সাগরে ৩৭ বাংলাদেশির মৃত্যুতে কোটি টাকা করে ক্ষতিপূরণ চেয়ে রিট
১৭ জুন ২০১৯ ২০:৫৪
ঢাকা: জীবিকার জন্য লেবানন পাড়ি দিতে গিয়ে সম্প্রতি ভূমধ্যসাগরে যে ৩৭ জন বাংলাদেশি নিহত হয়েছেন তাদের প্রত্যেকের পরিবারের জন্য এক কোটি টাকা করে ক্ষতিপূরণ চেয়ে হাইকোর্টে রিট দায়ের করা হয়েছে।
একই সঙ্গে এই পাচারের সঙ্গে প্রতারক ট্রাভেল এজেন্সি ও মানব পাচার চক্রের সদস্যদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশনা চাওয়া হয়েছে।
সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মোহাম্মদ এমদাদুল হক সুমন হাইকোর্টে এই রিট আবেদন করেন। আবেদনটি শুনানির জন্য বিচারপতি এফ আর এম নাজমুল আহাসান ও বিচারপতি কে এম কামরুল কাদেরের হাইকোর্ট বেঞ্চের কার্যতালিকায় রয়েছে। আগামীকাল মঙ্গলবার (১৮ জুন) শুনানি হবে।
রিট আবেদনে মানব পাচার দমন-২০১২ সালের আইনে সর্বোচ্চ শাস্তির বিধান নিশ্চিত করার নির্দেশনা চাওয়া হয়েছে। এছাড়া পাচার সংক্রান্ত ঘটনা তদন্ত করতে সাতদিনের মধ্যে তদন্ত কমিটি গঠন করে ৩০ দিনের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন আদালতে দাখিলের নির্দেশনাও চাওয়া হয়েছে।
পাশাপাশি প্রতারক ট্রাভেল এজেন্সি ও মানব পাচার চক্রকে আইনের আওতায় আনার বিষয়ে ব্যাখ্যা দিতে সিলেট ও নোয়াখালীর এসপিকে আদালতে হাজির হওয়ার নির্দেশনা চাওয়া হয়েছে।
এছাড়া এ রিট আবেদনে প্রতারক ট্রাভেল এজেন্সি ও মানব পাচার চক্রের সদস্যদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণে নিষ্ক্রিয়তা কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না এবং তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না তা জানতে চেয়ে রুল জারির আরজি জানানো হয়েছে।
রিটে স্বরাষ্ট্র সচিব, পররাষ্ট্র সচিব, প্রবাসী কল্যাণ সচিব, আইন সচিব, পুলিশের আইজি, সিলেট ও নোয়াখালীর এসপিকে বিবাদী করা হয়েছে।
এ বিষয়ে আইনজীবী মোহাম্মদ এমদাদুল হক সুমন বলেন, ‘গত ৯ মে ভূমধ্য সাগরে তিউনিসিয়ার উপকূলে নৌকাডুবিতে ৩৭ বাংলাদেশির মৃত্যু হয়। এবিষয়ে বিভিন্ন গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশিত হয়। ওইসব প্রতিবেদনে প্রতারক ট্রাভেল এজেন্সি, ১৫ পাচার চক্র ও নোয়াখালীর তিনভাই চক্র অবৈধভাবে মানব পাচারের সঙ্গে জড়িত থাকার তথ্য উঠে আসে। এরপর এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে বিবাদীদের বরাবর আইনি নোটিশ পাঠান এ আইনজীবী। কিন্তু নোটিশের কোনো জবাব না পেয়ে গণমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদন যুক্ত করে রিট আবেদন করা হয়।
সারাবাংলা/এজেডকে/এমআই