‘১০ বছরে ২৬ লাখ যুবককে প্রশিক্ষণ দিয়েছে যুব উন্নয়ন অধিদফতর’
২৭ জুন ২০১৯ ২১:৫৮
সংসদ ভবন থেকে: যুব উন্নয়ন অধিদফতর বেকার যুবদের মানবসম্পদে পরিণত করতে প্রাতিষ্ঠানিক ও অপ্রাতিষ্ঠানিক ৮২টি ট্রেডে দেশব্যাপী প্রশিক্ষণ কার্যক্রম পরিচালনা করছে বলে জানিয়েছেন যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী মো. জাহিদ আহসান রাসেল। তিনি জানান, ২০০৯ থেকে ২০১৯ সালের মার্চ পর্যন্ত এ প্রশিক্ষণের আওতায় মোট ২৬ লাখ ৪৯ হাজার ৩৫৩ জনকে বিভিন্ন ট্রেডে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২৭ জুন) জাতীয় সংসদ অধিবেশনে টেবিলে উত্থাপিত ঝিনাইদহ-৪ আসন থেকে নির্বাচিত সংসদ সদস্য মো. আনোয়ারুল আজীম আনারের লিখিত প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী সংসদকে এ তথ্য জানান। ডেপুটি স্পিকারের সভাপতিত্বে এ অধিবেশন শুরু হয়।
যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী রাসেল বলেন, সরকার ২০০৯ সাল থেকে যুবদের বেকারত্ব দূরীকরণ ও যুবসমাজকে দক্ষ জনশক্তিতে রূপান্তরের লক্ষ্যে যুব উন্নয়ন অধিদফতরের মাধ্যমে বিভিন্ন ট্রেডে প্রশিক্ষণ দেওয়ার কাজ করছে। এছাড়া যুবকদের উদ্ধুদ্ধকরণ, আত্মকর্মসংস্থান, উদ্যোক্তা তৈরি ও ন্যাশনাল সার্ভিস কর্মসূচিসহ বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্প গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করে যাচ্ছে। এর আলোকে ওই সাড়ে ২৬ লাখের বেশি যুবককে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে। একইসঙ্গে সারাদেশে প্রশিক্ষণোত্তর আত্মকর্মসংস্থানের জন্য মোট ৬ লাখ ৪৬ হাজার ৮৫৫ জনকে ৯৭৫ কোটি ৪ লাখ ৩৪ হাজার টাকা ঋণও দেওয়া হয়েছে।
প্রতিমন্ত্রী আরও জানান, জাতীয় উন্নয়নে যুবগোষ্ঠীকে সম্পৃক্ত করার লক্ষ্যে বর্তমান সরকার ২০০৯-১০ অর্থবছর থেকে ন্যাশনাল সার্ভিস কর্মসূচি বাস্তবায়ন করছে। এ কর্মসূচির আওতায় যুবদের ২ বছরের অস্থায়ী কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা হয়। দেশের ৩৭ জেলার ১২৮টি উপজেলায় এ কর্মসূচি বাস্তবায়ন করা হয়েছে বা হচ্ছে।
পীর ফজলুল রহমানের এক প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী রাসেল বলেন, কক্সবাজারে শেখ কামাল আন্তজার্তিক ক্রিকেট স্টেডিয়াম ও আন্তজার্তিক ফুটবল স্টেডিয়াম এবং মানিকগঞ্জ জেলায় আন্তজার্তিক মানের ক্রিকেট স্টেডিয়াম নির্মাণের পরিকল্পনা সরকারের রয়েছে। এছাড়া ঢাকার পূর্বাচলে শেখ হাসিনা আন্তজার্তিক ক্রিকেট স্টেডিয়াম কমপ্লেক্স নির্মাণের পরিকল্পনা রয়েছে।
সংসদ সদস্য মাহফুজুর রহমানের প্রশ্নের জবাবে যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী বলেন, ইনটিগ্রেটেড ম্যানেজমেন্ট অব রিসোর্সেস ফর পোভারটি এলিভিয়েশন থ্রু কমপ্রিহেনসিভ টেকনোলজি (ইমপ্যাক্ট) ফেইজ-২ প্রকল্পটি আগামী ৩০ জুন শেষ হচ্ছে। এ প্রকল্পের আওতায় বায়ো-গ্যাস প্ল্যান্ট নির্মাণের মাধ্যমে জ্বালানির (যেম— বৃক্ষ, কয়লা, পেট্টোল, ডিজেল, কেরোসিন ইত্যাদি) চাহিদা কমিয়ে পরিবেশবান্ধব ও সাশ্রয়ী জ্বালানি তৈরিতে সহায়তা করা হয়। প্রকল্পটি পুনরায় চালু হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। পুনরায় চালু করা হলে চট্টগ্রাম জেলার সন্দ্বীপ উপজেলায় এ প্রকল্প বাস্তবায়ন করার পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
সারাবাংলা/এএইচএইচ/টিআর
জাহিদ আহসান রাসেল প্রশিক্ষণ যুব উন্নয়ন অধিদফতর যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী ড. বীরেন শিকদার যুবদের প্রশিক্ষণ