‘প্রতিটি উপজেলা থেকে বছরে একহাজার কর্মী বিদেশে পাঠানো হবে’
২০ জুন ২০১৯ ২০:১১
সংসদ ভবন থেকে: অভিবাসনে পিছিয়ে পড়া জেলাগুলোকে অভিবাসন প্রক্রিয়ায় উৎসাহিত করতে প্রতিটি উপজেলা থেকে বছরে গড়ে একহাজার কর্মী বিদেশে পাঠানোর পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী ইমরান আহমেদ।
বৃহস্পতিবার (২০ জুন) সংসদ অধিবেশনে সরকারি দলের আনোয়ারুল আবেদীনের প্রশ্নের জবাবে প্রশ্নোত্তর পর্বে তিনি এ তথ্য জানান।
প্রতিমন্ত্রী জানান, বাংলাদেশ থেকে ১৭৩টি দেশে কর্মী পাঠানো হচ্ছে। উপজেলাভিত্তিক বিদেশে যাওয়া বা বিদেশ থেকে ফেরত আসা কর্মীদের সঠিক সংখ্যা নির্ধারণ করতে ভবিষ্যতে আলাদা ডাটাবেজ তৈরির পরিকল্পনা রয়েছে।
ইমরান আহমেদ বলেন, দেশের সব অঞ্চল থেকেই বিদেশে কর্মীদের যাওয়ার সুযোগ উন্মুক্ত। তবে পিছিয়ে পড়া জেলাগুলোর ক্ষেত্রে নতুন কর্মপরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে।
আওয়ামী লীগের মোয়াজ্জেম হোসেন রতনের প্রশ্নের জবাবে বলেন, বেশি হারে দক্ষ কর্মী বিদেশে পাঠানোর বিষয়টি নিশ্চিত করতে প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের অধীন জনশক্তি কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরোর (বিএমইটি) কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের সংখ্যা ৩৮ থেকে ৭০টিতে উন্নীত করা হয়েছে। এসব প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে ৫৫টি কর্মসংস্থান উপযোগী স্বল্প ও দীর্ঘমেয়াদি কোর্সে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়।
সরকারী দলের নূর মোহাম্মদের প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী ইমরান আহমদ জানান, বাংলাদেশের জন্য অন্যতম প্রধান শ্রমবাজার সংযুক্ত আরব আমিরাত ও মালয়েশিয়ায় ব্যাপক হারে কর্মী পাঠানোর জন্য সরকারের প্রচেষ্ট অব্যাহত আছে। এরই মধ্যে প্রধানমন্ত্রী সংযুক্ত আরব আমিরাত সফর করেছেন। বাংলাদেশি কর্মী পাঠানোর বিষয়ে দ্বিপাক্ষিক জয়েন্ট ওয়ার্কি গ্রুপে ফলপ্রসূ আলোচনা হয়েছে। সরকারের নানামুখী কুটনৈতিক তৎপরতায় বিশ্বে বিভিন্ন দেশের শ্রমবাজার উন্মুক্ত হয়েছে।
আওয়ামী লীগের সৈয়দা রুবিনা আক্তারের প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী বলেন, নিরীহ মানুষজনকে দালালদের হাত থেকে রক্ষা করার জন্য সরকার বদ্ধপরিকর। এজন্য কিছু কার্যক্রম চলমান রয়েছে। এগুলোর মধ্যে দালালদের দৌরাত্ম্য কমাতে জেলা পর্যায়ে শাখা অফিস খুলতে রিক্রুটিং এজেন্টদের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। নিরীহ মানুষদের প্রতারণার হাত থেকে বাঁচাতে প্রত্যেক জেলা ও উপজেলায় নিরাপদ অভিবাসন সংক্রান্ত সেমিনার আয়োজন করা হয়েছে। যেসব বাংলাদেশি প্রতারিত হয়ে বিদেশ থেকে ফেরত আসেন, তাদের কাছ থেকে বিমানবন্দরে সংশ্লিষ্ট প্রতারকদের তথ্য সংগ্রহ করে আইনের আওতায় আনার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
সারাবাংলা/এএইচএইচ/টিআর