শেখ হাসিনা বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসা শুরু
৪ জুলাই ২০১৯ ২২:৪২
ঢাকা: ‘পুড়ে যাওয়া রোগীদের জন্য শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউট দেশের চিকিৎসা সেবায় একটি মাইলফলক। দেশে বছরে প্রায় ৬ লাখ মানুষ বিভিন্ন ভাবে পুড়ে গিয়ে আহত হন, যাদের মধ্যে বেশিরভাগই দরিদ্র। তাদের সামর্থ্য হয় না বেসরকারি হাসপাতালে গিয়ে এই খরচ বহন করার। এই ইনস্টিটিউটে পোড়া রোগীদের চিকিৎসা সেবায় যেমন অগ্রগতি হবে তেমনি শিক্ষা ও গবেষণাতেও এটি মাইলফলক হিসেবে উদাহরণ তৈরি করবে।’
বৃহস্পতিবার (৪ জুলাই) চাঁনখার পুলে অবস্থিত শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসা সেবার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন সংশ্লিষ্টরা।
এর আগে, সকাল সাড়ে ১১টায় ১৮ তলার এই ইনস্টিটিউটের কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী জাহিদ মালেক। তিনি ইনস্টিটিউটের নিচতলায় অবস্থিত বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ম্যুরালে ফুল দিয়ে এবং ফিতা কেটে হাসপাতালের সেবা কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন। এসময় মন্ত্রী চিকিৎসা নিতে আসা রোগীদের সঙ্গেও কথা বলেন।
চিকিৎসকরা জানান, আপাতত বর্হিবিভাগ চিকিৎসা সেবা দিয়ে হাসপাতালটির রোগীদের সেবা দেওয়া শুরু হবে। আগামী মাস থেকে রোগীদের ভর্তি নেওয়া হতে পারে।
অনুষ্ঠানে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘একবছর মানুষের আয়ু বাড়লে সেদেশের জিডিপি প্রায় ১০ শতাংশ বেড়ে যায়। বাংলাদেশের মানুষের গড় আয়ু ছিল ৬০ বছর, বিএনপি-জামায়াত জোটের সময় সেটা ছিল ৬৪ বছর আর এখন সেটা হয়েছে ৭৩ বছর। সে কারণেই জিডিপি এত বেড়েছে, একই কারণে বাজেট সাড়ে ৫ লাখ কোটি প্রায়। কাজেই আমাদের গড় আয়ু আগামিতে আরও বাড়াতে হবে।’
জাহিদ মালেক বলেন, ‘এই ইনস্টিটিউট প্রতিষ্ঠার সঙ্গে সন্ত্রাসবিরোধী কার্যক্রম এবং সন্ত্রাসের প্রতি যে প্রতিবাদ তার সঙ্গে জড়িত। বাংলাদেশে যখন পেট্রোল বোমা দিয়ে মানুষকে ঝলসে দেওয়া হচ্ছিল, তখন আমাদের বার্ন ইনস্টিটিউটের চিকিৎসক এবং নার্সরা সেবা দিয়ে জীবন রক্ষা করেছে। বিএনপি-জামায়াত জোটের তাণ্ডব, যে অগ্নিসন্ত্রাস, তার একটি প্রতিবাদ এটি আগামী দিনগুলোতে দাঁড়িয়ে থাকবে। মানুষকে ঝলসে দেওয়ার ইতিহাস বহন করে যাবে।’
মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিব আসাদুল ইসলাম বলেন, ‘আশ্বাস এবং প্রতিশ্রুতি দিচ্ছি এবং আশা করছি, সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টায় এই ইনস্টিটিউট হবে আন্তর্জাতিক মানের, শিক্ষা প্রশিক্ষক এবং সেবা কার্যক্রমের জন্য পুরো বিশ্বে সুনাম অর্জন করবে।’
বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইউনিটের প্রধান সমন্বয়ক ডা. সামন্ত লাল সেন বলেন, ‘একটি বার্ন রোগীও যেন বিনা চিকিৎসায় মারা না যায় আর কেউ যেন বিদেশে না যায় সে আশা করছি।’
অনুষ্ঠানে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এ কে এম নাসির উদ্দিন, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্য শিক্ষা বিভাগের সচিব শেখ ইউসুফ হারুন, স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল কালাম আজাদ, বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইউনিটের পরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল কালামসহ অন্যরা উপস্থিত ছিলেন।
সারাবাংলা/জেএ/এমও
বার্ন ইউনিট শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইন্সটিটিউট