Friday 22 Nov 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

বরিস না জেরেমি? কে হবেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী?


২২ জুন ২০১৯ ১৩:৪৩

ব্রেক্সিট ঝড়ে টালমাটাল যুক্তরাজ্যের রাজনৈতিক অঙ্গনে নতুন হাওয়া কনজারভেটিভ পার্টির দলনেতা নির্বাচন। ২০১৬ সালে ব্রেক্সিট ইস্যুতে প্রথম পদত্যাগ করেন পার্টির নেতা প্রধানমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরন। তবে তার স্থলাভিষিক্ত হয়েও টেরিজা মে ব্রেক্সিট চুক্তির বাস্তবায়ন করে যেতে পারেননি। গত ৭ জুন দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি নেন তিনি। এরইমধ্যে ডজন খানেক কেবিনেট সদস্যও মন্ত্রিত্ব ছেড়েছেন। তাই সবকিছু ঢেলে সাজাতে নতুন পার্টি লিডার নির্বাচন হচ্ছে। হয়েছে পাঁচ দফা ভোট। কনজারভেটিভ এমপিদের সমর্থনে চূড়ান্ত লড়াইয়ে টিকে আছেন বরিস জনসন ও জেরেমি হান্ট।

বিজ্ঞাপন

প্রাথমিক প্রতিদ্বন্দ্বিতা ও কয়েকদফা ভোটের পর পঞ্চম ও চূড়ান্ত রাউন্ডে ৩১৩ এমপির মধ্যে বরিস জনসন ১৬০, জেরেমি হান্ট ৭৭ ও মাইকেল গোভ ৭৫ ভোট পেয়েছেন। তবে তৃতীয় হওয়ায় দলীয় নেতা নির্বাচনের চূড়ান্ত পর্ব থেকে বাদ পড়েছেন গোভ।

২২ জুন থেকে যুক্তরাজ্যের ১ লাখ ৬০ হাজার কনজারভেটিভ সমর্থকের ধারাবাহিক ভোটে নিশ্চিত হবে কে হচ্ছেন পরবর্তী কনজারভেটিভ নেতা ও ১০ নং ডাউনিং স্ট্রিটের বাসিন্দা। আগামী ২২ জুলাই ব্রিটেনের নতুন প্রধানমন্ত্রীর নাম ঘোষণা হতে পারে।

বরিস ও জেরেমির মধ্যে একজনকে বেছে নেওয়ার ক্ষেত্রে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ব্রেক্সিটের পাশাপাশি গুরুত্ব পাবে ট্যাক্স, স্বাস্থ্য ও শিক্ষা ইস্যু। দুজনই বেশ অভিজ্ঞ রাজনীতিবিদ হলেও ধারণা করা হচ্ছে কনজারভেটিভ পার্টির দলনেতা হিসেবে নির্বাচিত হতে পারেন স্পষ্টভাষী বরিস জনসন। ব্রেক্সিট বিষয়ে তিনি সুস্পষ্টভাবে টেরিজা’মের নীতির সমালোচনা করেছেন ও বিকল্প ধারণা দিয়ে গেছেন। এক্ষেত্রে মে’র কেবিনেট সদস্য ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী জেরেমি হান্ট কিছুটা পিছিয়ে।

বরিস জনসন ও জেরেমি উভয়ই পড়ালেখা করেছেন অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটিতে। বরিস দ্য টাইমস, টেলিগ্রাফ পত্রিকায় সাংবাদিকতা করেছেন। তিনি হেনলির এমপি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন ২০০১-০৮ মেয়াদে। এরপর ছিলেন লন্ডনের মেয়র। টেরিজার কেবিনেটে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করলেও পরে মতবিরোধের কারণে অব্যাহতি নেন।

অপরদিকে জেরেমি ব্যবসায়ী ও তার পিআর কোম্পানি রয়েছে। সাউথ ওয়েস্ট সুরি থেকে তিনি ২০০৫ সালে এমপি নির্বাচিত হন। সংস্কৃতি ও খেলাধুলা বিষয়ক মন্ত্রণালয়ে তিনি দায়িত্ব পালন করেন। পরবর্তীতে স্বাস্থ্য ও সবশেষে পররাষ্ট্রের দায়িত্বে রয়েছেন তিনি।

বিজ্ঞাপন

জেরেমির জন্ম লন্ডনে তবে বরিস যুক্তরাষ্ট্রে জন্মগ্রহণ করেন ও তার উভয় দেশের নাগরিকত্ব ছিল। পরবর্তীতে বরিস শুধু যুক্তরাজ্যের নাগরিকত্ব বহাল রাখেন। নিজেদের যোগ্য প্রমাণ করতে এবার তারা দুজন বেশ কয়েকটি বিতর্কে অংশ নেবেন।

কনজারভেটিভ পার্টির দলনেতা ও ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী হতে যারা ইচ্ছুক ছিলেন, তারা হলেন পরিবেশমন্ত্রী মাইকেল গোভ, স্বাস্থ্যমন্ত্রী ম্যাট হেনক, সাবেক চিফ হুইফ মার্ক হার্পার, পররাষ্ট্রমন্ত্রী জেরেমি হান্ট, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সাজিদ জাভিদ, সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী বরিস জনসন, পার্লামেন্টে সাবেক দলীয় নেতা আন্দ্রে লিডসম, সাবেক কর্ম ও পেনশনমন্ত্রী ইস্টার মেকভে, সাবেক ব্রেক্সিটমন্ত্রী ডমনিক রাব, আন্তর্জাতিক উন্নয়নমন্ত্রী রোরি স্টুয়ার্ট।

সারাবাংলা/ এনএইচ

কনজারভেটিভ পার্টি জেরেমি হান্ট বরিস জনসন যুক্তরাজ্য

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর