ধর্মে-ধর্মে হানাহানি কাউকেই করতে দেব না: নওফেল
৪ জুলাই ২০১৯ ২১:৪৪
চট্টগ্রাম ব্যুরো: শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল বলেছেন, ‘বীর প্রসবিনী চট্টগ্রামের অসাম্প্রদায়িক ঐতিহ্য আমরা কোনোভাবেই কাউকে নষ্ট করতে দেব না। এই চট্টগ্রামে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্টকারী কোনো ঘটনা, ধর্মে-ধর্মে হানাহানি আমরা কাউকেই করতে দেব না।’
বৃহস্পতিবার (০৪ জুলাই) দুপুরে নগরীর প্রবর্তক মোড়ে আন্তর্জাতিক কৃষ্ণভাবনামৃত সংঘের (ইসকন) প্রবর্তক শ্রীকৃষ্ণ মন্দিরের আয়োজনে রথযাত্রা উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। এসময় সিএমপি কমিশনার মো.মাহাবুবর রহমানও বক্তব্য রাখেন।
নওফেল বলেন, ‘একটি অসাম্প্রদায়িক, প্রগতিশীল রাষ্ট্র গঠনের স্বপ্ন নিয়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে এই দেশ স্বাধীন হয়েছিল। কিন্তু স্বাধীনতার পর এই জাতির মধ্যে বিভাজন সৃষ্টির জন্য সময়ে-সময়ে অনেক অপচেষ্টা, অনেক অপরাজনীতি হয়েছিল। কিন্তু সেই অপচেষ্টা-অপরাজনীতিকে অতিক্রম করে করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা একটি অসাম্প্রদায়িক, ধর্মনিরপেক্ষ বাংলাদেশ গড়ার দায়িত্ব নিয়েছেন। একটি অসাম্প্রদায়িক, ধর্মনিরপেক্ষ বাংলাদেশ গড়ার অঙ্গীকার আমরা সমগ্র জাতির কাছে করেছি। তাই আমাদের স্লোগান, ধর্ম যার যার, উৎসব সবার। এজন্য আমরা আজ রথযাত্রার উৎসবে শামিল হয়েছি।’
নওফেল আরও বলেন, এই বাংলাদেশে সকল উৎসব আমরা সবাই মিলেমিশে পালন করবো। অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশে ধর্মে-ধর্মে সম্প্রীতি সবসময় থাকবে।
এরপর প্রবর্তক মোড় থেকে কঠোর পুলিশি নিরাপত্তার মধ্যে বের হয় শোভাযাত্রা। শোভাযাত্রায় ছিল হাতি, ঘোড়া আর ট্রাকের বহর। ট্রাকে দেব-দেবীও সাজে সেজেছিল শিশু-কিশোররা। ধর্মীয় গানের সুরে নেচে-গেয়ে শোভাযাত্রায় শামিল হয় সব বয়সী মানুষ।
গাড়ির উপর সাজানো মন্দির ও আসনে ঠাঁই পায় জগন্নাথ দেব, বলরাম ও সুভদ্রার মূর্তি। ছিল রাধা-কৃঞ্চসহ বিভিন্ন দেব-দেবীর মূর্তিও।
নগরীর বিভিন্ন এলাকা অতিক্রমের সময় পথচারী ও স্থানীয়রা রাস্তার দুপাশে জড়ো হয়ে শোভাযাত্রা দেখেন। আগামী ১২ জুলাই উল্টো রথযাত্রার মধ্য দিয়ে এ ধর্মীয় উৎসব শেষ হবে।
সারাবাংলা/আরডি/এনএইচ