মুদ্রণ শিল্পের কাঁচামাল আমদানিতে শুল্ক কমানোর দাবি
২২ জুন ২০১৯ ১৪:৩১
ঢাকা: প্রস্তাবিত বাজেটে মুদ্রণ শিল্পের কাঁচামাল আমদানিতে শুল্ক কমিয়ে ৫ শতাংশ করার দাবি জানিয়েছে এই খাত সংশ্লিষ্ট ৬টি সংগঠন। শনিবার (২২ জুন) সংগঠনগুলোর পক্ষে এক যৌথ সংবাদ সম্মেলনে এই দাবি জানানো হয়।
বক্তারা বলেন, বর্তমানে দেশে মুদ্রণ প্রকাশনা ও প্যাকেজিং শিল্পের প্রধান কাঁচামাল ডুপ্লেক্স বোর্ড, আর্ট পেপার, আর্ট কার্ড, সুইডিশ বোর্ড, ফোল্ডিং বক্স বোর্ড এবং সেলফ অ্যাডহেসিভ পেপারের বিপুল চাহিদা রয়েছে। এসব কাঁচামাল আমদানিতে ২৫ শতাংশ শুল্ক দিতে হয়। আমদানি শুল্ক বেশি হওয়ায় এসব পণ্য বৈধপথে আমদানি হচ্ছে না, আসছে অবৈধ পথে। ফলে সরকার প্রতিবছর প্রায় দুই হাজার কোটি টাকা রাজস্ব আয় থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।
রাজধানীর পুরানা পল্টনে ইকোনমিক রিপোর্টার্স ফোরাম (ইআরএফ) কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য উপস্থাপন করেন বাংলাদেশ মুদ্রণ শিল্প সমিতির সভাপতি শহীদ সেরনীয়াবাদ।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ পেপার ইম্পোটার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মো. শফিকুল ইসলাম ভরসা, বাংলাদেশ পাঠ্যপুস্তক মুদ্রক ও বিপণন-এর সভাপতি তোফায়েল খান, চট্টগ্রাম কাগজ ও সেলোফিন ব্যবসায়ী গ্রুপের সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদে বেলাল, বাংলাদেশ পেপার মার্চেন্টস অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ফজলুর রহমান পর্বত।
শহীদ সেরনীয়াবাদ বলেন, মুদ্রণ শিল্পের কাঁচামাল আমদানির শুল্ক ২৫ শতাংশ নির্ধারিত আছে। এটা কমিয়ে ৫ শতাংশ করার দাবি জানিয়েছিলাম আমরা। কিন্তু প্রস্তাবিত বাজেটে দেখলাম শুল্ক হার ২৫ শতাংশই বহাল রাখা হয়েছে।
তিনি বলেন, বন্ড সুবিধার আওতায় আমদানির ক্ষেত্রে আমাদের কোনো আপত্তি নেই। কিন্তু বাস্তবতা হলো, আমদানি করা পণ্য খোলা বাজারে বিক্রি হচ্ছে। এখানেও সরকার রাজস্ব হারাচ্ছে। এই খাতের ব্যবসায়ীরা অসুস্থ প্রতিযোগিতার সম্মুখীন হচ্ছেন। বন্ড সুবিধায় আমদানি করা পণ্য ২০ থেকে ৩০ শতাংশ মুনাফা ধরে বাজারে বিক্রি হচ্ছে। এতে লাভবান হচ্ছেন অবৈধ ব্যবসায়ীরা।
সংবাদ সম্মেলনে মো. শফিকুল ইসলাম ভরসা বলেন, আমদানি শুল্ক কমিয়ে বৈধভাবে আমদানি করে ব্যবসা করার সুযোগ দেওয়া হলে এই ধরনের অরাজকতা তৈরি হয় না। সুষম ব্যবসা হবে এবং সরকার এখান থেকে ২ হাজার কোটি টাকা রাজস্ব পাবে। ধারাবাহিকভাবে রাজস্ব আদায়ের হার বাড়বে।
তিনি বলেন, দুঃখজনক হলেও সত্য, বোর্ডের ৩৭ কোটি পাঠ্যপুস্তকের যে কাভার পেজ তৈরি করে মুদ্রণ শিল্প সমিতি, সেটাও বৈধভাবে আমদানি হয় না। দেশে নোট বইসহ বিভিন্ন ধরনের প্রায় ২শ’ কোটি বই ছাপানো হয়; সিরাপ ওষুধের কাভারের কাগজ, বার্ষিক দিনপঞ্জির কাগজও দেশে তৈরি হয় না। এসব কাগজ বিদেশ থেকে আমদানি করতে হয়।
তোফায়েল খান বলেন, কাভারের কাগজ দেশে উৎপাদিত হয় না বলে আমদানি করতে হয়। দেশীয় কাগজ কলগুলোতে কেবল লেখা ও ছাপার কাগজ প্রস্তুত করা হয়। আমদানি শুল্ক কমালে দেশীয় শিল্পও লাভবান হবে।
সারাবাংলা/জিএস/এটি
আর্ট কার্ড আর্ট পেপার কাগজ কাঁচামাল ডুপ্লেক্স বোর্ড ফোল্ডিং বক্স বোর্ড শুল্ক সুইডিশ বোর্ড