খাদ্য গুদামের সামনে ৬শ বস্তা চাল ভর্তি ট্রাক আটক, কৃষকদের ক্ষোভ
১৭ জুন ২০১৯ ২৩:৫১
সিলেট: সিলেটের সুনামগঞ্জ জেলা খাদ্য গুদামের সামনে থেকে আশুগঞ্জ থেকে আসা ৬০০ বস্তা চাল ভর্তি একটি ট্রাক আটক হয়েছে। এসময় ট্রাকচালক শাহাদাত হোসেনকেও আটক করা হয়। সুনামগঞ্জের কৃষকরা ধান বিক্রি করতে না পারলেও জেলার সরকারি গুদামে বাইরের চাল আসায় ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন কৃষকরা।
এদিকে, রোববার সন্ধ্যায় জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট রাহুল চন্দ আটক করা চাল জেলা খাদ্য কর্মকর্তাকে বুঝিয়ে দিলেও সোমবার রাত ১০টা পর্যন্ত এ ঘটনায় থানায় মামলা হয়নি।
সুনামগঞ্জ জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তারা বলেছেন, স্থানীয় বাজার থেকে ধান না কিনে মিলারর অনৈতিকভাবে বাইরে থেকে খাদ্য গুদামে চাল সংগ্রহের জন্য নিয়ে এসেছেন— এমন সন্দেহে ওই চালের ট্রাক আটক করা হয়। চাল বহনকারী ট্রাকের চালক শাহাদাত হোসেনকে পুলিশের কাছে সোপর্দ করা হয়েছে।
সুনামগঞ্জ জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট রাহুল চন্দ সারাবাংলাকে জানিয়েছেন, রোববার বিকেল সোয়া ৫টায় চাল আটক করে সংশ্লিষ্ট সবাইকে জানানো হয়। পরে সন্ধ্যা ৭টায় জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে চালক ও ট্রাক নিয়ে হাজির হই।
জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আব্দুল আহাদ সারাবাংলাকে বলেন, বিষয়টি খুবই স্পর্শকাতর। আমাদের স্থানীয় কৃষকরা ধান বিক্রি করতে পারছে না। অথচ গুদামে দেওয়ার জন্য চাল বাইরে থেকে আনা হয়ে থাকলে সেটি দুঃখজনক হবে। বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে খতিয়ে দেখা হবে।
আটক করা চালের বস্তার গায়ে উল্লেখ রয়েছে ‘কয়ছর অটো রাইস মিল, সুনামগঞ্জ’। জানা গেছে, কয়ছর অটো রাইস মিলের মালিক সুনামগঞ্জ শহরের হাজিপাড়ার ব্যবসায়ী রাসেল আহমদ। তার বাবা সুনামগঞ্জ সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আবুল কালাম। জানতে চাইলে তিনি সারাবাংলাকে বলেন, রাইস মিলের একটি যন্ত্র হঠাৎ বিকল হওয়ায় এই চাল পরিষ্কার করার জন্য আশুগঞ্জে পাঠানো হয়েছিল। আশুগঞ্জ থেকে পরিষ্কার করে ফিরিয়ে আনার পর খাদ্য গুদাম চত্বরে ট্রাকের স্থান সংকুলান না হওয়ায় বাইরে ট্রাক রাখা হয়েছিল। চাল আশুগঞ্জ থেকে কেনা হয়নি।
এদিকে, সোমবার রাত পর্যন্তও এ ঘটনায় মামলা দায়ের হয়নি। তবে রাত ১০টার দিকে জেলা খাদ্য কর্মকর্তা জাকারিয়া মোস্তফা সারাবাংলাকে জানান, তিনি থানায় মামলা করতে গিয়েছেন।
সুনামগঞ্জ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শহীদুল্লাহ সারাবাংলাকে বলেন, আমরা সারাদিনই অপেক্ষা করেছি। এ বিষয়ে সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথাও বলেছি। কিন্তু কেউ মামলা করতে আসেননি। গাড়িচালক শাহাদাত হোসেন পুলিশের হেফাজতে রয়েছে বলে জানান ওসি।
সারাবাংলা/টিআর