এনবিআরের নির্দেশ উপেক্ষা অধিকাংশ কাস্টমস কর্মকর্তার!
২৯ জুন ২০১৯ ২২:০২
চট্টগ্রাম ব্যুরো: জুন মাসের শেষ সপ্তাহ রাজস্ব আদায়ের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। তাই সরকারি ছুটির দিন হলেও শনিবার (২৯ জুন) দেশের সকল আয়কর, ভ্যাট ও শুল্ক স্টেশন খোলা রাখার নির্দেশ দিয়েছিল জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। তবে এই নির্দেশ উপেক্ষা করে চট্টগ্রাম কাস্টমসের অধিকাংশ কর্মকর্তাই কর্মস্থলে অনুপস্থিত ছিলেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
চট্টগ্রাম বন্দর থেকে পণ্য খালাসে নিয়োজিত সিঅ্যান্ডএফ কর্মচারীদের শুল্ক পরিশোধ করতে গিয়ে হয়রানির শিকার হতে হয়েছে বলেও অভিযোগ পাওয়া গেছে।
জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের পাশাপাশি আয়কর, ভ্যাট ও শুল্ক জমাদানের সুবিধার্থে শনিবার (২৯ জুন) সকল তফসিলী ব্যাংকও খোলা রাখার নির্দেশ দিয়েছিল বাংলাদেশ ব্যাংক। চট্টগ্রামে সংশ্লিষ্ট ব্যাংকগুলোতে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের উপস্থিতিতে কাজকর্ম স্বাভাবিকভাবে চললেও কাস্টমসে এর বিপরীত চিত্র দেখেছেন সিঅ্যান্ডএফ কর্মচারীরা। তবে কাস্টম কর্তৃপক্ষের দাবি, কয়েকজন ছাড়া অধিকাংশ কর্মকর্তা কর্মস্থলে উপস্থিত ছিলেন। অন্যান্য দিনের মতো কাজও হয়েছে।
সংশ্লিষ্টরা জানান, এনবিআরের নির্দেশনা পাওয়ার পর চট্টগ্রামের সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট মালিকরা শনিবার শুল্কায়নের স্বাভাবিক কাজ চলবে বলে কর্মচারীদের জানিয়ে দেন। মালিকপক্ষের নির্দেশনা অনুযায়ী অন্যান্য দিনের মতো এদিন শুল্ক পরিশোধ করতে যান সিঅ্যান্ডএফ কর্মচারীরা। কিন্তু কাস্টমসের উপ-কমিশনার, যুগ্ম কমিশনার বা অতিরিক্ত কমিশনারদের মধ্যে কাউকেই তারা অফিসে পাননি।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ‘চট্টগ্রাম কাস্টম সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশন’-এর এক কর্মকর্তা সারাবাংলাকে বলেন, ‘শুল্কায়নের নানা জটিলতায় বিশেষ করে আমদানি পণ্যের ক্ষেত্রে আমাদের সংশ্লিষ্ট উপ-কমিশনার, যুগ্ম কমিশনার বা অতিরিক্ত কমিশনারের কাছে যেতে হয়। কিন্তু আজ (শনিবার) গিয়ে তাদের অধিকাংশকেই পাইনি। এরকমই যদি হবে তাহলে কাস্টমস খোলা রাখার ঘোষণা দেওয়ার তো দরকার ছিল না।’
একই সংগঠনের আরেক কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে সারাবাংলাকে বলেন, ‘নিলাম শাখায় গিয়েও শাখা প্রধানকে পাওয়া যায়নি। সেখানে শাখা প্রধান না থাকায় দুপুর পর্যন্ত কোনো কাজ হয়নি। দুপুরের পর অবশ্য তিনি আসেন।’
চট্টগ্রাম কাস্টম কমিশনার মো. ফখরুল আলম বলেন, ‘সরকারি নির্দেশনা পাওয়ার পর সকল কর্মকর্তাকে জানিয়ে দেওয়া হয়েছিল। বন্ধের দিন হওয়ায় কয়েকজন কর্মকর্তা অনুপস্থিত ছিলেন। তবে এতে কাজে কোনো ব্যাঘাত হয়নি। অন্যান্য দিনের মতোই কাজ হয়েছে।’
সারাবাংলা/আরডি/পিটিএম