আমরা অবশ্যই মাদক নির্মূল করতে পারব: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
২৫ জুন ২০১৯ ১৭:৩০
ঢাকা: মাদকের বিরুদ্ধে সরকার জিরো টলারেন্স নীতি অনুসরণ করছে জানিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেছেন, আমরা দেশ থেকে অবশ্যই মাদক নির্মূল করতে পারব। এজন্য মাদকের চাহিদা, সরবরাহ ও ক্ষতি কমাতে কিছু কৌশল অবলম্বন করছি।
মঙ্গলবার (২৫ জুন) দুপুরে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে ‘মাদকদ্রব্যের অপব্যবহার ও অবৈধ পাচারবিরোধী আন্তর্জাতিক দিবস-২০১৯’ পালন উপলক্ষে এক প্রেসব্রিফিংয়ে তিনি একথা বলেন।
বুধবার (২৬ জুন) সারা দেশে ‘মাদকদ্রব্যের অপব্যবহার ও অবৈধ পাচারবিরোধী আন্তর্জাতিক দিবস-২০১৯’ পালন করা হবে। দিবসটির এবারের প্রতিপাদ্য ‘সুস্বাস্থ্যই সুবিচার, মাদকমুক্তির অঙ্গীকার’। দিবসটি পালনের জন্য সরকার ব্যাপক কর্মসূচি গ্রহণ করেছে। ১৯৮৮ সাল থেকে জাতিসংঘের সিদ্ধান্তে এ দিনটি পালিত হয়ে আসছে।
প্রেসব্রিফিংয়ে আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেন, ‘মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের গতিশীলতা ও জনবল বেড়েছে। মাদকবিরোধী আইন-২০১৮ কে যুগোপযোগী করা হয়েছে। সারা দেশে মাদকবিরোধী জনমত তৈরি হচ্ছে। মসজিদে জুমার নামাজের খুতবায় মাদকের বিরুদ্ধে সচেতন হওয়ার কথা বলা হচ্ছে। মাদকবিরোধী পোস্টার ও লিফলেট টানানো হচ্ছে। মিডিয়ার বিভিন্ন টকশো-তে মাদকের কুফল নিয়ে কথা হচ্ছে।’
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের অঙ্গীকার মাদকের ভয়াবহতা থেকে যুবসমাজকে রক্ষা করা। এ লক্ষ্যে সরকার কাজ করে যাচ্ছে। মাদকের বিরুদ্ধে ডিজিটাল প্রচার চালানো হচ্ছে। গত বছর মাদকের ওপর ৮ হাজার ৮০০টি সেমিনার হয়েছে। ২৮ হাজারেরও বেশি শিক্ষা-প্রতিষ্ঠানে মাদকবিরোধী কমিটি গঠন করা হয়েছে। আমরা প্রতি জেলায় মাদক নিরাময় কেন্দ্র প্রতিষ্ঠা করছি। এগুলোর মাধ্যমে মাদকের রাহুগ্রাস কমান সম্ভব হবে বলে বিশ্বাস রাখি।’
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আরও বলেন, ‘আগে দেশে তামাক ব্যবহার করত ৪৩ দশমিক ৩ শতাংশ মানুষ। ২০১৭ সালের এক জরিপে দেখা গেছে, তামাকের ব্যবহার ৩৫ দশমিক ৩ শতাংশে নেমে এসেছে। তার মানে উন্নতি হয়েছে। এভাবেই দেশ থেকে মাদক নির্মূল হবে।’
এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, ‘সরকারি চাকরিতে প্রবেশের সময় ডোপ টেস্ট বাধ্যতামূলক হচ্ছে। টেস্টে কাউকে মাদকাসক্ত পাওয়া গেলে তাকে বাতিল করা হবে। এমনকি লিখিত, ভাইভা শেষ হয়েছে এরপরেও তাকে বাতিল করা হবে। অন্যদিকে সরকারি চাকরিতে যারা কর্মরত রয়েছেন তাদের বিরুদ্ধেও মাদকাসক্তির প্রমাণ পাওয়া গেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
আরেক প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘ভারত থেক ফেনসিডিল আসা বন্ধ হয়েছে। এখন যেটুকু আসছে তা বন্ধের জন্য ওই দেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সঙ্গে কথা বলেছি। তিনি আমাদের আশ্বস্ত করে জানিয়েছেন, বর্ডার এলাকায় ফেনসিডিলের সব কারখানা বন্ধ করা হয়েছে। ’
সারাবাংলা/ইউজে/পিটিএম