১৭০টি খাদ্য গুদাম ও ২০০ সাইলো নির্মাণ করবে সরকার
২০ জুন ২০১৯ ১৯:৪৮
সংসদ ভবন থেকে: খাদ্যশস্য সংরক্ষণের জন্য সারাদেশে আরও ১৭০টি খাদ্য গুদাম ও দুইশটি সাইলো নির্মাণ করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার।
বৃহস্পতিবার (২০ জুন) সংসদ অধিবেশনে প্রশ্নোত্তর পর্বে বিরোধী দল জাতীয় পার্টির বেগম সালমা ইসলামের প্রশ্নের লিখিত জবাবে মন্ত্রী এ তথ্য জানান।
খাদ্যমন্ত্রী জানান, ১৭০টি খাদ্য গুদামের মধ্যে এক লাখ ৫০ হাজার মেট্রিক টন ধারণক্ষমতা সম্পন্ন গুদাম রয়েছে ১৬২টি, ৫ দশমিক ১৮ মেট্রিক টন ধারণক্ষমতার স্টিল সাইলো রয়েছে আটটি।
সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেন, কৃষকের কাছ থেকে সরাসরি ধান কিনে সংরক্ষণের জন্য দেশের বিভিন্ন স্থানে পাঁচ হাজার মেট্রিক টন ধারণক্ষমতার দুইশটি সাইলো নির্মাণ প্রকল্প হাতে নেওয়া হচ্ছে।
সরকারি দলের সংসদ সদস্য মোহাম্মদ এবাদুল করিমের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী জানান, চলতি বোরো মওসুমে সরকার প্রথম প্রতি কেজি ২৬ টাকা বা প্রতিমন এক হাজার ৪০ টাকা দরে সরাসরি কৃষকদের কাছ থেকে এক লাখ ৫০ হাজার মেট্রিক টন ধান সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়। পরবর্তী সময়ে এ বছর ধানের বাম্পার ফলন বিবেচনায় নিয়ে একই দরে আরও আড়াই লাখ মেট্রিক টন ধান সংগ্রহের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, এর বাইরে এ মৌসুমে ৩৫ কেজি দরে এক লাখ ৫০ হাজার মেট্রিক টন আতপ চাল ও প্রতিকেজি ৩৬ টাকা দরে ১০ লাখ মেট্রিক টন সিদ্ধ চাল মিলারদের কাছ থেকে সংগ্রহের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
জিএসপি সুবিধা
সরকারি দলের সদস্য মামুনুর রশীদ কিরণের প্রশ্নের জবাবে বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি সংসদে জানিয়েছেন, বর্তমানে বাংলাদেশ ৩৮টি দেশে জিএসপি সুবিধা পাচ্ছে। ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত ২৮টি দেশের বাইরের ১০টি দেশ হলো— অস্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ড, নরওয়ে, সুইজারল্যান্ড, জাপান, তুরস্ক, রাশিয়া, দক্ষিণ কোরিয়া, কানাডা ও চিলি।
মন্ত্রী আরও জানান, জিএসপি সুবিধার আওতায় রুলস অব অরজিন শিথিলসহ স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উত্তরণ পরবর্তী সময়ে বিদ্যমান শুল্ক সুবিধা অব্যাহত রাখতে বাংলাদেশ মিশনগুলো সংশ্লিষ্ট দেশের সঙ্গে সক্রিয় যোগাযোগ রক্ষা করে থাকে।
একই প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী জানান, জিএসপি সুবিধা পাওয়া দেশগুলোতে রফতানি সম্ভাবনা থাকা সত্ত্বেও রফতানি আশানুরূপ না বাড়লে বিদেশে অবস্থিত বাণিজ্য মিশনগুলো সভা, সেমিনার ও মেলাসহ বিভিন্ন কর্মসূচির মাধ্যমে ওইসব দেশের ব্যবসায়ীদের অবহিত ও উদ্বুদ্ধ করে থাকে। এছাড়া বাংলাদেশে থেকে ইস্যু করা জিএসপি সনদ সম্পর্কিত কোনো সমস্যা দেখা দিলে সেসব বিষয়ে বাণিজ্য মিশনগুলো মন্ত্রণালয়, রফতানি উন্নয়ন ব্যুরো ও অন্যান্য সংশ্লিস্ট কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগের মাধ্যমে সমস্যা সমাধানের উদ্যোগ নিয়ে থাকে।
কর্মসংস্থান তৈরি
যুব সমাজকে বেকারত্ব থেকে মুক্ত করতে কর্মসংস্থান ও অন্যান্য সুবিধার মাধ্যমে স্বাবলম্বী করার লক্ষ্যে সরকার কাজ করে যাচ্ছে বলে সংসদে জানিয়েছেন শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী বেগম মুন্নুজান সুফিয়ান।
সরকারি দলের সদস্য বেগম হাবিবা রহমান খানের প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী আরও জানান, সারাদেশে বেকারের সংখ্যা ২৬ লাখ ৭৭ হাজার জন। এসব বেকারদের মধ্যে ১০ লাখ ৪৩ হাজার শিক্ষিত তরুণ-তরুণী, যারা উচ্চমাধ্যমিক, স্নাতক ও স্নাতকোত্তর পাস। অর্ধশিক্ষিত বেকারের সংখ্যা ৪০ শতাংশ।
আওয়ামী লীগের সদস্য মো. ইসরাফিল আলমের প্রশ্নের জবাবে মুন্নজান সুফিয়ান জানান, সরকারি, আধা-সরকারি ও স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানে কর্মরত শ্রমিকের সংখ্যা ৫৭ লাখের বেশি। এর মধ্যে পোশাক কারখানায় কর্মরত শ্রমিকের সংখ্যা ২৫ লাখ ৭৪ হাজার ৪৯৮জন। তৈরি পোশাক শিল্প ছাড়া অন্যান্য প্রতিষ্ঠানে কর্মরত শ্রমিক সংখ্যা ৩১ লাখ ২৩ হাজার ৩৭০ জন।
সারাবাংলা/এএইচএইচ/টিআর