Sunday 08 September 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

ফরিদপুর অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্পের ব্যয় ও সময় ফের বাড়ছে


৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৮ ০৮:৫৮

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, জোসনা জামান

ঢাকা: তৃতীয়বারের মতো সংশোধন হচ্ছে বৃহত্তর ফরিদপুর গ্রামীণ অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্প। ছয় কারণে এ সংশোধনী আনতে হয়েছে বলে জানিয়েছে স্থানীয় সরকার পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়। ইতিমধ্যেই অনুমোদন প্রক্রিয়া চূড়ান্ত করা হয়েছে। জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) আগামী সভায় সংশোধনী প্রস্তাব উপস্থাপন করা হতে পারে বলে জানা গেছে।
এ বিষয়ে পরিকল্পনা কমিশনের কৃষি পানি সম্পদ ও পল্লী প্রতিষ্ঠান বিভাগের সদস্য এ.এন. সামসুদ্দিন আজাদ চৌধুরী সারাবাংলাকে বলেন, বৃহত্তর ফরিদপুর জেলার রাজবাড়ী, ফরিদপুর, গোপালগঞ্জ, শরীয়তপুর ও মাদারীপুর জেলার উপজেলা সড়ক ও ইউনিয়ন সড়ক উন্নয়নের জন্য এই প্রকল্পটি নেয়া হয়।

অসম্পন্ন সড়কের সংযোগ সম্পন্ন করতে সড়কের অবশিষ্ট অংশ নির্মাণ, সরু ফুট-ব্রিজগুলো প্রশস্তকরণ, এলজিইডির রেট সিডিউল পরিবর্তন, সড়ক রক্ষণাবেক্ষণ কাজের রেট এবং স্কিম সমন্বয়, পদ্মা সেতুর অ্যাপ্রোচ সড়ক ও রেল অ্যালাইনমেন্টের সঙ্গে সংযোগকারী সড়কগুলো প্রকল্পে অন্তর্ভুক্তি এবং বিভিন্ন উপকরণের ব্যয় সমন্বয় করতে প্রকল্পটি সংশোধন করতে হচ্ছে বলে জানা গেছে।

পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, প্রকল্পের আওতায় দেশব্যাপী পল্লী অবকাঠামো উন্নয়নের অংশ হিসেবে বৃহত্তর ফরিদপুর জেলার রাজবাড়ী, ফরিদপুর, গোপালগঞ্জ, শরীয়তপুর ও মাদারীপুর জেলার উপজেলা সড়ক ও ইউনিয়ন সড়ক উন্নয়নের জন্য পুুরোপুরি সরকারি অর্থায়নে ৫৫৩ কোটি ২২ লাখ ৫০ হাজার টাকা প্রাক্কলিত ব্যয়ে ২০০৯ সালের জুলাই হতে ২০১২ সালের জুনে বাস্তবায়নের জন্য ২০০৯ সালের ২১ জুলাই একনেকে মূল প্রকল্পটি অনুমোদিত হয়। এরপর প্রকল্পের মেয়াদ ২ বছর ও ব্যয় বৃদ্ধি করে ৮২০ কোটি টাকা প্রাক্কলিত ব্যয়ে ২০০৯ সালের জুন হতে ২০১৫ সালের জুনে বাস্তবায়নের জন্য ২০১৩ সালের ৬ জুনে একনেকে প্রথম সংশোধন করা হয়।

পরবর্তীতে ১ হাজার ৭১০ কোটি টাকা প্রাক্কলিত ব্যয়ে ২০০৯ সালের জুলাই হতে ২০১৯ সালের জুনে বাস্তবায়নের জন্য ২০১৫ সালের ১৭ ফেব্রুয়ারি একনেকে দ্বিতীয় সংশোধিত প্রস্তাব অনুমোদিত হয়। বর্তমানে প্রকল্পের মোট ব্যয় মেয়াদকাল অপরিবর্তিত রেখে কাজের পরিমাণ ও ব্যয় সমন্বয় করে প্রকল্পটি তৃতীয়বার সংশোধনের প্রস্তাব করা হয়েছে। এ পরিপ্রেক্ষিতে গত বছরের ৬ ডিসেম্বর প্রকল্পটির উপর প্রকল্প মূল্যায়ন কমিটি (পিইসি) সভা অনুষ্ঠিত হয়। ওই সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী স্থানীয় সরকার বিভাগ হতে মোট ১ হাজার ৭০৯ কোটি টাকা প্রাক্কলিত ব্যয়ে ২০০৯ সালের জুলাই হতে ২০১৯ সালের জুনে বাস্তবায়নের জন্য আরডিপিপি পুনর্গঠন করে অনুমোদনের জন্য পাঠানো হয়েছে।

যেসব উপজেলায় প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হচ্ছে সেগুলো হলো, ফরিদপুর জেলার ফরিদপুর সদর, আলফাডাংগা, ভাংগা, বোয়ালমারী, চরভদ্রাসন, মধুখালী, নগরকান্দা, সদরপুর ও সালথা উপজেলা। মাদারীপুর জেলার মাদারীপুর সদর, কালকিনি, রাজৈর ও শিবচর উপজেলা। রাজবাড়ী জেলার রাজবাড়ী সদর, বালিয়াকান্দি, পাংশা, গোয়ালন্দ ও কালুখালী উপজেলা। গোপালগঞ্জ জেলার গোপালগঞ্জ সদর, কাশিয়ানী, মকসুদপুর, কোটালিপাড়া ও টুংগীপাড়া উপজেলা। শরিয়তপুর জেলার শরিয়তপুর সদর, ভেদরগঞ্জ, ডামুড্যা, গোসাইরহাট, নড়িয়া ও জাজিরা উপজেলা।

সারাবাংলা/জেজে/এসআই


বিজ্ঞাপন
সর্বশেষ

ভূতের গলির বাসায় মিলল বৃদ্ধের মরদেহ
৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ১১:০০

সম্পর্কিত খবর