Saturday 03 May 2025
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

শিক্ষককে কেরোসিন ঢেলে পুড়িয়ে মারার চেষ্টা: শিক্ষার্থী রিমান্ডে


৩ জুলাই ২০১৯ ১৯:১৬ | আপডেট: ৩ জুলাই ২০১৯ ১৯:১৮

চট্টগ্রাম ব্যুরো: অফিস থেকে শিক্ষককে বের করে কেরোসিন ঢেলে আগুনে পুড়িয়ে হত্যাচেষ্টার অভিযোগে গ্রেফতার শিক্ষার্থীকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য দুদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। গ্রেফতার মাহমুদুল হাসান (২২) ইউনিভার্সিটি অব সাইন্স অ্যান্ড টেকনোলজি, চট্টগ্রামের (ইউএসটিসি) ইংরেজি বিভাগের মাস্টার্স শ্রেণির ছাত্র।

বুধবার (৩ জুলাই) গ্রেফতার মাহমুদুলকে পাঁচদিনের রিমান্ডে নেওয়ার জন্য পুলিশের আবেদনের ওপর শুনানি শেষে চট্টগ্রাম মহানগর হাকিম আল ইমরান খান এই আদেশ দেন।

বিজ্ঞাপন

অফিস থেকে টেনে বের করে শিক্ষকের গায়ে কেরোসিন!

আদালতে রিমান্ড আবেদনের ওপর শুনানিতে অংশ নেন নগর পুলিশের সহকারী কমিশনার (এসি-প্রসিকিউশন) কাজী শাহাবুদ্দিন আহমেদ। তিনি আদালতের উদ্দেশে বলেন, ‘যে ছাত্র শিক্ষকের গায়ে কেরোসিন ঢেলে আগুনে পুড়িয়ে হত্যার চেষ্টা করতে পারে, সে তার মা-বাবাকেও পুড়িয়ে হত্যা করতে পারবে। শিক্ষক-সহপাঠী, নিজের পরিবার, সমাজের কেউ তার কাছে নিরাপদ নয়। শিক্ষকের গায়ে দেওয়ার জন্য কেরোসিন সে কোথা থেকে পেল, এই পরিকল্পনার সঙ্গে আরও কারা জড়িত, শিক্ষাঙ্গণে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি তৈরির বিষয়ে তাকে বিশদভাবে জিজ্ঞাসাবাদ করা প্রয়োজন।’

এসি শাহাবুদ্দিন সারাবাংলাকে বলেন, ‘শুনানি শেষে আদালত দুদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন। আদেশ দেওয়ার সময় আদালত রিমান্ডে নিয়ে আসামিকে নিবিড়ভাবে জিজ্ঞাসাবাদ করে সকল তথ্য উদঘাটনের নির্দেশ দিয়েছেন। রিমান্ড শেষে তথ্যের ঘাটতি থাকলে প্রয়োজনে আবারও রিমান্ডের আবেদন করতে বলেছেন।’

এর আগে মঙ্গলবার দুপুর ১২টার দিকে ইউএসটিসির ইংরেজি বিভাগের উপদেষ্টা অধ্যাপক মাসুদ মাহমুদকে অফিস থেকে টেনে বের করে রাস্তায় নিয়ে গায়ে কেরোসিন ঢেলে লাঞ্ছিত করে একদল শিক্ষার্থী। এরপর ওই শিক্ষার্থীরাই আবার নগরীর খুলশীতে ইউএসটিসি ক্যাম্পাসের সামনে প্রায় একঘণ্টা ধরে সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেন।

বিজ্ঞাপন

এই ঘটনার পর পুলিশ ইউএসটিসির ক্যাম্পাস থেকে মাহমুদুল হাসানকে আটক করে। রাতে ইউএসটিসির ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার দিলীপ কুমার বড়ুয়া বাদী হয়ে নগরীর খুলশী থানায় মামলাটি দায়ের করেন। মামলায় শুধুমাত্র মাহমুদুলকে আসামি করা হয়।

অধ্যাপক মাসুদ মাহমুদ চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অবসরের পর ইউএসটিসিতে যোগ দিয়েছেন।

ইংরেজি সাহিত্যের কোর্স কারিকুলামের অংশ হিসেবে বেশ কয়েকটি কবিতা পড়াতে গিয়ে নারী-পুরুষের জৈবিক সম্পর্ক, বিভিন্ন শারীরিক প্রক্রিয়া, পোশাক নিয়ে ক্লাসে নিয়মিত আলোচনা করেন শিক্ষক মাসুদ মাহমুদ। সেসব বিষয়কে যৌন হয়রানি হিসেবে অভিযোগ তুলে ইউএসটিসির একদল শিক্ষার্থী গত এপ্রিলে তার বিরুদ্ধে আন্দোলনে নেমেছিলেন।

তবে মাসুদ মাহমুদের দাবি- ইংরেজি বিভাগের দায়িত্ব নেওয়ার পর তিনি কয়েকজন শিক্ষককে চাকুরিচ্যুত করেন। এরপর তাদের ইন্ধনে শিক্ষার্থীদের একাংশ একের পর এক অভিযোগ তুলতে থাকেন।

সারাবাংলা/আরডি/এমআই

আরও পড়ুন: চবির সাবেক শিক্ষককে লাঞ্ছিতের ঘটনায় শিক্ষক সমিতির নিন্দা

আগুনে পুড়িয়ে মারার চেষ্টা শিক্ষক শিক্ষার্থী রিমান্ডে