রুদ্র মুহম্মদ শহীদুল্লাহর ২৮তম প্রয়াণ দিবস আজ
২১ জুন ২০১৯ ০৯:৩৭
বাগেরহাট: তারুণ্য ও সংগ্রামের দীপ্ত প্রতীক কবি রুদ্র মুহম্মদ শহীদুল্লাহর ২৮তম প্রয়াণ দিবস আজ। ১৯৯১ সালের ২১ জুন মাত্র ৩৫ বছর বয়সে মারা যান তিনি। বাংলাদেশের কবিতায় অবিসস্মরণীয় শিল্পমগ্ন উচ্চারণ তাঁকে দিয়েছে সত্তরের অন্যতম কবি-স্বীকৃতি।
কবির প্রয়াণ দিবস উপলক্ষে রুদ্র স্মৃতি সংসদ শুক্রবার (২১ জুন) তাঁর গ্রামের বাড়ি মংলার মিঠেখালীতে সকালে শোভাযাত্রা, কবরে পুষ্পস্তবক অর্পণ, মিলাদ মাহফিল, দোয়া এবং সন্ধ্যায় সংসদ কার্যালয়ে স্মরণ সভার আয়োজন করেছে। স্মরণসভা শেষে রুদ্রের লেখা কবিতার আবৃত্তি ও গান পরিবেশিত হবে।
অকালপ্রয়াত এই কবি খুব অল্প সময়ের মধ্যেই নিজেকে মিলিয়ে নিয়েছিলেন আপামর নির্যাতিত মানুষের আত্মার সঙ্গে। সাম্যবাদ, মুক্তিযুদ্ধ, ঐতিহ্যচেতনা ও অসাম্প্রদায়িকবোধে উজ্জ্বল তার কবিতা। ‘জাতির পতাকা আজ খামচে ধরেছে সেই পুরোনো শকুন’- এই নির্মম সত্য অবলোকনের পাশাপাশি উচ্চারণ করেছেন অবিনাশী স্বপ্ন- ‘দিন আসবেই- দিন সমতার’। যাবতীয় অসাম্য, শোষণ ও ধর্মান্ধতার বিরুদ্ধে অনমনীয় অবস্থান তাঁকে দিয়েছে ‘তারুণ্যের দীপ্ত প্রতীক’-এর খেতাব। একই সঙ্গে তাঁর কাব্যের আরেক প্রান্তর জুড়ে রয়েছে স্বপ্ন, প্রেম ও সুন্দরের মগ্নতা।
মাত্র ৩৫ বছরের (১৯৫৬-১৯৯১) স্বল্পায়ু জীবনে তিনি সাতটি কাব্যগ্রন্থ ছাড়াও গল্প, কাব্যনাট্য এবং ‘ভালো আছি ভালো থেকো’সহ অর্ধ শতাধিক গান রচনা ও সুরারোপ করেছেন। সংগীতে অসামান্য অবদানের জন্য তাঁকে ১৯৯৭ সালে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র সাংবাদিক সমিতি শ্রেষ্ঠ গীতিকারের (মরণোত্তর) সম্মাননা দেন। ‘উপদ্রুত উপকূল’ ও ‘ফিরে চাই স্বর্ণগ্রাম’ কাব্যগ্রন্থ দুটির জন্য ‘সংস্কৃতি সংসদ’ থেকে পরপর দু’বছর ‘মুনীর চৌধুরী সাহিত্য পুরষ্কার’ লাভ করেন।
সারাবাংলা/পিটিএম