মৃত ঘোষণার ৩ ঘণ্টা পর নবজাতকের কান্না!
২ ফেব্রুয়ারি ২০১৮ ১৪:৩৮
ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট
খুলনা: খুলনা জেলার দাকোপ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এক নবজাতককে মৃত ঘোষণা করেন ডাক্তার। তিন ঘণ্টা পর ওই নবজাতক চিৎকার করে কেঁদে উঠে। ঘটনাটি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এবং উপজেলায় তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে।
নবজাতকের পরিবার সূত্রে জানা যায়, গত বুধবার (৩১ জানুয়ারী) সন্ধ্যা ৭টা ২০মিনিটে উপজেলা সমবায় অধিদপ্তরের অফিস সহকারী পুরঞ্জন গাইনের স্ত্রী সোমা গাইন অসুস্থ হলে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। ডা: সন্তোষ কুমার মজুমদার রুগীকে চিকিৎসা দিয়ে বেডে পাঠান। রাত ২টার দিকে রুগীর প্রসব বেদনা উঠলে কর্তব্যরত ডা: শামিম হোসেনের তত্ত্বাবধানে তাকে ডেলিভারির জন্য কেবিনে নেওয়া হয়। সেখানে সোমা গাইন ১ কেজি ২০০ গ্রাম ওজনের একটি পুত্র সন্তান প্রসব করেন।
প্রসবের পর চিকিৎসকরা নবজাতক শিশুকে মৃত বলে ঘোষণা টেবিলের ওপর তুলা জড়িয়ে ফেলে রাখেন। নবজাতকের বাবা স্বজনদের জানিয়ে দুঃখ প্রকাশ করেন। বৃহস্পতিবার (১ ফেব্রুয়ারি) ভোরে হাসপাতালের আয়া আছমা বাচ্চাটিকে ফেলে দিতে গেলে বাচ্চা নড়া-চড়ে ওঠে। খবর পেয়ে রুগীর অভিভাবকরা মা ও শিশুটিকে সকালে খুলনা শিশু হাসপাতালে ভর্তি করেন।
হাসপাতালের নার্স লিপিকা রানী সাহা বলেন, বাচ্চাটির হার্টবিট না পাওয়ায় টেবিলের ওপর রাখা হয় এবং ২টা ১০ মিনিট থেকে ভোর পাঁচটা পর্যন্ত ছিল। পরে বাচ্চাটি জীবিত আছে টের পেয়ে ওয়ার্মে রাখা হয়।
বিষয়টি জানার জন্য মুঠোফোনে বার বার ডা: সন্তোষ কুমার মজুমদার ও ডা: শামিম হোসেনের সাথে আলাপ করার চেষ্টা করেও সংযাগ পাওয়া যায়নি। উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা: মোজাম্মেল হক এ বিষয়ে বলেন, একই টাইমে ৩টি বাচ্চা হয়েছে তার মধ্যে একজন মৃত তাই গুজবটি রটেছে। যেভাবে বিষয়টি শোনা যাচ্ছে তা ঠিক নয়।
ঘটনাটি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এবং এলাকায় তোলপাড় শুরু হয়েছে। ডাক্তার ও নার্সদের গাফিলতির বিষয়টি সাধারণ মানুষ মেনে নিতে পারছেন না। বিষয়টি তদন্ত করে শাস্তির দাবি করেছেন তারা।
সারাবাংলা/টিএম