্ছি।

তিনি বলেন, বাজেটে আমরা সরকারের কাছে সামগ্রিক তথ্যপ্রযুক্তি খাতের জন্য ২শ’ কোটি টাকা বরাদ্দ চেয়েছিলাম। আইটি সোর্সিং খাতে গবেষণা ও উন্নয়ন বাবদ বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিলের মাধ্যমে অন্তত ৩শ’ কোটি টাকার একটি থোক বরাদ্দ রাখা যেতে পারে। এছাড়াও টেকনিক্যাল অ্যাসিসট্যান্ট প্রজেক্টের জন্য বাজেটে ২শ’ কোটি টাকা বরাদ্দ করার প্রস্তাব ছিল। আমরা সংশোধিত বাজেটে এই প্রস্তাবগুলো আবারও বিবেচনা করার আহ্বান জানাচ্ছি।

মো. শাহিদ-উল-মুনীর বলেন, ব্যবসায়ী পর্যায়ে কম্পিউটার ও এর যন্ত্রাংশের ওপর মূসক অব্যহতি বহাল রাখা হয়েছে। আমরা আশা করি, এই প্রস্তাবনা অবশ্যই ডিজিটাল বাংলাদেশের অগ্রযাত্রাকে অব্যাহত রাখবে। তবে আমদানি পর্যায়ে কম্পিউটার ও সংশ্লিষ্ট যন্ত্রাংশের ওপর ৫ শতাংশ আগাম কর আরোপ করা হয়েছে। এটি ডিজিটাল বাংলাদেশের অগ্রযাত্রাকে ব্যাহত করবে বলে আমরা আশঙ্কা প্রকাশ করছি।

এম এ হাকিম বলেন, বর্তমান সরকার তথ্যপ্রযুক্তির প্রচার ও প্রসারের বিষয়ে অত্যন্ত আন্তরিক। আমরা জানি, প্রতি ১ হাজার ব্রডব্যান্ড সংযোগের মাধ্যমে প্রায় ১০ জন কর্মহীন মানুষের কর্মসংস্থান হয়। বিশ্বব্যাংকের তথ্য অনুসারে, প্রতি ১০ শতাংশ ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট পেনিট্রেশনের মাধ্যমে ১ দশমিক ৩৮ শতাংশ জিডিপির প্রবৃদ্ধি ঘটে। এমন পরিস্থিতিতে ফাইবার অপটিক ক্যাবলের ওপর ৫ শতাংশ রেগুলেটরি ডিউটি আরোপ তথ্যপ্রযুক্তি খাতের বিকাশ ও প্রসারে এবং দ্রুতগতির ইন্টারনেট জনমানুষের দোরগোড়ায় পৌঁছে দেওয়ার ক্ষেত্রে একটি বড় প্রতিবন্ধক হিসেবে কাজ করবে।

শুধু তাই নয়, এর প্রভাব সরকারি মেগা প্রজেক্টগুলোতেও পড়বে বলে প্রতীয়মান হচ্ছে। তাই ফাইবার অপটিক ক্যাবলের ওপর ৫ শতাংশ রেগুলেটরি ডিউটি আরোপ করার প্রস্তাব বাতিল করার দাবি জানাচ্ছে আইএসপিএবি, বলেন এম এ হাকিম।

সারাবাংলা/ইএইচটি/এটি

আইএসপিএবি বাক্য বাজেট প্রতিক্রিয়া বিসিএস বেসিস

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর