বান্দরবানে ভারি বৃষ্টিতে পাহাড় ধসের শঙ্কা
৭ জুলাই ২০১৯ ১৫:৪৬
বান্দরবান: বান্দরবানে টানা তিনদিনের ভারি বৃষ্টিতে পাহাড় ধসের আশংকা তৈরি হয়েছে। এমন বৃষ্টি অব্যাহত থাকলে পাহাড়ের পাদদেশে ঝুঁকিপূর্ণ এলাকায় ব্যাপক পাহাড় ধসে প্রাণহানির ঘটনা ঘটতে পারে।
শুধু তাই নয়, বৃষ্টির কারণে বেড়েছে সাঙ্গু ও মাতামুহুরী নদীর পানি। ফলে পাহাড়ধসের পাশাপাশি নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হওয়ার শঙ্কাও তৈরি হয়েছে।
বান্দরবানে প্রতিবছরই বর্ষা মৌসুমে পাহাড় ধসে প্রাণহানির ঘটনা ঘটে থাকে। প্রশাসন থেকে উদ্যোগ নেওয়া হলেও পাহাড়ের পাদদেশে বসবাসকারীদের সরানো বেশিরভাগ সময়ই কঠিন হয়ে পড়ে। বান্দরবান শহরের ইসলামপুর, লাঙ্গিপাড়া, হাফেজ ঘোনা , কালাঘাটা, বনরুপা,ক্যাচিং ঘাটাাসহ বিভিন্ন এলাকায় কয়েক শতাধিক পরিবার পাহাড়ের পাদদেশে ঝুঁকিপূর্ণভাবে বসবাস করছে।
এবছর বান্দরবানের দক্ষিণাঞ্চল লামা, আজিজনগর, ফাসিয়াখালী, ফাইতং, গজালিয়া, রোয়াংছড়ি, নাইক্ষ্যছড়ির ঘুমধুম এসব এলাকায় পাহাড়ের পাদদেশে নতুন নতুন বসতি বেড়েছে। ফলে বেড়েছে পাহাড় ধসের ঝুঁকিও।
এসব বিষয়ে কথা হয় বান্দরবানের জেলা প্রশাসক মো. দাউদুল ইসলামের সঙ্গে। তিনি জানান, টানা তিনদিন বৃষ্টি ও দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়া অব্যহত থাকার কারণে পাহাড়ের পাদদেশে বসবাসকারী ঝুঁকিপূর্ণ স্থানগুলো থেকে লোকজনকে নিরাপদ আশ্রয়ে সরে যেতে রোববার (৭ জুলাই) দুপুর থেকে শহরের বিভিন্ন এলাকায় মাইকিং করা হয়েছে। ঝুঁকিপূর্ণ এলাকার সরকারি-বেসরকারি স্কুলগুলো আশ্রয় কেন্দ্র হিসেবে খোলা রাখার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। উপজেলা পর্যায়েও অতি ঝুঁকিপূর্ণ স্থানগুলো থেকে প্রাথামিক ভাবে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেওয়ার জন্য ইউএনও দের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।
যারা ঝুঁকি নিয়ে পাহাড়ের পাদদেশে বাস করেন তাদের দাবি, বেঁচে থাকার প্রয়োজনেই তারা এসব স্থানে মাথা গোঁজার স্থান করে নিয়েছেন। প্রতিবছর বর্ষায় প্রশাসনের মুখ থেকে পুনর্বাসনের আশার বাণী ছাড়া তারা আর কিছুই পান না। বাস্তবে তাদের জন্য কিছু করা হয় না।
সারাবাংলা/এসএমএন