ফুপাতো ভাইয়ের দেওয়া আগুনে শেষ পর্যন্ত মারাই গেলেন ফুলন
২৬ জুন ২০১৯ ১২:৫৪
নরসিংদী: শেষ পর্যন্ত মৃত্যুর কাছে হার মানলেন জমি সংক্রান্ত মামলায় প্রতিবেশীকে ফাঁসাতে ফুপাতো ভাই ও তার দুই সহযোগীর দেওয়া আগুনে দগ্ধ নরসিংদীর কলেজ ছাত্রী ফুলন বর্মণ।
ঘটনার ১৩ দিন পর চিকিৎসাধীন অবস্থায় বুধবার (২৬ জুন) সকালে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ফুলনের মৃত্যু হয়।
গত ১৩ জুন রাতে বাড়ির পাশের দোকান থেকে কেক কিনে বাড়ি ফেরার পথে পাশের একটি নির্জনস্থানে তার শরীরে কেরোসিন ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেয় দুর্বৃত্তরা। ঘটনার পরদিন অজ্ঞাত তিনজনকে আসামি করে থানায় মামলা দায়ের করেন ফুলনের বাবা যুগেন্দ্র বর্মণ। এ মামলায় সন্দেহভাজন বেশ কয়েকজনকে জিজ্ঞাসাবাদের পর গত ২১ জুন মামলার রহস্য উদঘাটন করে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ।
আদালতে দেওয়া জবানবন্দিতে স্বীকারোক্তি দেন ফুলনের ফুপাতো ভাই ভবতোষ বর্মণ, তার দুই সহযোগী আনন্দ বর্মণ ও রাজু সূত্রধর।
তাদের স্বীকারোক্তি অনুযায়ী, প্রতিবেশী সুখ লাল ও হিরা লালকে জমি সংক্রান্ত মামলার জালে ফাঁসাতে পরিকল্পিতভাবেই মামাতো বোন ফুলনের শরীরে আগুন দেন তারা। বর্তমানে এরা তিনজনই আদালতের নির্দেশে কারাগারে আছেন।
আগুনে ফুলনের শরীরের ১২ ভাগ পুড়ে যায়। দ্রুত তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে ভর্তি করা হয়। সেখানে ১৩ দিন চিকিৎসা নেওয়ার পর বুধবার সকালে মৃত্যু হয় তার।
সারাবাংলা/এসএমএন