এক সপ্তাহেও নিবন্ধন নেয়নি পাঠাও-উবার
৭ জুলাই ২০১৯ ১১:৪২
ঢাকা: প্রায় ৩ বছর ধরে অনুমোদন ছাড়া চলার পর রাইড শেয়ারিং অ্যাপস প্রতিষ্ঠানগুলোকে নিবন্ধন নিতে বলছে বিআরটিএ। গত এক সপ্তাহ ধরে তাদের নিবন্ধনের জন্য ডাকা হচ্ছে। এ সময়ের মধ্যে মাত্র একটি অ্যাপস নিবন্ধনের জন্য আবেদন করলেও বাকিরা করেনি। এরমধ্যে ঢাকায় সবচেয়ে বেশি পরিচিত রাইড শেয়ারিং সেবা উবার, পাঠাও এখনও নিবন্ধনের জন্য আসেনি।
নিবন্ধন নিলে পাঠাওকে রাইড শেয়ারিং থেকে ট্যাক্সিকে বাদ দিতে হবে। ট্যাক্সি সার্ভিসের আলাদা নীতিমালা থাকায় রাইড শেয়ারিং নীতিমালায় ট্যাক্সি সার্ভিস চলা অবৈধ। ট্যাক্সি সার্ভিসের গাড়ি রাইড শেয়ারিং অ্যাপে চললে তা অবৈধ এবং এ অপরাধে নিবন্ধন বাতিল করতে পারে বিআরটিএ। পাঠাও ‘তমা ট্যাক্সি’র মাধ্যমে এক বছর ধরে কার সার্ভিস দিয়ে আসছে। নিবন্ধন নিলে এই সার্ভিস আর দিতে পারবে না বরে জানিয়েছে বিআরটিএ। এমনিতে পাঠাও থেকে উবার দ্রুত এবং সহজে পাওয়া যাচ্ছে বলে ব্যবহারকারীদের অভিমত। তবে, কিছুদিন ধরে পাঠাও কার সার্ভিস থেকে গাড়ি তুলে নিচ্ছেন অনেক চালক। তাদের মতে, পাঠাও কার সার্ভিসে ট্রিপ মিলছে না।
বছরখানেক আগে উবার ছেড়ে পাঠাওতে যোগ দেওয়া রাইড শেয়ারিংয়ে আইকনিক ড্রাইভার সাইফুল ইসলাম জানিয়েছেন, তিনি এখন পাঠাও ছেড়ে দিচ্ছেন। নতুন আরেকটি রাইড শেয়ারিং অ্যাপস তাকে নিতে চাচ্ছে তাদের প্রচারণাসহ কার সার্ভিস জনপ্রিয় করতে।
বিআরটিএ-এর পরিচালক (ইঞ্জিনিয়ারিং) লোকমান হোসেন মোল্লা জানান, নিবন্ধনের পর রাইড শেয়ারিং নিয়ে নাগরিকদের অভিযোগ অ্যাপস প্রতিষ্ঠান সমাধান করবে। না করলে বিআরটিএ তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে পারবে।
রাইড শেয়ারিংয়ে ট্যাক্সি ক্যাব চলা নিয়ে প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘ট্যাক্সি ক্যাবগুলো তাদের নিজস্ব কোনো অ্যাপে ট্যাক্সি নীতিমালায় চলতে পারবে। তবে, কোনো রাইড শেয়ারিং অ্যাপে ট্যাক্সি কারগুলো যুক্ত হতে পারবে না।’
রাইড শেয়ারিং নীতিমালা অনুযায়ি, চার ধরণের যানকে এ সেবায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। এগুলো হলো-মোটরসাইকেল, মোটরকার, জিপ, মাইক্রোবাস এবং অ্যাম্বুলেন্স।
সিএনজি অটোরিক্সা রাইড শেয়ারিংয়ে চলতে পারবে না। কারণ, অটোরিক্সাগুলো মিটার পদ্ধতিসহ আলাদা নীতিমালা রয়েছে।
বিআরটিএ জানায়, রাইড শেয়ারিং মোটরযান মালিককেও বিআরটিএর নিবন্ধন নিতে হবে। তারা অ্যাপস প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে আবেদন করতে পারবে আবার আলাদা চাইলেও আবেদন করতে পারবে।
একজন মোটরযান মালিক কেবলমাত্র তার একটি গাড়ি রাইড শেয়ারিংয়ে দিতে পারবেন। নতুন মোটরযান কিনেই রাইড শেয়ারিংয়ে দেওয়া যাবে না। রেজিস্ট্রেশনের কমপক্ষে এক বছর না হলে সেই গাড়ি দিয়ে রাইড শেয়ারিং করা যাবে না।
লোকমান হোসেন মোল্লা জানান, নিবন্ধনের পর তারা বলতে পারবেন ঢাকায় মোট কতটি গাড়ি রাইড শেয়ারিং করছে। কোন কোন গাড়ি রাইড শেয়ারিং করছে তার নম্বরসহ বিআরটিএর ওয়েবসাইটে থাকবে।
বিআরটিএর রাইড শেয়ারিং সেল জানায়, এখন পর্যন্ত ‘পিকমি লিমিটেড’ নামে একটি কোম্পানি রাইড শেয়ারিং নিবন্ধন নিয়েছে। তবে, সবচেয়ে জনপ্রিয় রাইড শেয়ারিং সেবা উবার, পাঠাও নিবন্ধন প্রক্রিয়া শুরুর পর এখনও আবেদন জমা দেয়নি। দ্রুত এগুলো নিবন্ধন প্রক্রিয়ায় আসবে বলে তারা আশা করছেন।
সারাবাংলা/এসএ/জেএএম