ভিটামিন এ’র অভাবজনিত রাতকানা রোগের হার ১ ভাগের নিচে
২০ জুন ২০১৯ ২৩:২৭
ঢাকা: ১৯৭৪ সালে ভিটামিন এ প্লাস ক্যাম্পেইন শুরুর সময় দেশে ৬ মাস থেকে ৫৯ মাস বয়সী শিশুদের রাতকানা রোগের হার ছিল তিন দশমিক ৭৬ শতাংশ। সেই কার্যক্রম অব্যাহত থাকার ফলে বর্তমানে ভিটামিন এ’র অভাবজনিত রাতকানা রোগের হার শতকরা ১ ভাগের নিচে নেমেছে।
বৃহস্পতিবার (২০ জুন) মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে অনুষ্ঠিত এক সংবাদ সম্মেলনে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক এ কথা জানান। আগামী ২২ জুন দেশব্যাপী ভিটামিন এ প্লাস ক্যাম্পেইনকে সামনে রেখে এই সংবাদ সম্মেলন আয়োজন করা হয়।
মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, এ বছর ক্যাম্পেইনে সেদিন ৬ থেকে ১১ মাস বয়সী প্রায় ২৫ লাখ ৩৩ হাজার শিশুকে একটি করে নীল রঙের ভিটামিন এ ক্যাপসুল এবং ১২ থেকে ৫৯ মাস বয়সী প্রায় এক কোটি ৯৩ লাখ ৪৬ হাজার শিশুকে একটি করে লাল রঙের ভিটামিন এ ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে। তবে জোর করে বা কান্নারত অবস্থায় শিশুদের ভিটামিন এ ক্যাপসুল খাওয়ানো যাবে না। ছয় মাসের কম বয়সী ও ৫ বছরের বেশি বয়সী এবং অসুস্থ শিশুকেও এই ক্যাপসুল খাওয়ানো যাবে না।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী সবার কাছে আবেদন জানিয়ে বলেন, লক্ষ রাখতে হবে, যেন একটি শিশুও এই ক্যাম্পেইন থেকে বাদ না পড়ে যায়। তিনি জানান, দেশ জুড়ে এক লাখ ২০ হাজার স্থায়ী কেন্দ্রসহ অতিরিক্ত আরও ২০ হাজার ভ্রাম্যমাণ কেন্দ্রের মাধ্যমে ভিটামিন এ প্লাস ক্যাম্পেইন কার্যক্রম পরিচালিত হবে। এর মধ্যে ভ্রাম্যমাণ কেন্দ্রগুলো থাকবে বাসস্ট্যান্ড, লঞ্চঘাট, ফেরি ঘাট, সেতুর টোল প্লাজা, বিমানবন্দর, রেলস্টেশনসহ খেয়াঘাটে।
মন্ত্রী জানান, এই রাউন্ডে দুর্গম এলাকা (হার্ড টু রিচ) হিসেবে চিহ্নিত ১২ জেলার ৪৬টি উপজেলার ২৪০টি ইউনিয়নে বাড়ি বাড়ি গিয়ে বাদ পড়া শিশুকে ভিটামিন এ ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে না। তবে ক্যাম্পেইন পরবর্তী আরও চার-পাঁচ দিন নির্দিষ্ট ইপিআই কেন্দ্র থেকে এসব জেলার ২৪০টি ইউনিয়ন ও পার্বত্য তিন জেলায় (রাঙামাটি, বান্দরবান ও খাগড়াছড়ি) বাদ পড়া শিশুদের ভিটামিন এ ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেন, আমরা এরই মধ্যে এই কার্যক্রমকে সফল করতে বিভাগ, সিটি করপোরেশন, পৌরসভা, জেলা ও উপজেলায় অবহিতকরণ সভা এবং সিটি করপোরেশন, পৌরসভা, উপজেলা ও ইউনিয়ন পর্যায়ে ২ লাখ ৮০ হাজার স্বেচ্ছাসেবকদের প্রশিক্ষণ দিয়েছি। মনিটরিংয়ের জন্য ক্যাম্পেইনের দিন প্রতিটি উপজেলা, জেলা ও কেন্দ্রে সার্বক্ষণিক কন্ট্রোল রুম খোলা থাকবে।
সারাবাংলা/জেএ/টিআর