চট্টগ্রামের লালখান বাজারের ‘ত্রাস’ হানিফসহ গ্রেফতার ৪
২ জুলাই ২০১৯ ১৭:৪৫
চট্টগ্রাম ব্যুরো: চট্টগ্রাম নগরীতে আওয়ামী লীগের দুই গ্রুপে সংঘর্ষের ঘটনায় ‘লালখান বাজারের ত্রাস’ হিসেবে পরিচিত মো. মাঈনউদ্দিন হানিফ ওরফে পিচ্চি হানিফসহ চারজনকে গ্রেফতার করেছে নগর গোয়েন্দা পুলিশ। সংঘর্ষের ঘটনায় যুবলীগ নামধারী এই চার সন্ত্রাসীসহ গত চারদিনে মোট ২৬ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
মঙ্গলবার (২ জুলাই) বিকেল তিনটার দিকে নগরীর কোতোয়ালী থানার মহল মার্কেটের সামনে থেকে হানিফসহ চারজনকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতার বাকি তিনজন হল- মোরশেদ আকবর, মো. ইউছুফ খাঁন ও আব্দুল করিম মারুফ।
নগর গোয়েন্দা পুলিশের পরিদর্শক (উত্তর) মো. ইলিয়াস খান সারাবাংলাকে গ্রেফতারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
গ্রেফতার চারজনই নগরীর লালখান বাজার ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক দিদারুল আলম মাসুমের অনুসারী হিসেবে পরিচিত। হানিফ চট্টগ্রাম মহানগর ছাত্রলীগের সহসম্পাদক সুদীপ্ত বিশ্বাস হত্যা মামলারও আসামি।
এর আগে শুক্রবার (২৮ জুন) রাতে ও শনিবার বিকেলে লালখানবাজার ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক দিদারুল আলম মাসুম এবং স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা আবুল হাসনাত মো. বেলালের অনুসারীদের মধ্যে দুদফা রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। শনিবার বিকেলে সংঘর্ষের সময় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে চার রাউন্ড গুলি ছোড়ে পুলিশ। এসময় একজন গুলিবিদ্ধসহ চার জন গুরুতর আহত হন। এই ঘটনায় খুলশী থানায় দুটি মামলা দায়ের হয়।
এরপর শনিবার রাত থেকে রোববার ভোর পর্যন্ত নগর গোয়েন্দা পুলিশ ও খুলশী থানা পুলিশ অভিযান চালিয়ে গ্রেফতার করে ১৮ জনকে। এরা হলেন- নগর যুবলীগের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য ও লালখান বাজার ওয়ার্ড যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক তৌহিদ আজিজ (৪১), স্থানীয় যুবলীগ নেতা আহমেদুল হাসান জুয়েল (৩৫), সাইদুল ইসলাম (৩৫), সৃজন দাশ (৪০), স্থানীয় ছাত্রলীগ নেতা মাহমুদুল হাসান (৩০), স্থানীয় যুবলীগ কর্মী নুরুল আবছার (৩২), আব্দুল মান্নান (২৪), জাহিদুর রহমান (২১), মো. সোহাগ (২১), আলী হোসেন (২৩), ফয়সাল আহম্মদ (২১), মো. জুয়েল (২০), মো. হৃদয় (১৮), মো. ইব্রাহীম (৬২), মো. সাজ্জাদ (২৪), আবু দাউদ রাজু (২৬), মো. আনিস (২৪) ও মো. সোহেল (২৯)।
রোববার রাতভর অভিযানে খুলশী থানা পুলিশ গ্রেফতার করে আরও চার জনকে। এরা হলেন- দিদারুল আলম মাসুম গ্রুপের যুবলীগ কর্মী নিজাম উদ্দিন রুবেল (২৫) ও তার সহযোগী তিন কিশোর।
সারাবাংলা/আরডি/এমআই