Friday 22 Nov 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

‘মিথ্যা মামলা’ প্রত্যাহারের দাবিতে বিএসএমএমইউতে অবস্থান কর্মসূচি


১৭ জুন ২০১৯ ১৯:৫৯

ঢাকা: বঙ্গবন্ধু শেখ ‍মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের একাধিক চিকিৎসক ও অধ্যাপককে পুলিশ দিয়ে পেটানো এবং তাদের বিরুদ্ধেই করা মামলার প্রতিবাদে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছেন চাকরি প্রত্যাশী চিকিৎসকরা। সোমবার (১৭ জুন) বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্রে তারা এ কর্মসূচি পালন করেন।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক আন্দোলনকারী চিকিৎসক সারাবাংলাকে জানিয়েছেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও চিকিৎসকদের বিরুদ্ধে যে মিথ্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে তার প্রতিবাদে এখানে দাঁড়িয়েছিলেন তারা।

বিজ্ঞাপন

প্রসঙ্গত, গতকাল ১৬ জুন বিশ্ববিদ্যালয়ের নিউরোলজি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ও স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদের সাংগঠনিক সম্পাদক ডা. আহসান হাবীব হেলাল, পাবলিক হেলথ অ্যান্ড ইনফরমেটিক্স বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ডা. বিজয় কুমার পাল, কার্ডিওলজি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ডা. আরিফুল ইসলাম জোয়ার্দার টিটুসহ অন্য চিকিৎসক নেতারা গতকাল তাদের বিরুদ্ধে করা মামলা প্রত্যাহার চেয়ে ৪৮ ঘণ্টার আলটিমেটাম দিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও চিকিৎসকরা।

আন্দোলনকারী চিকিৎসকরা আরও জানান, গত ১৫মে উপাচার্য বরাবর লিখিত অভিযোগ করা হয়েছিল কিছু তথ্য চেয়ে। তথ্য অধিকার আইনের সব নিয়ম মেনে এই লিখিত অভিযোগ করা হয়েছিল। সেই নিয়ম অনুযায়ী ২০ দিনের মধ্যে এর জবাব দেওয়ার নিয়ম থাকলেও এখনো তারা তার জবাব পাননি।

চিকিৎসকরা বলছেন, মাঝে ঈদ ও অন্যান্য ছুটিসহ বিভিন্ন কারণে যদি সেসব কার্যদিবস বাদও দেওয়া হয়, তাহলেও ২৩ দিন পার হয়ে গেছে। আর এই ডকুমেন্ট না পাওয়াতে উচ্চ আদালতে রিটের শুনানিতে হচ্ছে না। আমাদের আইনজীবীকে সবকিছু নিয়ে প্রস্তুত হয়ে যেতে হবে। এখানে আমরা বারবার পিছিয়ে যাচ্ছি—বলেন একাধিক চিকিৎসক।

বিজ্ঞাপন

উল্লেখ্য, গত ২২ মার্চ অনুষ্ঠিত বিএসএমএমইউয়ের নিয়োগ পরীক্ষায় অনিয়মের অভিযোগ তুলে আন্দোলন করে আসছিলেন নিয়োগপ্রত্যাশী চিকিৎসকরা। প্রশ্নপত্র ফাঁস, নিয়োগ সংশ্লিষ্টদের স্বজনপ্রীতিসহ ছয়টি সুনির্দিষ্ট অনিয়মের অভিযোগ আনেন তারা। আন্দোলনকারীরা বলছেন, ২২ মার্চ অনুষ্ঠিত পরীক্ষায় সুনির্দিষ্ট ছয়টি অনিয়মের প্রমাণসহ বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে পরীক্ষার আগে-পরে অনেকবার লিখিত ও মৌখিকভাবে অভিযোগ করলেও তারা প্রতিকার পাননি।

২০০টি মেডিকেল অফিসারের পদে ২০১৭ সালের সেপ্টেম্বরে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি দেয় বিএসএমএইউ কর্তৃপক্ষ। এর মধ্যে ১৮০ জন এমবিবিএস ও ২০ জন বিডিএস চিকিৎসক চাওয়া হয়। প্রথম দফায় নিয়োগ পরীক্ষার তারিখ ঘোষণা করা হলেও সেটি পিছিয়ে ২০১৮ সালের সেপ্টেম্বরে পরীক্ষার দিন ঠিক করা হয়। পরীক্ষা নেওয়ার জন্য প্রশ্নপত্রও ছাপানো হয়। কিন্তু অনিবার্য কারণ দেখিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ পরীক্ষা স্থগিত করে। নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি ছাপা হওয়ার দেড় বছর পর গত ২২ মার্চ সেই পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়।

এর আগে গত ১১ জুন মেডিকেল অফিসার পদে নিয়োগের মৌখিক পরীক্ষা চলার দ্বিতীয় দিনে বিশ্ববিদ্যালয়ের একাধিক চিকিৎসক ও অধ্যাপককে পুলিশ দিয়ে পেটানো হয়। এছাড়া সেই দিন রাতেই রাতেই বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ১৭ জনের নামসহ আরও ৪০ থেকে ৫০ জনকে অজ্ঞাত আসামি করে শাহবাগ থানায় মামলা দায়ের করা হয়। এরপর ১৩ জুন সিন্ডিকেটের সভা শেষে উপাচার্য জানান, পরীক্ষা বাতিল করার সুযোগ নেই, অনিয়মের অভিযোগের সত্যতা নেই। তবে আন্দোলকারী চিকিৎসকদের বিক্ষোভের মুখে সে পরীক্ষা আপাতত স্থগিত করার কথাও জানান উপাচার্য।

সারাবাংলা/জেএ/এমআই

অবস্থান কর্মসূচি বঙ্গবন্ধু বিএসএমএমইউ

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর