‘প্রাথমিক শিক্ষাকে ঢেলে সাজানোর উদ্যোগ নিয়েছে সরকার’
২৫ জুন ২০১৯ ১৮:২৮
জাতীয় সংসদ ভবন থেকে: বর্তমান সরকার প্রাথমিক শিক্ষাকে ঢেলে সাজানোর লক্ষ্যে বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়েছে উল্লেখ করে প্রাথমিক ও গণশিক্ষামন্ত্রী মো. জাকির হোসেন বলেছেন, প্রতিটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রাক প্রাথমিক শ্রেণি চালু ও সেখানে শিক্ষক নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। এছাড়া অধিকতর যোগ্য শিক্ষক নিয়োগের লক্ষ্যে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক নিয়োগ বিধিমালা-২০১৯ জারি করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (২৫ জুন) জাতীয় সংসদে টেবিলে উত্থাপিত প্রশ্নের জবাবে প্রাথমিক ও গণশিক্ষামন্ত্রী এসব কথা বলেন।
মন্ত্রী আরও বলেন, ২০০৯ সাল থেকে প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনি পরীক্ষা শুরু হয়। এখন পর্যন্ত অত্যন্ত সুষ্ঠুভাবে ও স্বচ্ছতার সঙ্গে পিএসসি পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে। তাই এ পরীক্ষা আপাতত বন্ধ করার কোনো পরিকল্পনা নেই।
এছাড়া মো. হাবিবুর রহমানের প্রশ্নের জবাবে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রী মো. জাকির হোসেন বলেন, ‘রিচিং আউট অব স্কুল চিলড্রেন (রস্ক) ফেউজ-২ প্রকল্পের আওতায় বর্তমানে ৫৮টি উপজেলায় ঝরে পড়া শিশুদের নিয়ে ১ হাজার ৯১৬টি শিখন কেন্দ্রে ৩৬ হাজার ৮৭২ জন শিক্ষার্থী এবং ১০টি সিটি করপোরেশনে ৩২৫টি কম্পাউন্ডে ১ হাজর ৫১৮টি শিখন কেন্দ্রের মাধ্যমে ৩৯ হাজার ৭৩২ জন বস্তিবাসী শিশুকে প্রাথমিক শিক্ষার আওতায় আনা হয়েছে।
সংরক্ষিত মহিলা এমপি বেগম খোদেজা নাসরিন আক্তার হোসেনের প্রশ্নের জবাবে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রী মো. জাকির হোসেন বলেন, ‘প্রাথমিক পর্যায়ে শিশুদের শিক্ষাজীবন থেকে ঝরে পড়া রোধে স্কুল বা শিক্ষা-প্রতিষ্ঠানের পরিবেশ দৃষ্টিনন্দন করা হয়েছে। পড়ার উপযোগী পরিবেশ আরও আকর্ষণীয় করে শিশুদের বিনোদন কেন্দ্র হিসাবে গড়ে তোলা হচ্ছে। এ লক্ষ্যে মন্ত্রণালয় নিরলস কাজ করে যাচ্ছে।’
আ কা ম সরওয়ার জাহানের প্রশ্নের জবাবে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রী মো. জাকির হোসেন বলেন, ‘শিক্ষার জন্য খাদ্য কর্মসূচি ১৯৯৩ সাল থেকে ২০০২ পর্যন্ত চালু ছিল। সমগ্র বাংলাদেশে প্রাথমিক শিক্ষার জন্য উপবৃত্তি প্রকল্প চালু করায় শিক্ষার জন্য খাদ্য কর্মসূচি প্রকল্প বন্ধ হয়ে যায়।’
মাহমুদ উস সামাদ চৌধুরীর প্রশ্নের জবাবে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রী মো. জাকির হোসেন বলেন, ‘বিদ্যালয়বিহীন গ্রামে নতুন করে বিদ্যালয় স্থাপন করার জন্য সারাদেশে ১ হাজার নতুন বিদ্যালয় স্থাপনের কার্যক্রম নেওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে।
সারাবাংলা/এএইচএএইচ/এমআই