কারাগারে মাদক সরবরাহ: কারারক্ষীসহ ৪ জন রিমান্ডে
১৭ জুন ২০১৯ ১৪:৩৫
চট্টগ্রাম ব্যুরো: চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগারে মাদক সরবরাহের অভিযোগে গ্রেফতার কারারক্ষীসহ ৪ জনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য একদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। সোমবার (১৭ জুন) চট্টগ্রাম মহানগর হাকিম খায়রুল আমীন এই আদেশ দেন।
কোতোয়ালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মহসীন সারাবাংলাকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
চার আসামি হলো- কারারক্ষী সাইফুল ইসলাম (২২), মাদক বিক্রেতা দিদারুল আলম মাছুম ওরফে আবু তালেব মাছুম (৩৫) ও আজিজুল ইসলাম জালাল (৩৬) এবং আলো বেগম (৩৫)।
গত শনিবার (১৫ জুন) সন্ধ্যায় চট্টগ্রাম নগরীর কোতোয়ালী থানার কদমতলী ফ্লাইওভারের ওপর একটি সিএনজি অটোরিকশায় তল্লাশি চালিয়ে কারারক্ষী সাইফুল ইসলামকে গ্রেফতার করে পুলিশ। এসময় তার পকেটে ৫০ পিস ইয়াবা পাওয়া যায়।
ওসি মহসীনের বক্তব্য অনুযায়ী, গ্রেফতারের পর জিজ্ঞাসাবাদে সাইফুল জানায়- কারাগারে বন্দি ভয়ঙ্কর সন্ত্রাসী নুর আলম ওরফে হামকা নুর আলমের জন্য নগরীর লালদিঘীর পাড় এলাকায় মাছুমের কাছ থেকে সাইফুল ৫০ পিস ইয়াবা সংগ্রহ করেছিল। হামকা নুরের নির্দেশে নগরীর হালিশহর কাঁচাবাজার এলাকায় লিটন নামে একজনকে ২ হাজার টাকার বিনিময়ে ১০ পিস ইয়াবা দেওয়ার জন্য যাওয়ার পথে সাইফুল ধরা পড়ে।
সাইফুলের এই বক্তব্য পাওয়ার পর মাছুমকে নগরীর এনায়েতবাজার এলাকা থেকে গ্রেফতার করে পুলিশ। মাছুম জিজ্ঞাসাবাদে জানায়, সে ৫০ পিস ইয়াবা নগরীর জামতলা বস্তির মাদক বিক্রেতা আলো বেগমের কাছ থেকে সংগ্রহ করেছিল। তখন বস্তিতে অভিযান চালিয়ে আলোকেও গ্রেফতার করা হয়।
এদিকে, সাইফুলকে থানায় নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের সময় জালাল তাকে ১০০ গ্রাম গাঁজা দেওয়ার জন্য নগরীর লালদিঘীর পাড় এলাকায় আসে। পুলিশ কৌশলে জালালকেও গ্রেফতার করে। এরপর কোতোয়ালী থানায় গ্রেফতার চারজন এবং কারাবন্দি হামকা নুর আলমসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের হয়।
ওসি মহসীন সারাবাংলাকে বলেন, ‘কারাগারে মাদক সরবরাহকারী চক্রের সঙ্গে আরও কেউ জড়িত ক-না সেটা জানতে আসামিদের ১০ দিনের রিমান্ডে নেওয়ার আবেদন করা হয়েছিল। শুনানি শেষে আদালত একদিন মঞ্জুর করেছেন।’
এদিকে কারাগারে বসে মাদক ব্যবসা পরিচালনাকারী হামকা নুর আলমকেও একই মামলায় গ্রেফতার দেখানোর জন্য আদালত অনুমতি দিয়েছেন। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা কোতোয়ালী থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) সজল কান্তি দাশ সারাবাংলাকে বলেন, ‘গ্রেফতার হওয়া সাইফুলকে জিজ্ঞাসাবাদে হামকা নুর আলমের সংশ্লিষ্টতার তথ্য পাওয়ায় তাকে গ্রেফতার দেখানোর জন্য আদালতে আবেদন করেছিলাম। আদালত অনুমতি দেওয়ায় তাকেও জিজ্ঞাসাবাদের জন্য রিমান্ডে নেওয়ার আবেদন করা হবে।’
সারাবাংলা/আরডি/এমও