হজ পালনে ভারতের চেয়ে বাংলাদেশে ব্যয় কম: ধর্মমন্ত্রী
২৩ জুন ২০১৯ ১৮:৪৮
জাতীয় সংসদ ভবন থেকে: ধর্মমন্ত্রী অ্যাডভোকেট শেখ মো. আবদুল্লাহ বলেছেন, সরকারি এবং বেসরকারি পর্যায়ে বাংলাদেশের মুসলমানদের হজ পালনে ব্যয় ভারতের মুসলমানদের চেয়ে কম।
রোববার (২৩ জুন) জাতীয় সংসদের বাজেট অধিবেশনে হাজী মো. সেলিমের টেবিলে উত্থাপিত প্রশ্নের জবাবে সংসদকে ধর্মমন্ত্রী এতথ্য জানান। বিকেলে স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে এ অধিবেশন শুরু হয়।
ধর্মমন্ত্রী অ্যাডভোকেট শেখ মো. আবদুল্লাহ বলেন, ‘২০১৮ সালের তথ্যানুযায়ী আমাদের পাশের দেশ ভারতের মুসলমানদের সরকারি ব্যবস্থাপনার হজের ব্যয় ছিল অঞ্চলভেদে ২ লাখ ৪৬ হাজার থেকে ২ লাখ ৮৫ হাজার রুপি, যা বাংলাদেশি টাকায় ৩ লাখ ৪৫ হাজার ৮৪১ টাকা। সেইসঙ্গে বেসরকারি ব্যবস্থাপনার হজে ব্যয় হতো ৪-৫ লাখ রুপি। অথচ ওই বছরে বাংলাদেশের সরকারি ব্যবস্থাপনায় প্যাকেজ-বি এর হজের ব্যয় ছিল ৩ লাখ ৩১ হাজার ৩৫৯ হাজার টাকা এবং প্যাকেজ-এ এর ব্যয় ছিল ৩ লাখ ৯৭ হাজার ৯২৯ টাকা। আর বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় হজের ব্যয় ছিল ৩ লাখ ৩১ হাজার ৩৫৯ টাকা।
তিনি আরও বলেন, ‘এখন হজযাত্রীদের ব্যয় আরও কমানোর চেষ্টা করা হচ্ছে। এই পরিপ্রেক্ষিতে অন্যান্য বছরের মত ২০১৯ সালে বিমান ভাড়া ১০১৯৮ টাকা কমিয়ে ১ লাখ ২৮ হাজার টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। ’
সংসদ সদস্য মো. মোজাফফর হোসের এক প্রশ্নের জবাবে ধর্মমন্ত্রী বলেন, ‘প্রতি বছরই পবিত্র হজ গমনে ইচ্ছুক অনেকে বিমানের টিকিট না পেয়ে ফিরে যায়- কথাটি ঠিক নয়। ২০১৮ সালে নিবন্ধিত সকল হজযাত্রী পবিত্র হজ পালন করে দেশে ফিরেছেন। তবে ২০১৭ সালে এ ধরনের অনিয়মের কারণে সংশ্লিষ্ট হজ এজেন্সির বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। ’
এছাড়া মাহফুজুর রহমানের এক প্রশ্নের জবাবে ধর্মমন্ত্রী জানান, সারা দেশে ৫৬০ মডেল মসজিদ ও ইসলামিক সংস্কৃতিকেন্দ্র স্থাপনের কাজ ২০২০ সালের মধ্যে শেষ হবে।
জঙ্গিবাদ থেকে ছাত্র ও যুবসমাজকে দূরে রাখতে কাজ করছে সরকার: সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী
এদিকে সংসদে মো. মোজাফফর হোসেনের এক প্রশ্নের জবাবে সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ বলেছেন, জঙ্গিবাদ থেকে ছাত্র ও যুবসমাজকে দূরে রাখতে দেশের সংস্কৃতি, ইতিহাস ও ঐতিহ্য রক্ষা এবং বাংলা ভাষা ও সাহিত্যের উৎকর্ষ সাধনে সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয় বিভিন্ন কার্যক্রম বাস্তবায়ন করছে।
এছাড়া সংসদ সদস্য নূর মোহাম্মদের এক প্রশ্নের জবাবে সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘দেশের প্রত্যেকটি উপজেলায় একটি করে সাংস্কৃতিক কেন্দ্র নির্মাণের পরিকল্পনা রয়েছে। তবে পৃথকভাবে উপজেলা পর্যায়ে কোনো অডিটোরিয়াম নির্মাণ করা হবে না। ’
সংসদ অধিবেশনে মোহাম্মদ শহিদ ইসলামের প্রশ্নের জবাবে কে এম খালিদ বলেন, ‘ভবিষৎ প্রজন্মকে গণহত্যা, নির্যাতন ও মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে গবেষণার সুযোগ সৃষ্টি করে দিতে এই মন্ত্রণালয় একটি উন্নয়ন প্রকল্প গ্রহণ করেছে। ২০১৮-১৯ অর্থবছরে গণহত্যা, নির্যাতন ও মুক্তিযুদ্ধের গবেষণার ওপর দশটি শিরোনামের মোট ৭০০ বই কিনে বিভাগীয়, জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে সরবরাহ করা হয়েছে। এর মাধ্যমে আগামী প্রজন্ম দেশের সঠিক ইতিহাস জানতে পারবে। ’
সারাবাংলা/এএইচএইচ/পিটিএম