কর্ণফুলীতে রেলসহ সড়ক সেতুর দাবিতে মুক্তিযোদ্ধাদের অনশন
৬ জুলাই ২০১৯ ২১:৩৪
চট্টগ্রাম ব্যুরো: কর্ণফুলী নদীর ওপর চট্টগ্রামের কালুরঘাটে রেলসহ সড়ক সেতু নির্মাণের দাবিতে দিনব্যাপী অনশন কর্মসূচি পালন করেছেন মুক্তিযোদ্ধারা। শনিবার (৬ জুলাই) সকাল ৮টা থেকে শুরু হওয়া এই অনশন চলে সন্ধ্যা পর্যন্ত। পরে স্থানীয় সংসদ সদস্য মইনউদ্দিন খান বাদল তাদের অনশন ভঙ্গ করান।
অনশনে বোয়ালখালী-কালুরঘাট সেতু বাস্তবায়ন পরিষদসহ বিভিন্ন সংগঠন একাত্মতা প্রকাশ করে। মঞ্চে অনশন কর্মসূচি চলাকালে সেতুর অভাবে জনগণের দুর্ভোগের চিত্র তুলে ধরে কবিগান পরিবেশন করা হয়।
এতে মুক্তিযোদ্ধা এবং সামাজিক, সাংস্কৃতিক, পেশাজীবী, ধর্মীয় ও রাজনৈতিক সংগঠনসহ সর্বস্তরের মানুষ অংশ নেন। তাদের হাতে ছিল ব্যানার, ফেস্টুন ও প্ল্যাকার্ড। যাতে শোভা পাচ্ছিল ‘দাবি শুধু একটাই, বোয়ালখালী-কালুরঘাট সেতুর দ্রুত বাস্তবায়ন চাই’।
বোয়ালখালী উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কমান্ডার হারুন মিয়া বলেন, ‘বৃটিশ আমলে নির্মিত কালুরঘাট সেতুটি জরাজীর্ণ হয়ে গেছে। যে কোনো সময় বড়ো ধরনের বিপদ ঘটতে পারে। এই সেতুর ওপর দিয়ে প্রতিদিন লাখো মানুষ চলাচল করে। যানজট আর দুর্ঘটনা তাদের নিত্যসঙ্গী। বড়ো ধরনের কোনো দুর্ঘটনা হলে দেশ মানবিক বিপর্যয়ের সম্মুখীন হবে।’
বোয়ালখালী-কালুরঘাট সেতু বাস্তবায়ন পরিষদের আহ্বায়ক মো. আবদুল মোমিন বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী সেতু নির্মাণের নীতিগত সিদ্ধান্ত দিয়েছেন। অর্থ নিয়েও কোনো সংকট নেই। তারপরও কোথায় এই সেতু আটকে আছে, আমরা জানি না। আমাদের এমপি মইনউদ্দিন খান বাদল মহোদয় বারবার সংসদে বলছেন। এমনকি তিনি পদত্যাগের ঘোষণা পর্যন্ত দিয়েছেন। সরকার চট্টগ্রামে হাজার হাজার কোটি টাকার প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে। তাহলে কালুরঘাটে সেতু করতে বাধা কোথায়, আমরা বুঝতে পারছি না।’
অনশন কর্মসূচিতে যোগ দিয়ে মঈন উদ্দিন খান বাদল সেতু নির্মাণে কার্যকর উদ্যোগ না নিলে আগামী ডিসেম্বরে সংসদ থেকে পদত্যাগের ঘোষণার কথা আবারও উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, ‘কালুরঘাটে রেলসহ সড়ক সেতু চট্টগ্রামবাসীর প্রাণের দাবি। প্রধানমন্ত্রী আন্তরিক আছেন। তিনি কথা দিয়েছেন। এরপরও যদি সেতু না হয়, তাহলে আমি ডিসেম্বরে সংসদ থেকে সরে দাঁড়াবো।’
সারাবাংলা/আরডি/এমও