গুঁড়ো দুধ আমদানিতে শুল্ক ২৫ শতাংশ করার দাবি
২৬ জুন ২০১৯ ২০:১৬
ঢাকা: দুধের দেশীয় উৎপাদন বাড়াতে গুঁড়ো দুধ আমদানির শুল্ক ২৫ শতাংশ করার দাবি জানিয়েছে জাতীয় জাতীয় ডেইরি উন্নয়ন ফোরাম।
বুধবার (২৬ জুন) দুপুরে রাজধানীর বাংলামোটরে সেভেনহিল রেস্টুরেন্টে ফোরামের সাধারণ সম্পাদক মো. আনিসুর রহমান এ দাবি জানান।
আনিসুর রহমান বলেন, ‘গত এক দশকে দেশে দুধ উৎপাদন বেড়েছে ৩ গুণ। মাংস উৎপাদন বেড়েছে প্রায় ৭ গুণ। এখাতে বিনিয়োগও বেড়েছে। দেশে দুধের মোট চাহিদার ৩ ভাগের ২ ভাগ এখন দেশেই উৎপাদন হচ্ছে। বিকাশমান এ শিল্পে দুধ উৎপাদনের সঙ্গে সংশ্লিষ্টরা সবচেয়ে গরিব। তাই দুগ্ধ শিল্পকে বাঁচানো মানে গরিব মানুষদের বাঁচানো।
ডেইরি উন্নয়ন ফোরামের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘২০১৮-১৯ অর্থবছরে আমদানি শুল্ক কমানোর কারণে গুঁড়া দুধ আমদানি ১২ শতাংশ বেড়েছে। এ অবস্থা চলতে থাকলে দেশীয় গুঁড়ো দুধ উৎপাদনকারীরা নিরুৎসাহিত হবেন। তারা গুঁড়ো দুধ উৎপাদন বন্ধ করে দিলে গ্রামাঞ্চলের দুধ উৎপাদনকারী লাখ লাখ গরিব খামারি ক্ষতির মুখে পড়বেন ‘
আনিসুর রহমান বলেন, ‘আমদানি করা গুঁড়া দুধের ওপর ২০১৯-২০ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে শুল্ক ৫ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ১০ শতাংশ করা হয়েছে। এই শুল্ক কমপক্ষে ২৫ শতাংশ করতে হবে। তাহলে গুঁড়া দুধ আমদানিতে নিরুৎসাহিত হবে এবং দেশে উৎপাদন বাড়তে থাকবেন। এতে দেশের গরিব দুধ খামারিরাও লাভবান হবেন। একই সাথে দেশে উৎপাদিত গুঁড়া দুধকে অত্যাবশ্যকীয় পণ্য বিবেচনা করে স্থানীয় সরবরাহের ওপর মূল্য সংযোজন কর (মূসক) শূন্য হারে নিয়ে আসা, গবাদিপশুর খাদ্যের কাঁচামাল আমদানি সহজলভ্য করতে সেগুলোর ওপর থেকে আমদানি শুল্কসহ সবধরনের শুল্ক প্রত্যাহার করা, ভর্তুকি, ঋণসহ সবধরনের প্রণোদনা দিলে এ শিল্প বিকাশ লাভ করবে।’
অনুষ্ঠানে বেসরকারি আন্তর্জাতিক সংস্থা অক্সফামের মঞ্জুরুল রশিদ বলেন, ‘দেশে যারা দুধ উৎপাদন করে, তারা সমাজের সবচেয়ে প্রান্তিক গোষ্ঠী। আমাদের দেশের যারা ক্ষুদ্র খামারি রয়েছেন দুধ উৎপাদনে তাদের অবদান সবচেয়ে বেশি। দুধ শিল্পকে বাঁচানো মানে দেশের গরিব যে মানুষগুলোকে বাঁচানো।’
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন জাতীয় ডেইরি উন্নয়ন ফোরামের সভাপতি ও সাবেক সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট উম্মে কুলসুম স্মৃতিসহ অন্যরা।
সারাবাংলা/এসজে/একে