১৮ ঘন্টা পর সচল হলো চট্টগ্রাম কাস্টম সার্ভার
৬ জুলাই ২০১৯ ১৩:২৫
চট্টগ্রাম ব্যুরো: প্রায় ১৮ ঘন্টা পর সচল হয়েছে চট্টগ্রাম কাস্টম। শনিবার (৬ জুলাই) দুপুরে সার্ভার সচল করে শুল্কায়ন কার্যক্রম চালু করা হয়। শুক্রবার (৫ জুলাই) সন্ধ্যা ৬টা থেকে অনলাইন সার্ভারে আপগ্রেডেশনের কাজ চলতে থাকায় শুল্কায়ন সংক্রান্ত সব কার্যক্রম বন্ধ থাকে। তবে, শনিবার সকাল ৮টা থেকে চালু হওয়ার কথা থাকলেও তা চালু হয় দুপুর ১২টার দিকে।
শনিবার (৬ জুলাই) দুপুর পৌনে ১টার দিকে চট্টগ্রাম কাস্টম কমিশনার মো. ফখরুল ইসলাম সারাবাংলাকে বলেন, ‘সার্ভারে এখন আর কোনো জটিলতা নেই। পুরোপুরি সচল আছে। আমরা আমদানি-রফতানিকারকের প্রতিনিধিদের বলেছি বিল অব এন্ট্রি দাখিলের জন্য।’
তবে, শুল্কায়ন কার্যক্রম বন্ধ থাকায় চট্টগ্রাম বন্দর থেকে আমদানি পণ্য খালাস ব্যাহত হওয়ার পাশাপাশি অফডক থেকে যায়নি রফতানি কনটেইনারও। এতে আমদানি-রফতানিকারকদের প্রতিনিধি সিএন্ডএফ এজেন্টদের মধ্যে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়।
চট্টগ্রাম কাস্টম-সিএন্ডএফ এজেন্ট এসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক আলতাফ হোসেন বাচ্চু সারাবাংলাকে বলেন, ‘কোনো নোটিশ না দিয়েই হুট করে অনলাইন সার্ভার আপগ্রেডেশনের কাজ শুরু করে কাস্টম। ১৮ ঘন্টারও বেশি সময় আমরা বিল অব এন্ট্রি দাখিল করতে পারিনি। বলেছিল, সকাল ৮টা থেকে বিল অব এন্ট্রি দাখিল শুরু হবে। কিন্তু তারা সেটা করতে পারেনি।’
তিনি বলেন, অফডকে (বেসরকারি কনটেইনার ডিপো) গতকাল (শুক্রবার) সন্ধ্যা থেকে শত, শত ট্রাক দাঁড়িয়ে আছে রফতানি পণ্য নিয়ে। কনটেইনারগুলো বন্দরে আসার জন্য অপেক্ষা করছে। বন্দরের ভেতর থেকেও কনটেইনারগুলো বের হতে পারেনি। এখন সচল হওয়ার পরও মুভমেন্ট স্বাভাবিক হতে সময় লাগবে। সন্ধ্যার আগে কাজ পুরোপুরি শুরু হবে না।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন সিএন্ডএফ এজেন্ট সারাবাংলাকে জানান, সার্ভার জটিলতার আগে যেসব পণ্যের বিল অব এন্ট্রি দাখিলের পর শুল্কায়ন সম্পন্ন হয়েছিল, সেগুলোর বন্দর থেকে ডেলিভারি শনিবার সকাল ৮টা পর্যন্ত সচল ছিল। কিন্তু এরপর কাস্টমস কমিশনার বন্দর কর্তৃপক্ষকে চিঠি দিয়ে সেগুলোর খালাসও বন্ধ রাখার অনুরোধ করেন। এরপর থেকে কার্যত চট্টগ্রাম বন্দর থেকে আমদানি পণ্যও বের হয়নি। রফতানি পণ্যও বন্দরে ঢোকেনি।
তবে, কাস্টম কর্মকর্তারা সারাবাংলাকে জানিয়েছেন, আগে বিল অব এন্ট্রি দাখিল করা হয়েছে, এমন পণ্য ছাড়ে কাস্টমসের কোনো আপত্তি নেই। এই ধরনের পণ্য খালাস স্বাভাবিক ছিল।
চট্টগ্রাম বন্দরের বার্থ অপারেটর অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ফজলে ইকরাম চৌধুরী সারাবাংলাকে বলেন, ‘হুট করে কোনো ধরনের ত্রুটির কারণে বন্দরে জাহাজের প্রোডাকটিভিটি কমে গেলে, এর সুদূরপ্রসারী প্রভাব পড়ে। এটা একটা চেইন অ্যাফেক্টের মতো হয়। জট সৃষ্টির আশঙ্কা থেকে যায়। বন্দরের দুর্নাম হয়। এটা যাতে না হয়, সবার সতর্ক থাকা উচিৎ।’
সারাবাংলা/আরডি/জেএএম