পুঁজিবাজারে সূচক ও লেনদেনে স্থবিরতা
২৫ জুন ২০১৯ ১৫:৫৯
ঢাকা: ২০১৯-২০ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটের পর দেশেরে পুঁজিবাজারে এক ধরনের স্থবিরতা দেখা দিয়েছে। বাজেটে বিনিয়োগকারীদের জন্য বেশকিছু প্রণোদনার প্রস্তাব করা হলেও তার সুফল মিলছে না পুঁজিবাজারের লেনদেনে। বরং সূচক ও লেনদেন ঘুরে-ফিরে একই জায়গায় অবস্থান করছে।
বাজেটের পর মঙ্গলবারসহ (২৫ জুন) লেনদেন হওয়া গত ৮ কার্যদিবসের মধ্যে পাঁচদিনই সূচকের পতন হয়েছে। এই সময়ে দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূচক হারিয়েছে ৯৪ পয়েন্ট।
বাজার বিশ্লেষকদের মতে, প্রস্তাবিত বাজেটে বিনিয়োগকারীদের লভ্যাংশের ওপর করমুক্ত আয়সীমা ২৫ হাজার টাকা থেকে বাড়িয়ে ৫০ হাজার টাকা করা হয়েছে। এছাড়াও তালিকাভূক্ত কোম্পানির ক্যাশ ডিভিডেন্ডের ওপর ১৫ শতাংশ এবং কোম্পানির পরিশোধিত মুলধনের ৫০ শতাংশের বেশি রিজার্ভ হলে বর্ধিত রিজার্ভের ওপর ১৫ শতাংশ কর আরোপ করা হয়েছে। এগুলো বিনিয়োগকারীদের জন্য ইতিবাচক হলেও পতনের বৃত্ত থেকে বের হতে পারছে না দেশের পুঁজিবাজার।
এদিকে মঙ্গলবার ডিএসইতে মোট ৩৪৯টি কোম্পানির ১২ কোটি ১৬ লাখ ৪৯ হাজার ৬৭৬টি শেয়ার ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের ইউনিট লেনদেন হয়েছে। লেনদেন হওয়া এসব শেয়ার ও ইউনিটের মধ্যে দাম বেড়েছে ১৩১টির, কমেছে ১৬১ টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ৫৭টির দাম। দিনশেষে ডিএসই ব্রড ইনডেক্স আগের কার্যদিবসের চেয়ে মাত্র ১ পয়েন্ট বেড়ে ৫ হাজার ৩৮০ পয়েন্টে উঠে আসে। ডিএস-৩০ মূল্য সূচক ২ পয়েন্ট বেড়ে ১ হাজার ৮৯৬ পয়েন্ট, ডিএসইএস শরীয়াহ সূচক ১ পয়েন্ট বেড়ে ১ হাজার ২৩০ পয়েন্টে উন্নীত হয়। এদিন ডিএসইতে আর্থিক লেনদেন হয় ৪৫৩ কোটি ৩৮ লাখ টাকা। আগের কার্যদিবসে ডিএসইতে লেনদেন হয়েছিল ৩৩৮ কোটি ১৫ লাখ টাকা।
অন্যদিকে মঙ্গলবার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) ২৬২টি কোম্পানির ৩ কোটি ৩৪ লাখ ১৯ হাজার ৬৪৮২টি শেয়ার ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের লেনদেন হয়েছে। লেনদেন হওয়া এসব শেয়ার ও ইউনিটের মধ্যে দাম বেড়েছে ৯১টির, কমেছে ১১২টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ৫৯টির কোম্পানির শেয়ারের দাম। দিনশেষে সিএসইতে ৯ কোটি ৬৩ লাখ টাকার শেয়ার কেনাবেচা হয়েছে। আগেরদিন সোমবার সিএসইতে কেনাবেচা হয়েছিল ৭ কোটি ৯২ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট। এদিন সিএসইর প্রধান সূচক আগের দিনের চেয়ে ১২ পয়েন্ট বেড়ে ১৬ হাজার ৪৮২ পয়েন্ট উন্নীত হয়। আগের দিন সিএসইর সূচক ছিল ১৬ হাজার ৪৭০ পয়েন্ট।
সারাবাংলা/জিএস/পিটিএম