প্রস্তাবিত বাজেট নারী উদ্যেক্তা বান্ধব নয়-ওয়েন্ড
১৮ জুন ২০১৯ ১৭:০৪
ঢাকা: ২০১৯-২০ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেট নারী উদ্যেক্তাবান্ধব নয় বলে মন্তব্য করেছেন ওমেন এন্টারপ্রেনারসিপ নেটওয়ার্ক ফর ডেভেলপমেন্ট অ্যাসোসিয়েশন (ওয়েন্ড)। সংগঠনের সভাপতি ড. নাদিয়া বিনতে আমিন বলেন, সার্বিকভাবে বিবেচনা করলে আমরা বলতে পারি প্রস্তাবিত বাজেটে নারী উদ্যোক্তাদের আশার প্রতিফলন হয়নি। বাজেটটি ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প এসএমই বান্ধব হলেও নারী উদ্যোক্তাবান্ধব নয়।
মঙ্গলবার (১৮ জুন) রাজধানীর পুরানা পল্টনে ইকোনোমিক রিপোর্টার্স ফোরাম (ইআরএফ) মিলনায়তনে প্রস্তাবিত ২০১৯-২০ অর্থবছরের বাজেটে নারী উদ্যোক্তা ও ব্যবসায়ীদের জন্য কি রাখা হয়েছে শীর্ষক এক সংবাদ সম্মেলনে ওয়েন্ড এর পক্ষ থেকে এসব কথা বলা হয়। এ সময় সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক জিসান আকতার চৌধুরী, সহসভাপতি শামিমা শিরিন লাইজু, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবা রব, কোষাধ্যক্ষ জারজিনা খালেদ ও ইসি সদস্য নাদিরা ইয়াসমিনসহ অনেকেই।
সংবাদ সম্মেলনে ওয়েন্ড সভাপতি ড. নাদিয়া বিনতে আমিন বলেন, প্রস্তাবিত বাজেটে নারীদের জন্য বিদ্যমান করমুক্ত আয়সীমা ৩ লাখ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৫ লাখ টাকা করার প্রস্তাব করা হয়েছিল। কিন্তু বাজেটে তার প্রতিফলন দেখা যায়নি। নারীদের করমুক্ত আয়সীমা ৩ লাখ টাকা অপরিবর্তিত রাখা হয়েছে। এছাড়াও নারী উদ্যোক্তাদের দ্বারা পরিচালিত প্রতিষ্ঠানের করপোরেট কর কমানোর দাবি জানানো হলেও বাজেটে তা অপরিবর্তিত রাখা হয়েছে।
ওয়েন্ড সভাপতি বলেন, পেশাগত ও কারিগরি বিষয়ে নিডবেজ প্রশিক্ষণের মাধ্যমে নারীর সক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য একটি ট্রেনিং ইনস্টিটিউটের দাবি জানানো হলেও বাজেটে এ বিষয়ে কোনো ইঙ্গিত নেই। দেশের আট বিভাগে নারী উদ্যোক্তাদের পরামর্শ ও ব্যবসায়ীক কার্যক্রমে সহযোগীতা করতে প্রতিটি বিভাগে একটি করে সাপোর্ট সেন্টার করার দাবি জানানো হলেও বাজেটে তা আমলে নেওয়া হয়নি। তিনি আরো বলেন, বাজেটে নারী দ্বারা পরিচালিত কোম্পানি আমদানী রপ্তানি শুল্ক হার হ্রাস করা হলে নারী উদ্যোক্তাদের জন্য ব্যবসা প্রসার আরো সহজ হত।
ড. নাদিয়া বিনতে আমিন আরো বলেন, সরকার কর্তৃক প্রতিষ্ঠিত বিভিন্ন ইকোনোমিক জোন, বিসিক শিল্প নগরী, আইটি পার্কে নারী উদ্যোক্তাদের জন্য বিশেষ প্রণোদনাসহ প্লট বরাদ্দ রাখার ব্যবস্থা থাকলে নারীরা উপকৃত হত।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে আরো বলা হয়, প্রস্তাবিত বাজেটে নারী উদ্যোক্তাদের জন্য বাৎসরিক ভ্যাট অব্যাহতি ৩৬ লাখ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৫০ লাখ টাকা করা হয়েছে। এটা প্রস্তাবিত বাজেটের একটি ভালো দিক। তবে, আমাদের দাবি অনুয়ায়ী এটি ১ কোটি টাকা করা হলে নারী উদ্যোক্তারা আরো বেশি অনুপ্রাণিত হতো। এছাড়াও, বাজেটে নারীদের বিশেষভাবে ব্যবসা পরিচালনার ক্ষেত্রে অফিস, বাড়ি, কারখানা ভাড়ার ক্ষেত্রে কোনো ভ্যাট দিতে হবে না। বাজেটের এমন প্রস্তাবকে আমরা স্বাগত জানাই।
এছাড়াও, বাজেটে ২৫ লাখ টাকা থেকে তিন কোটি টাকা পর্যন্ত টার্নওভার রয়েছে, তাদের ক্ষেত্রে ৪ শতাংশ হারে টার্নওভার ট্যাক্স ধার্য করার ব্যাপারে প্রস্তাব করা হয়েছে। যদিও নারী হিসাবে পৃথকভাবে নয় এসএমই খাতে এই সুবিধা দেয়া হয়েছে। এসব সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছে ওয়েন্ড।
সারাবাংলা/জিএস/জেএএম